Home লাইফ স্টাইল ফেসবুকে কারো প্রেমে পড়বেন না! সোশ্যাল মিডিয়াই আমাকে ডুবিয়েছে

ফেসবুকে কারো প্রেমে পড়বেন না! সোশ্যাল মিডিয়াই আমাকে ডুবিয়েছে

উম্মাহ অনলাইন: প্রেমিকার টানে অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করে ছয় বছর জেল খাটেন ভারতের তরুণ হামিদ আনসারি। সাজা কাটিয়ে বুধবার দেশে ফিরেছেন তিনি। আর এই দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন, ফেসবুকে কারো প্রেমে পড়া উচিত নয়। সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হামিদ আনসারি জানিয়েছেন, আধুনিক যুগে অতি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াই তাকে ডুবিয়েছে।

পাকিস্তানে ছয় বছর কাটিয়ে মূলত তিনটি অভিজ্ঞতা হয়েছে হামিদের। জানিয়েছেন, ওই তিন অভিজ্ঞতা হলো, কখনও ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় কারো প্রেমে পড়বেন না, মা-বাবাকে কখনও মিথ্যে বলবেন না এবং বেআইনিভাবে কোথাও যাবেন না।

কী হয়েছিল এই তরুণের?

পাকিস্তানের এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন মুম্বাইয়ের ৩৩ বছর বয়সী হামিদ আনসারি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তরুণীর সাথে পরিচয় হয়েছিল তার। জোর করে ওই তরুণীকে বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। তা আটকাতে আফগানিস্তান হয়ে অবৈধ পথে ২০১২ সালে পাকিস্তানে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়েই ধরা পড়েন।

কীভাবে মুক্তি পেলেন তিনি?

আনসারির পরিবার যখন পাকিস্তানে তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছিলেন না তখন তারা সরকারি কর্মকর্তা এবং মানবাধিকার কর্মীদের সাহায্য নেন। এদেরে মধ্যে একজন হলেন মানবাধিকার কর্মী জিতেন দেশাই, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের নাগরিকদের পরস্পরের কারাগার থেকে মুক্ত করার কাজ করে আসছেন। পাকিস্তানের একজন সাংবাদিক হামিদ আনসারির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের পক্ষ হয়ে আদালতে একটি নিখোঁজ পিটিশন দায়ের করেন।

হামিদ আনসারির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে সেই সাংবাদিক পাকিস্তান সরকারকে উৎসাহিত করেন। ফলে ২০১৬ সালের প্রথম দিকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো স্বীকার করে, আনসারিকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং সে কারাগারে আটক আছে। গত ছয় বছরে আনসারির সাথে ভারতের কোনো কর্মকর্তাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। তাকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টিকে পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের একটি মানবিক কাজ হিসেবে দেখা হচ্ছে।