।। মো. এমদাদুল্লাহ আরাবি ।।
মা-বাবা মৃত্যুবরণ করলেও তাঁদের প্রতি সন্তানের কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না, বরং তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের জন্য দোয়া করা সন্তানের অন্যতম দায়িত্ব। কিভাবে তাঁদের জন্য দোয়া করবে, পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘বলো, হে আমার রব! তুমি তাদের প্রতি দয়া করো যেমন তারা আমাকে ছোটকালে দয়াবশে প্রতিপালন করেছিলেন।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৪)
সুতরাং মা-বাবার প্রতি অন্যতম শিষ্টাচার হলো তাঁদের জন্য দোয়া করা। যার সওয়াব তাঁরা কবরে বসেও পেতে থাকেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমলের সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সওয়াব বন্ধ হয় না। ১. সদকায়ে জারিয়া (প্রবহমান দান)। ২. এমন জ্ঞান, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়, ৩. নেক সন্তান, যে তার পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৮৮০)
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
মা-বাবার জন্য সন্তানের দোয়ার কারণে পরকালে মা-বাবার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা জান্নাতে নেক বান্দার মর্যাদা উন্নত করেন। তখন সে বলে, হে রব! আমার এটা (মর্যাদা) কিভাবে হলো? আল্লাহ বলেন, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১০৬১৮)
দোয়ার পাশাপাশি তাঁদের জন্য দান-সদকা করা উচিত। দান-সদকা করা তাঁদের সঙ্গে শিষ্টাচারের অন্তর্গত। আয়েশা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে বলেন, আমার মায়ের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি (মৃত্যুর আগে) কথা বলতে সক্ষম হলে কিছু সদকা করে যেতেন। এখন আমি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করলে তিনি এর নেকি পাবেন কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। (বুখারি, হাদিস : ১৩৮৮)
মহান আল্লাহ প্রতিটি সন্তানকে মৃত মা-বাবার জন্য দোয়া করার তাওফিক দান করুন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ