কানাডার বাণিজ্যমন্ত্রী মেরি এনজি অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য মিশন স্থগিত করছেন। ভারত ও কানাডার মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সংক্রান্ত আলোচনা অক্টোবরে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। খালিস্তান ইস্যুর কথা উল্লেক না করে, ভারতের এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে গেলে আলোচনা আবার শুরু করা হবে।
শুক্রবার ভারত জানিয়েছিল, কানাডা তার মাটি থেকে ভারত বিরোধী কাজ বন্ধ না করলে তার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে না। প্রায় এক দশক পর দুই দেশের মধ্যে এফটিএ নিয়ে আলোচনা শুরু হতে চলেছে।
কিন্তু ভারত থেকে এই বিবৃতি আসার পরেই কানাডা আগামী মাসে ভারত সফরের বাণিজ্য মিশন স্থগিত করে প্রতিক্রিয়া জানায়। ভারতের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছিলেন, কানাডার রাজনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আপত্তির কারণে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বন্ধ করা হয়েছিল।
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
কানাডা ছিল ভারতের ৩৫ তম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। ২০২৩ অর্থবছরে ৮.১৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ছিল। এই সময়ের মধ্যে, ভারত কানাডায় ৪.১১ বিলিয়ন ডলার রফতানি করেছে। যা ২০২২ অর্থবছরে ৩.৭৬ বিলিয়ন ডলার ছিল।
কানাডা থেকে আমদানি ২৯.৩ শতাংশ বেড়ে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
শিখ ফর জাস্টিস গ্রুপ ১০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি গুরুদ্বারে খালিস্তানের দাবিতে গণভোটের আয়োজন করেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে তার দেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
জি২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর, ট্রুডো বলেছিলেন, কানাডা সর্বদা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বিবেকের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের প্রকাশকে রক্ষা করবে। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একই সঙ্গে আমরা সহিংসতা ও ঘৃণার অবসানও চাই। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে এফটিএ নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা শুরু হয় ২০১০ সালে।
সূত্র: রয়টার্,আজতাক
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ