Home আন্তর্জাতিক ক্রিমিয়ায় রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ইউক্রেন

ক্রিমিয়ায় রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ইউক্রেন

স্থানীয় ইউক্রেনীয়দের শেয়ার করা ধোঁয়ার ছবি। (টেলিগ্রাম)

অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি অত্যাধুনিক রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার কথা জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির একটি গোয়েন্দা সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কিয়েভের সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিইউ) ও নৌবাহিনী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে ইয়েভপাটোরিয়ার কাছে একটি রাশিয়ান স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তবে কয়টি ইউনিটে আঘাত করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে রাশিয়ার দখলকৃত উপদ্বীপের পশ্চিমে শহরের কাছে আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে।

বিবিসি ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করেছে এবং তা ইয়েভপাটোরিয়াতে হামলার বলেই মনে হয়েছে।

মস্কো এখনো এই দাবির বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করেনি। পরিবর্তে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় এরিয়াল ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করেছে এবং একটি নৌ টহল জাহাজে পৃথক আক্রমণচেষ্টা ব্যর্থ করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া অবৈধভাবে ক্রিমিয়া দখল করেছিল।

বিবিসির গোয়েন্দা সূত্রের মতে, ইউক্রেনীয় অভিযানে রাডার সরঞ্জাম নিষ্ক্রিয় করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। তারপর বিমান প্রতিরক্ষার ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলোতে আঘাত করতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়। সূত্রটি বলছে, “রাডার স্টেশনগুলো নিষ্ক্রিয় করার পর নৌবাহিনীর ইউনিট দুটি নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ১.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এস৩০০ ও এস৪০০ ‘ট্রায়াম্ফ’ সিস্টেমে আঘাত করেছিল।”

সম্প্রতি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা দেশীয়ভাবে ডিজাইন করা নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করেছে।

এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে ইউক্রেনীয় গণমাধ্যম জানিয়েছ, স্থানীয় সময় ভোর প্রায় ৫টা ৪০ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সামরিক ঘাঁটির কাছে ধোঁয়া দেখা যায়।

আরও পড়তে পারেন-

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলাকে কম গুরুত্ব দিয়ে বলেছে, তারা ক্রিমিয়ার ওপর দিয়ে যাওয়া ১১টি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে। রাশিয়ার নিযুক্ত স্থানীয় কর্মকর্তারাও সামরিক স্থাপনা বা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কোনো ক্ষতির কথা জানাননি।

রাশিয়ার এস৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২০০৭ সাল থেকে চালু আছে।

এটি কোল্ড ওয়ার যুগের এস৩০০-এর একটি উন্নত সংস্করণ। সবচেয়ে হালনাগাদ সংস্করণের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪০০ কিলোমিটার দূরে ও ৪৮ কিলোমিটার উচ্চতায় লক্ষ্যবস্তুকে আক্রমণ করতে পারে। এটি বিমান ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে।

ইউক্রেন ক্রিমিয়ায় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করছে বলে মনে হচ্ছে। তারা গতকাল রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরের সদর দপ্তর সেভাস্তোপল বন্দরে একটি বড় হামলা চালায়। এতে দুটি রুশ নৌ জাহাজের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।

রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, হামলায় ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, যার ফলে ২৪ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার ইউক্রেনের দূরপাল্লার যুদ্ধাস্ত্রের বর্ধিত ব্যবহার প্রদর্শনের জন্য পরিবেশিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশটি ইউক্রেনে বিশ্বব্যাংকের পিস প্রকল্পের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবে। কর্মকর্তারা বলেছেন, তহবিলগুলো বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে।

সূত্র : বিবিসি

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।