দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হচ্ছে। এ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে রাজধানী থেকে তৃণমূলেও। যার যার অবস্থানে সবাই শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত। দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও পুনরায় দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা করছে ক্ষমতাসীন দল। এদিকে বিরোধী দলগুলোও এবার আর ছাড় দিতে রাজি নয়! ক্ষমতাসীন সরকারকে হটাতে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ-মিছিল, হরতাল-অবরোধ সহ নানা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দেশের এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সমাধান মূলতঃ কোন পথে? ‘রাজপথের সংগ্রাম, সমঝোতা নাকি আলোচনার টেবিল’; এবিষয়ে কথা হয় দেশের বিভিন্ন মাদরাসা শিক্ষার্থী তরুণদের সাথে। এই নিয়ে তাদের ভাবনার জগতটা কেমন? কী ভাবছেন তারা? তরুণদের মতামতগুলো পাঠকদের সামনে তুলে ধরছেন উম্মাহ২৪ ডটকমের নিজস্ব প্রতিনিধি- মুহাম্মদ নূর হোসাইন।
জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলূম যাত্রাবাড়ীর শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম মাসুম বলেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দু’মাসের মতো বাকি। এই সময়ে দেশে নির্বাচনী হাওয়া থাকার কথা থাকলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও বিরোধী দলগুলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনের দিকেই এগোচ্ছে। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহল ও দেশীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সংলাপের উপর গুরুত্বারোপ করলেও সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকারের প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না।
তিনি মনে করেন, নিরপেক্ষ সরকারের প্রশ্নে যদি সংলাপ বা আপোষ না-ই হয় তাহলে তাহলে অবশ্য সমাধান খুঁজতে হয় রাজপথে। আর রাজপথে সমাধান খুঁজতে গেলে বড় ধরনের সংঘাত ও সহিসংতার দিকেই এগোবে দেশ। এমতাবস্থায় উত্তম হবে- উভয় পক্ষ একটু নমনীয় হয়ে যেকোনো মূল্যে সমাধানের পথ খোঁজা। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করা। অবাদ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে সংঘাত মুক্ত রাখাই হবে সকলের জন্য কল্যাণকর।
জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা’র শিক্ষার্থী হাবিব তাইয়্যিব মনে করেন- বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝা যায় এককভাবে এর কোন সমাধান নেই। প্রথমেই যদি প্রশ্ন করা হয় রাজপথে সংগ্রাম কখন হয়? তখন আমি বলবো- যখন আলোচনার টেবিল নিরপেক্ষ না থাকে! ভিন্ন ভাবে দেখলে বলা যেতে পারে -স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম একটি জাতির সার্বিক কল্যাণের সঙ্গে জড়িত। এই কল্যাণ সাধিত হয় অর্থ -সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সকল দিক থেকেই। আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তখন দেখি- বাঙালির স্বাধীনতাও হঠাৎ করে অর্জিত হয়নি। এর পেছনেও বহু শতাব্দীর, অগণিত মানুষের সংগ্রাম, শোষণ-বঞ্চনা, ক্ষোভ, লড়াই ইত্যাদি বিদ্যমান!
তিনি বলেন, সমাধান একটাই আন্দোলন- সংগ্রাম ও আলোচনার টেবিলের সমন্বয় সাধন! অর্থাৎ চুড়ান্ত সমাধান পেতে আন্দোলন কারীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। সেইসাথে আলোচনার টেবিলের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এদুটোর সমন্বয়ে সমাধান সম্ভব। অন্যথায় সংঘাত ছাড়া বিকল্প কিছু দেখছি না!
আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী চট্রগ্রামের শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমদ রাফি বলেন- বর্তমানে দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জনসাধারণের মধ্যে যে অশান্তি বিরাজমান, তা থেকে মুক্তি পেতে রাজপথে সংগ্রাম ছাড়া উপকারি কোনো রাস্তা আছে বলে মনে হচ্ছে না।
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার গনতন্ত্রকে যে ভাবে গলাটিপে হত্যা করেছে এবং প্রশাসন থেকে নিয়ে প্রত্যেক সেক্টরে দলীয়করণ ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণহারে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, জেল-জুলুম রিমান্ড দিয়ে কোণঠাসা করেছে তাতে কোনোভাবে রাজপথের সংগ্রাম ব্যাতিরেকে আলোচনা বা সমাঝোতার পথ খোলা নেই। অতএব, দেশের শান্তি ও জনগণের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে সকল বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনসাধারণকে সাথে নিয়ে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মিরপুর ঢাকা’র শিক্ষার্থী আহমদ আল গাজী বলেন- ক্ষমতাসীন পার্টির অধীনে গত দুটি নির্বাচনের সার্বিক দিক বিবেচনা করলে যেটা প্রতীয়মাণ হয়—দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও সরকার যেকোনো মূল্যেই তার মসনদ টিকিয়ে রাখতে চাইবে। আর এটার জন্য তারা যেকোনো সীমানা অতিক্রম করতে সামান্যতম কুণ্ঠাবোধ করবে না বলে আমার ধারণা। ১৩’র হেফাজত আন্দোলন যদিও সরকার বিরোধী আন্দোলন ছিল না, কিন্তু সরকার হেফাজতকে প্রতিপক্ষ ভেবে, তাদের কোমর ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করেছে। ঠিক দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পূর্ব বিরোধী দলের কর্মসূচিতে সরকারের নৃশংসভাবে হানা দেয়ার পসিবলিটি অনেক। সর্বোপরি এটাই বলতে হয় যে, দেশ বাঁচাতে হলে এই মূহুর্তে গণ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এই সরকারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনৈতিকতার আশ্রয় এত পরিমাণ যে, তাদের মধ্যে নৈতিকতার বিন্দুমাত্র ছিটেফোঁটাও আর অবশিষ্ট নেই। সমঝোতা বা আলোচনা ত হয় তাদের মধ্যে; যারা এটার যোগ্য। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল এই যোগ্যতা বহু পূর্বেই হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমান সময় দেশবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় দুর্যোগ এই সরকার। এই দুর্যোগ কে মোকাবেলা করার জন্য বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সময় ও বাস্তবতার দাবী, যদিও তা সাময়িক হয়।
জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর, বিয়ানীবাজার, সিলেটের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ বলেন- বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলগুলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জোর দাবি জানাচ্ছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল। ক্ষমতা হাতছাড়া করতে কিছুতেই সম্মত না তারা। বিরোধী দলগুলো নিজেদের ব্যানারে ঢাকার রাজপথে মিছিল মিটিং করছে। দাবি আদায়ের আন্দোলনে মাঠে সরব ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা গ্রেফতার, গুম, খুন অব্যাহত রাখছে। বিরোধী দলগুলোর ভিত্তি দুর্বল করতে সর্বপ্রকার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
তিনি মনে করেন, শান্তিপ্রিয় সভ্য ব্যক্তি মাত্রই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার প্রস্তাব দেবে। প্রতিটি পক্ষ আলোচনার টেবিলে বসে সমঝোতার মাধ্যমে দেশের জন্যকল্যাণকর একটা বিষয়ে একমত হবে—সবাই এটাই চায়। কিন্তু ক্ষমতার মোহে অন্ধ যারা, তারা কি আর দেশ ও দশের কথা ভাবে? শান্তি ও সুশৃঙ্খলার স্বার্থে এমন একটি পদক্ষেপ নিতে পারলে কতোই না ভালো হতো। কিন্তু এমন আশা কেবল আশাই থেকে যাবে। আদৌ বাস্তবতার মুখ দেখবে বলে মনে হয় না। বরং অতীত অভিজ্ঞতার প্রতি খেয়াল করলে মনেহয়, বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই হতে পারে সমাধান।
জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগর টাইটেল মাদরাসা হবিগঞ্জের শিক্ষার্থী মোছদ্দিক বিল্লাহ আজহার মনে করেন- সরকারি দলকেই এগিয়ে আসতে হবে, আন্তরিকতা নিয়ে আলোচনায় বসলে সমাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, জমিয়ত, জাতীয় পার্টি সহ সকল রাজনৈতিক দলের উপর সংলাপে বসার তাগিদ থাকলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। যার যার অবস্থানে অনড় থেকে রাজপথেই নিজেদের শক্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হচ্ছে দলগুলো। এতে পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ময়দানে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিএনপি জামায়েত এবং ইসলামি দলগুলো বলছে, আলোচনার এজেন্ডা হতে হবে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে।অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল চাচ্ছে ভোটগ্রহণ সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। যা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর মধ্যে জমিয়ত, এবং ইসলামি আন্দোলন সহ সব রাজনৈতিক দল কোন ভাবেই মানবে না। কারণ এই সরকারের অধীনে আগেও কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি এবং সামনেও হবে না নিশ্চিত।
তিনি বলেন, যদিও চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে অর্থবহ সংলাপই শেষ ভরসা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দলগুলো এবং সুশীল সমাজসহ দেশের বিশিষ্টজনরা। তাদের মতে, সব দলের অংশগ্রহণে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে আলোচনার টেবিলে বসা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
এমতাবস্থায় আমি মনে করি- যেভাবে পরিস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে সমাধান না হলে দেশের পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে উঠবে। এক দল গায়ের জোরে নির্বাচন করিয়ে নিতে চাইবে, আরেক দল যে কোনো মূল্যে তা প্রতিহত করতে চাইবে। ফলে নির্বাচনের আগে সহিংস হয়ে উঠবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সংলাপই একমাত্র সমাধান।
আলহাজ্ব আব্দুল মালেক মাতব্বর ইসলামিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা খিলক্ষেত ঢাকা’র শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসাইন বলেন- প্রতিটা দেশের মাঝে শাসক নিযুক্ত করা হয় এজন্য যে, তারা শাসন ক্ষমতায় এসে সকল মানুষের প্রতিনিধি হয়ে দেশের প্রত্যেক জনগণের সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে সুশাসন বাস্তবায়ন করতঃ একটি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গঠণ করবে। কখনো এজন্য কোন শাসককে নিযুক্ত করা হয়না যে তারা শাসন ক্ষমতায় এসে শুধুমাত্র নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করবে এবং জণগণের কল্যাণের দিক বিবেচনা না করে কেবল ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য দেশের মাঝে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি করে মানুষের সাধারণ জীবন চলার পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দেশের মাঝে সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে যে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি- এর মাধ্যমেই কেবল সমাধানের পথ বের হবেনা বরং প্রকৃত সমাধানতো পাওয়া যেতে পারে আলোচনার টেবিলেও। এবার প্রশ্ন হতে পারে আলোচনার পরিবেশ আছে কিনা? উত্তরে আমি বলবো- আলোচনার পরিবেশ নেই ঠিক তবে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে যা করণীয় তাই করা দরকার! তবুও যদি উদ্ভট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হতে হয় তাহলে রাজপথই সমাধান।
জামিয়া ইসলামিয়া ওয়াহিদিয়া মোহাম্মদপুর, ঢাকা’র শিক্ষার্থী হুজাইফা আল জারীর বলেন– আমাদের রাজনৈতিক নীতি আদর্শ হলো দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করা। প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। কিন্তু বড় আফসোস! বর্তমান সরকার দেশে একতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গুম-খুন, মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে প্রতিনিয়তই দেশের শান্তিকামী জনতাকে হয়রানি করছে। গনতন্ত্রের বুলি আউড়িয়ে গনতন্ত্রকে টুঁটি চেপে হত্যা করছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশকে ঋণ খেলাফির শিকরে পরিনত করেছে। যার দরুন দেশের অর্থনৈতিতেও বিশাল বিপর্যয় নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, দেশের এই করুণ পরিস্থিতিতে আমরা তরুণ প্রজন্ম বহু আলোচনা, সভা-সেমিনার ও রাজপথের সংগ্রাম দেখেছি। যদিও এর প্রায় সবগুলোই স্বার্থ আর চার দেওয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে দেখেছি। এমতাবস্থায় আমি মনে করি- এখন সময় এসেছে চূড়ান্তভাবে রাজপথের সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার। দেশের উত্তপ্ত এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প দেখছি না!
জারীর দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা দেশকে নিয়ে ভাবুন, দেশের কল্যাণে কাজ করুন। স্বার্থের রাজনীতি পরিহার করুন। কেননা, রাজনীতিবিদদের স্বার্থের রাজনীতির কারণেই আজ দেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতির শিকার। রাজনীতিবিদরা সৎ ও নীতিবান হলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে বলে আমি মনে করি।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ