উম্মাহ রিপোর্ট: উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার কর্তৃক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী।
আজ (৫ আগস্ট) বাদ আসর জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিবাদ সভা শেষে এই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। প্রতিবাদ সভায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী সভাপতিত্ব করেন।
দলের নগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুফতী বশিরুল হাসান খাদিমানীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, মিখাইল গর্ভাচেভের আমলে যেমনিভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে খানখান হয়েছিল, মোদি সরকারের আমলে ভারতের সেই পরিণতি হতে যাচ্ছে। মোদি ভারতকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিণতির দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। ১৯৪৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সনদ এবং সংবিধানের ৩৭০ ধারা; যার মাধ্যমে তাদের একটা স্বতন্ত্র এবং স্বায়ত্তশাসন ছিল। হিন্দুত্ববাদি বিজেপি সরকার এই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তাদের সে অধিকার কেড়ে নিল।
আল্লামা ইউসুফী বলেন, এভাবে একটি রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার নীতি অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে চলতে পারে। তাই কাশ্মীরের এই অধিকার এবং তাদের স্বকীয়তা বাতিল করার মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যের জনগণ ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে সন্দেহ নেই। এতে করে সারা ভারতে একটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কার্যত: মোদি সরকার ভারত রাষ্ট্র ও ভারতের কোন উপকার তো করছেই না, বরং ভারতের অখণ্ডতার জন্য হুমকি তৈরি করছে। যেটা ভারতের বোদ্ধা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যেই আশংকা ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং কাশ্মীর নিয়ে মোদি সরকারের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে ভারতীয় জনগণেরই সোচ্চার প্রতিবাদ করা দরকার।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম মোদি সরকারের কাশ্মীরের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করে বলেছেন- ‘কেন্দ্রীয় সরকারের আজকের এই সিদ্ধান্ত ভারতকে ধ্বংস করে দেওয়ার একটা উদ্যোগ এবং আজকে এই দিবসটি সাংবিধানিক কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে’।
অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, জমিয়তের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার ছয়ঘরী, জমিয়ত ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহবুবুল আলম, জমিয়ত ঢাকা মহানগরীর প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি গোলাম মাওলা, মুফতি মিনহাজুল আরেফিন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, হাফেজ সাইফুর রহমান ও মাওলানা আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন ,ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কাশ্মীরের গণহত্যার প্রতিবাদ করা বাংলাদেশ সরকারের এই মুহূর্তে প্রথম কর্তব্য । এই জায়গাতে সরকারের নীরবতায় দেশবাসী আহত হয়েছেন।