Home গল্প-উপন্যাস “জল পদ্মার মিলন”: মাহ্দী হাসান মিরাজ

“জল পদ্মার মিলন”: মাহ্দী হাসান মিরাজ

অস্ফূটিত ভোরের আলো। এলার্ম ঘড়ির ক্রিং ক্রিং শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল।

চোখ মুখ মুছে বালিশের নিচে গুজে রাখা ফোন হাতে নিয়ে দেখি, ৪টা বেজে ত্রিশ মিনিট। না… আর ঘুমিয়ে থাকা যাবে না। অযু শেষে ফজরের সালাত আদায় করে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়ি অজানা গন্তব্যে। পাকা দালানের এ শহরের মানুষ বড়ই অদ্ভুত। রাত পথিকের শোবার ভাগ্যে ফুটপাত। আলিশান ফ্ল্যাটে শোয়া বড়লোকের মনে জাগে না দয়ার ঝর্ণধারা। ডাস্টবিনের পঁচা খাবার কাক পক্ষির মতো কুড়িয়ে খাওয়া মানুষগুলো বড্ড অবহেলিত। পথে ঘাটে হয়রান, জুলুমবাজের শোষণে তারা নির্যাতিত। এসব ভেবে এগিয়ে চলেছি বহুদূর। পায়ের চাপে ঘুরা তিন চাকার বাহনে উঠার ইচ্ছে জলাঞ্জলি। ফাঁকা পকেটে টিউশনির সামান্য সম্বল। রাত প্রদীপের খুঁটি গুণে পথ শেষ প্রায়। এইতো দেখা যাচ্ছে স্টেশনের উঁচু দেয়াল।

আধ ঘণ্টা বেঞ্চিতে বসে দেয়ালের এপিঠ ওপিঠের কিছু কথা চরমভাবে ভাবিয়ে তুলল। রাতের শেষ ফোন কলটা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত আমি।

“ভালবাসলে চলে এসো”। বেলা গড়িয়ে হাত ঘড়ির কাটা ১২টা ছুঁই ছুঁই করছে। তবে কি আমি পারব প্রিয়তমার মন পৃথিবী জয় করতে?

মন স্মৃতিতে ভেসে উঠে সে দিনের কথা। এক পলকেই রূপবতীর রূপের মোহে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছেদ করেছিল ভালবাসার ভূমি। পেছনে ছুটে বড্ড ইচ্ছে হয়েছিল বলতে, তোমাকে প্রয়োজন। সে রাত কেটেছে ঘুমহীন। তোমায় ভেবে কাঁথা মুড়ি। স্বপ্ন ঘোরে আল্পনায় ছবি এঁকেছি শত সহস্র। এসব ভেবে ঘুম রাজ্যে হারিয়েছি বেখেয়ালি মনে।

পর দিন ক্লাসে তোমার আগমন দেখে আমার চোখে ভালবাসার রঙিন চশমা পরিয়ে দিল।

বুলবুল স্যার ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করায় তোমার প্রতিবাদি জবাবে তাআ’জ্জব হয়েছিল ক্লাসের নাস্তিক সামির, ঈশানরাও। মুগ্ধকর উপস্থাপনায় ফুটিয়ে তুললে ইসলামের শাশ্বত বাণীগুলো।  বোরকা হিজাবে আবৃত দেহের প্রভাব বিস্তার করেছে তমা, আনিকাদের মনে। মুখ নিশৃত বাণী যেন এক একটি মুক্ত কণা। মাত্র দু’মাসের কোশিশে জিগরী বন্ধুত্ব বুনলে আধুনিকা প্রিয়তির মনে।

বাবা জোর করে নিয়ে গেলেন তার বন্ধু জনাব ওয়াসিফ সাহেবের বাসায়। পরিচয় পর্বে বললেন আমার ছোটবেলার বন্ধু। কাকু বলেই সম্বোধন করলাম।

: বাবাজি কেমন আছো?

পড়াশোনা কেমন চলছে?

মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম- আলহামদুলিল্লাহ। বাহারি নাস্তার সমারোহে পেট পুরে নিলাম। বাহ্..! কি চমৎকার! নাস্তা।
বাবা পাশে বসা ছিলেন। কাকুকে ইশারায় কি যেন বলে মুচকি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুই রাজী তো? জি, রাজি।
ভেবেছি নতুন বাইকের আবদার রক্ষা করবে, শর্ত মানতে আমি রাজি কিনা? তবে বুঝতে পারিনি যে, আমাকে কুরবানী করার সম্মতি নিয়েছে?

কাজী উপস্থিত। পাঠ হয়ে গেল নিকাহ খুতবা। একাকী জীবনের অবসান ঘটাতে অদেখা মানবীর ছায়ায় শুইয়ে দিল তরবারী চালিয়ে।
প্রেয়সীর কথা ভেবে জল ফোঁটা আটকাতে পারিনি। স্বপ্ন ছিল মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রণয় বিতরণ করব। হৃদয় রাজ্যে গড়ে তোলা প্রাচীর মুহূর্তেই ধুমড়ে মুচড়ে বালিকণা মিশে গেল দূর সাহারায়। বাবার প্রতি বড্ড অভিমান হলো। ছুটে চললাম অজানার উদ্দেশ্যে।
রমনার বেঞ্চিতে নিশি পার। চরম উন্মাদনায় কেটে গেল বেলা। দিবসের শেষ গোধুলিতে তন্দ্রাচ্ছন্ন আমার পাশে  প্রেয়সীর অবতারণা। চোখ মুখে বিস্ময়। সুনশান নিরবতায় বহুক্ষণ।

নিরবতার প্রকোট বাধ ভেঙে সাহসী উচ্চারণ।

: আপনি মুস্তাকীম না?

জি…।

: শুনলাম, আপনি উন্মাদ গারদে ভর্তি হতে উস্কোখুস্কো সেজেছেন? এই নির্জনে বসতি গড়ার সাধ জেগেছে বুঝি?

বহু প্রতিক্ষিত না বলা কথার বিস্ফারণ আজও হয়নি।

: কি হলো জনাব! চুপটি মেরে আর কতক্ষণ? চলুন এবার যাওয়া যাক।

উঠে পড়ুন।

একসাথে পথ চলার অনুভূতি সত্যিই রোমাঞ্চকর।

: এই নিন আমার তরফ থেকে ছোট্ট উপহার।

দু’ জন দু’ দিকের পথ ধরে বাড়ি পৌঁছে গেলাম। বাড়ি ফিরে বাবার বিষণ্ন চেহারার প্রতি মায়া হলেও অভিমানে কথার খই ফুটেনি মুখে। ফ্রেশ হয়ে গিফট পেপার মোড়ানো প্যাক খুলে দেখি একটা ডায়েরী। না বলা বহু কথার প্রকাশ তাতে। প্রতি পৃষ্ঠার  এককোণে একটি করে সংখ্যা দেখে কৌতুহল জাগল। এরূপ এগার পৃষ্ঠায় এগারটি সংখ্যা। সব মিলিয়ে হয়ে গেল একটি ফোন নাম্বার। মুঠোফোন হাতে নিয়ে তাতে কল করা মাত্রই মিষ্টি স্বরের সালাম। যেন কলের অপেক্ষায় ছিল এতোক্ষণ।

শতো কথা, মনের ব্যথার বিনিময়ে গত হলো একটি বছর। বাবার বেঁধে দেওয়া বউয়ের কথা মনে পড়েনি ক্ষণিকের জন্যও।
প্রেয়সীকে ঘটে যাওয়া নিকাহের গল্প শুনাতেই বলে উঠল, চলো আমরা হারিয়ে যাই সুদূরে। তাই “ভালবাসলে চলে এসো” ভালবাসার স্বার্থে।

আঁচড় না লাগিয়ে বউ বিসর্জন দেবার পূর্ণ অঙ্গিকার নিয়েই আজকের স্টেশনে আগমন আমার।

প্রেয়সীর মন পৃথিবী জয় করে সুখের নীড় গড়তে কতটুকু সক্ষম আমি?

যাহোক, দূর থেকে কালো রঙের হিজাবে আবৃত মুমতাহিনাকে (প্রেয়সী) দেখে চোখে আশার আলো উদয়। তার চোখে পেরেশানির ছায়া। প্লাটফর্ম ছেড়ে ট্রেনে উঠতে যাবার আগে চোখ আটকে গেল তার ট্রলি ব্যাগে। হায় আল্লাহ! একি! রক্ত?

টুপটুপ করে কয়েকফোটা ঝরে পড়ল ব্যাগ থেকে। কিছুটা ভয় পেয়ে ভড়কে গেলাম। ট্রেনের ঝকঝক ঝকঝক শব্দ ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে। সবুজ গাছের সারি পেছনে ফেলে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলা ট্রেনের মাঝে আমি বিষণ্ন পথিক। বাবা মা’র আদরে বেড়ে উঠা জগত বিসর্জন দিয়েছি ভালবাসার কাছে। না জানি কোন বিপদ অপেক্ষমান আমার তরে। কৌতুহলি দৃষ্টি বারবার রহস্যময় ব্যাগের দিকে। টুপটুপ রক্ত পড়ছে।

নিরবতা ভেঙ্গে মুমতাহিনা বলল, সমুচা খাবে?

: হুম….

তার হাত রহস্যময় ব্যাগের দিকে এগিয়ে চলল।

লোকে লোকারণ্য পুরো ট্রেনে আমি এক বিমূর্ত মানব। ক্রমেই আমার অসহায়ত্ব বেড়ে চলছে। ছুটে চলা ট্রেনের পোঁ….প, পোঁ…প শব্দ বাতাসে ভেসে যাচ্ছে বহুদূর। সন্ধ্যা শেষে আঁধার নামল। ফোন স্কীনে সময়ের কাটা ঠিক ১১:০০টা। পৌঁছে গেলাম নন্দীপুর। ট্রেন থামল। দু’জনই নামলাম ভয়ঙ্কর ব্যাগকে সঙ্গি করে। শহর থেকে বিছিন্ন একটি স্টেশন। স্টেশন মাস্টার ছাড়া কোন মানব চোখে না পড়ায় মনের জমা আতংকের ভার চরমে উঠল। হেঁটে পার স্টেশন বাতির শেষ আলো সীমা।

বাবার কথা আজ ভীষণ মনে পড়ছে। ছোটবেলায় হসপিটালে রুমা আন্টির  রক্ত দেখে আঁৎকে উঠলে বাবা বুকে টেনে নিলেন। বাবার উষ্ণ বুকে মাথা গুঁজে দূরীভূত হল ভয়। কিন্তু আজ আমি রক্তকেই সঙ্গি করে গাঢ় আঁধার রাতে পথ চলছি।

ঝিঁঝিঁ পোঁকার ঝিঁঝিঁ শব্দ মাথায় ঝিম ধরে এলো। নিরবতা ভেঙ্গে মুমতাহিনাকে বললাম, কোথায় যাচ্ছি আমরা?

: কেন, তুমি জানো না?

: বলনি তাই জানি না।

: ও, তাই? আমার নানুবাড়ি যাচ্ছি।

: হুহ, তোমার নানুবাড়ি এমন ভূতুড়ে পরিবেশে হবে ভাবতেই গা শিঁউরে উঠে। আমার ভয় করছে ভীষণ।

: ওরে আমার ভীতু প্রেমি…. হি হি হি।

মুমতাহিনা হেসেই কথা গুলো বলল।

: এইতো নানু বাড়ি…

: কোথায়? দেখতে পাচ্ছি না তো!

: ওই…… দ্যাখো। বাঁশ ঝাড়ের উপর। হি হি হি। কি সুন্দর তাই না?

তাকিয়ে দেখি নিশিপতির উদয়ে আঁধার কেটে জোৎস্না নামল। বাহ্ কি চমৎকার!

তাহলে আমি…..? এতোক্ষণ ঘোরের ভেতর ছিলাম? …ধুর!

কোথাও আঁধার নেই। ব্যাগ থেকে রক্তও ঝরে পড়ছে না।

এগিয়ে গেলাম পুরনো লোহার তৈরী গেইটের দিকে। পুরনো আমলের ডিজাইন করা দোতলা বাড়ি।

আচ্ছা…! আমরা কোন পরিচয়ে এ  বাড়িতে যাচ্ছি?

: বোকারাম… জানো না বুঝি?

: উহুহ…

: স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে….।

: কি?

: আমাদের তো বিয়েই হয়নি। আমি কীভাবে স্বামী?

: অই বোকা… চুপ থাকো। আজ সব কথা,কাজ আমার। তুমি শুধু তাকিয়ে দেখবে।

কলিংবেল না থাকায় দরজায় কড়া নাড়ি কিছুক্ষণ।

ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা মহিলা দরজা খুলল। সালাম দিলাম।

: তোরা এলি? অপেক্ষা করতে করতে  আমি ঘুমিয়ে পড়েছি।

আয় মা, ভেতরে আয়। জামাই বাবাজি আসো…।

পুরনো ফার্ণিচারে পরিপাটি ঘর। বৃটিশ জমিদার বাড়ির মতই দেখতে।

পরিচয়ে জানতে পারি তিনি নানু।

নানু- কোন অসুবিধে হয়নিতো আসতে?

আজ তোর নানা বেঁচে থাকলে যারপরনাই খুশি হতেন।

কাপড়ের আঁচলে চোখ মুছে আরো কত কি বললেন।

নানু- যাকগে, গল্প পরে করা যাবে। খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড় তোরা।

টেবিল জুড়ে বাহারি খাবার। মাছের ঝোলে চেটেপুটে খেয়ে নিলাম এক গাল।

নানু- তোমাদের বিছানা রেডি আছে দোতলায়। যাও শুয়ে পড়ো। শুভ রাত্রি।

রুমে প্রবেশের পরই মুমতাহিনার কড়া স্বর দীর্ঘ ভালো লাগা মিশিয়ে দিল মাটিতে।

: তোমার এতো সাহস হলো কি করে?  হু… আমার সাথে এক রুমে ঘুমোতে চলে এলে? নির্লজ্ব! এই নাও বালিশ। বারান্দায় গিয়ে শুয়ে পড়ো।

মনের দুঃখ আর হতাশায় চলে গেলাম বারান্দায়। আহ্! বাবার, মায়ের অবাধ্য হওয়ায় আরো কত কি কপালে অপেক্ষমান, আল্লাহ মালুম।
বারান্দার গ্রীলে খোলা আকাশ দেখে দুঃখ ভুলার চেষ্টা করছি।

হঠাৎ মুমতাহিনা ভয়ঙ্কর ব্যাগটি বারান্দায় রেখে “ধ্যাত্তুরি” বলে ধড়াম করে দরজা লাগিয়ে দিল।

চোখ নিদ্রা গ্রীল ফাঁকে পালালো। ভয়ে থরথর কাঁপুনি। হাঁটু গেড়ে বসে বীর পুরুষের সাহসিকতার গল্প স্বরণ করে মনকে প্রবোধ দিয়ে রহস্য উদঘাটনে এগিয়ে গেলাম ব্যাগের দিকে। ছুঁয়ে ছুঁয়ে রক্ত পড়া চেইন একটানে খুলে ফেললাম চোখ বুঝে।

দুর্গন্ধে ভরা। এ্যাঁ….. বমি চলে এলো। ফোনের টর্চ অন করে দেখি সব জামা কাপড় রক্তে রঙিন। একে একে সব বের করে যা দেখি!  রীতিমত আমি অপ্রস্তুত ছিলাম। একটি টমেটো সসের বোতল। ঢাকনা ফেটে গেছে। তবে সস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রক্তিম পানির মত হয়ে ফোঁটা মুখে টুপটুপ করে ঝরে পড়েছে। ধ্যাত্তুরি, ঠিক মুমতাহিনার মত আমিও। টমেটো সস তার খুব ফেভারিট। তড়িগড়িতে নষ্ট কি ভাল যাচাই না করে ব্যাগে ভরে নিল। নষ্ট সসকে রক্ত ভেবে কি বোকা-ই-না হলাম।

তার প্রতি রাগ ক্ষোভ সব চলে গেল। নিশ্চিন্তে শুয়ে পড়লাম বারান্দার মেঝেতে।

ভোর সূর্যের আলোয় চোখ মেলে দেখি আকাশে পরিষ্কার এক টুকরো মেঘ। মেঘ দর্শনে কবিতা হারিয়ে গেছে নাজেহাল পরিস্থিতিতে।
পিঁপ, পিঁপ শব্দে গ্রীল ফাঁকে তাকিয়ে দেখি সাদা রঙ মেশানো গাড়ীর আগমন। দরজা খুলে বেরুলেন বাবার বন্ধু ওয়াসিফ সাহেব। যার মেয়ের সাথে আমার বেঁধেছিল নিকাহের বন্ধন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় আমি! বাবাকে গাড়ী থেকে নামতে দেখে। হায় খোদা! পালাবো কোথায়? গ্রীলে ঘেরা ছোট বারান্দা। দরজা তো রাত থেকেই বন্ধ। ভয়, লজ্জায় ইচ্ছে করছিল লাত্থি মেরে সব ভেঙে পালিয়ে বাঁচি। টমেটো সস মাখা কাপড়ে মুখ ঢেকে দেয়াল ঘেঁষে স্ট্যাচু হয়ে রইলাম।

আধ ঘন্টা পর ক্যেঁত… করে দরজা খোলার শব্দ কানে এলো। চোখ মেলে দেখি বাবা সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পায়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ক্ষমা চাইতে থাকি।

বাবা- আরে চুপ কর বোকারাম! উঠ, ভয় পাসনে। আমায় নিয়ে সোফায় বসালেন।

বাবা- শোন বেটা, তোকে একটু ঘোলাটে করার ইচ্ছায় আমাদের আগমন।

তুই তোর বিয়ে করা বউকে অবহেলা করেছিস গত একটি বছর। সবার মনে দুঃখ দিয়ে তোর ভালবাসার পাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে এসেছিস এতোদূর। জানিস তোর প্রেয়সীর আসল পরিচয়?

না বাবা, জানি না।

বাবা হেসে ফেললেন। বাবার সাথে তাল মিলানো সবার মুখে হাসি দেখে আমি বিস্মিত!

শোন, মুমতাহিনা তোর ওয়াসিফ আংকেলের মেয়ে। তোর বিয়ে করা বউ। বোকা ছেলে আমার!

ভেঙ্গেপড়া আকাশ মাথায় নিয়ে চোখ মেলে মুমতাহিনার দিকে তাকাতেই ভীষণ লজ্জা পেল।

“সাজানো ঘরে ফুলের সৌরভে দু’জন মাতি,

আজ থেকে শুরু হবে নব সুখের দম্পত্তি”।

[২৯ নভেম্বর, ২০১৭]