Home ধর্মীয় প্রশ্ন-উত্তর উম্মাহ প্রশ্ন-উত্তর বিভাগ: পরিচালনায়- মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী

উম্মাহ প্রশ্ন-উত্তর বিভাগ: পরিচালনায়- মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী

উম্মাহ প্রশ্ন-উত্তর বিভাগ
উম্মাহ প্রশ্ন-উত্তর বিভাগ

ইমাম বরাবর পেছনে কোন পর্যায়ের মুসল্লী দাঁড়াবেন

* মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন

পূর্ব বশিকপুর, ফুলগাজী, ফেনী।

প্রশ্নঃ ইমাম সাহেবের বরাবর পেছনে কোন্ ধরনের লোক দাঁড়াতে হবে? ইলমে ক্বিরাত সম্পর্কে জানাশোনা লোক থাকা সত্ত্বেও সাধারণ লোক দাঁড়ালে কোন অসুবিধা আছে কি? আমরা জানি, নিয়ম আছে কখনো ইমাম সাহেবের অজু ভেঙ্গে গেলে তিনি তার বরাবর পেছনের মুক্তাদিকে নিজের খলীফা বানিয়ে নামায পূর্ণ করবেন। এবং এরূপ ক্ষেত্রে সাধারণ লোক ইমাম সাহেবের খলীফা হলে ইলমে ক্বিরাত সম্পর্কে অবগত ব্যক্তির নামায হবে না। অনুগ্রহ করে এ ব্যাপারে সঠিক মাস্আলা জানাবেন।

জবাবঃ প্রশ্নোল্লিখিত বিষয়ে সঠিক মাস্আলা হচ্ছে, ইমাম সাহেবের সরাসরি পেছনে যে কোন ব্যক্তি দাঁড়াতে পারবেন। কেননা মসজিদের কোন স্থান কারো জন্য নির্দিষ্ট নয়। যার যেখানে ইচ্ছা হবে, দাঁড়াতে পারেন। তবে উত্তম হল, ইমাম সাহেবের সরাসরি পেছনে বিশুদ্ধ ক্বিরাত পাঠকারী এবং নামাযের মাস্আলা-মাসায়েল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ব্যক্তি দাঁড়ানো (এমন ব্যক্তি যদি জামাতে থাকেন)। আর ইমাম সাহেবকেও উপরোক্ত অবস্থায় খলীফা হিসেবে বিশুদ্ধ তিলাওয়াতকারী ব্যক্তিকে নিযুক্ত করার বিষয়টি আগে থেকেই খেয়াল রাখা অপরিহার্য। সূত্র- আল-আশবাহ লিল হামুভী- ১/১৮২, ফতোয়ায়ে শামী-১/৫৬৯, ফাতোয়ায়ে দারুল উলূম-৩/৩৫৭, আল-ফিক্বহু আলাল মাযাহিবিল আরবাআহ- ১/৪৪৮ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।

 

ফজরের আযানের পর নফল নামায পড়া যাবে কি?

* মুহাম্মদ আব্দুস সালাম

আলীরটেক, নারায়ণগঞ্জ।

প্রশ্নঃ ফজরের আযানের প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে কোন প্রকার নফল নামায পড়তে শরীয়তে নিষেধ আছে কি?

জবাবঃ সুব্হে সাদিক উদিত হওয়ার পর ফজরের সুন্নাত ভিন্ন যে কোন নফল নামায পড়া মাকরূহ্। সুব্হে সাদিক উদিত হওয়ার পূর্বে পড়া মাকরূহ্ নয়। সূত্র- দুররুল মুখতার- ১/৩৭৫, ফতোওয়ায়ে আলমগিরী-১/৫২, হালবী কাবীর-২৩৯ ও বাহরুর রায়েক্ব-১/২৫৩ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।

 

মাসবূক মুসল্লী ইমাম সাহেবের সাথে ভুলে সালাম ফিরিয়ে নিলে করণীয়

* মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

মুহাম্মদপুর, ঢাকা।

প্রশ্নঃ মসজিদে ঈশার নামায পড়তে গিয়ে দেখি জামাআত আরম্ভ হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি অজু করে জামাআতে শামিল হলাম, এক রাকআত পেলাম না। ইমাম সাহেব সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করার সাথে সাথে আমিও ভুলে সালাম ফিরিয়ে ফেলি। সালাম ফিরানোর পর খেয়াল হল যে, আমার এক রাক্আত নামায বাকী রয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমার নামায জামাআতের সাথে চার রাক্আত আদায় হয়েছে কি? প্রকাশ থাকে যে, আমি পরে একা আলাদাভাবে আবার চার রাক্আত ফরয আদায় করেছি।

জবাবঃ গ্রহণযোগ্য বর্ণনা মতে মাসবুক ব্যক্তি ভুলে ইমাম সাহেবের সাথে সালাম ফিরিয়ে নিলে নামায ভঙ্গ হয় না। কাজেই ভুল করে ইমাম সাহেবের সাথে সালাম ফিরানোর পর স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে দাঁড়িয়ে অবশিষ্ট এক রাকআত পড়ে নিলে আপনার নামায শুদ্ধ হয়ে যেত। (স্মর্তব্য যে, ইমামের সালাম ফেরানো এবং আপনার স্মরণ হওয়ার মাঝে আমলে কাসীরের প্রকাশ এবং বুক ক্বিবলার দিক থেকে অন্যদিকে পুরোপুরি ঘুরে না থাকলে)। কিন্তু আপনি যেহেতু তা না করে পুনরায় নতুনভাবে নামায পড়েছেন, তাই আপনার ইমাম সাহেবের সাথে আদায়কৃত নামায শুদ্ধ হয়নি। তবে পুনরায় আদায়কৃত নামায শুদ্ধ হয়েছে। বলা বাহুল্য, মাসবুক বলা হয়, যিনি ইমাম সাহেবের সালাম ফিরানোর পূর্ব মুহর্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জামাআতে শামিল হয়ে থাকেন। সূত্র- ফতোয়ায়ে হিন্দিয়্যা-১/৯১, ৯৮, ফতোয়ায়ে ক্বাযীখান-১/৪৯ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।

জবাব লিখেছেন-

মুফতী মুনির হোসাইন কাসেমী

ফাযেলে দারুল উলূম দেওবন্দ (দাওরা ও ইফতা), মুহাদ্দিস- জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা, ঢাকা, উপদেষ্টা সম্পাদক- উম্মাহ ২৪ডটকম এবং খতীব- আব্দুস সাত্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ-শ্রীপুর, গাজীপুর।

——————————-

নোটঃ উম্মাহ ২৪ডটকম এর প্রশ্ন-উত্তর বিভাগে আপনিও চাইলে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। প্রশ্ন অবশ্যই ইসলাম ধর্মবিষয়ক হতে হবে। প্রশ্নের আকার ছোট হতে হবে এবং একক বিষয়বস্তুর হতে হবে।

প্রশ্ন পাঠানোর জন্য editor@ummah24.com এই ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করুন।