Home জাতীয় ইসলাম মানব কল্যাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধী নয়: আল্লামা কাসেমী

ইসলাম মানব কল্যাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধী নয়: আল্লামা কাসেমী

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস হল মহাগ্রন্থ আল কুরআন। তথ্য-প্রযুক্তি আবিস্কার হবে এটা আলিমুল গায়েব মহান আল্লাহর জ্ঞানে আছে। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির দ্বারা কুরআন -হাদিসকে বুঝা সহজ হয়েছে। তবে অবশ্যই বিজ্ঞ আলেমের তত্ত্বাবধানে পবিত্র কুরআনের গবেষণা হতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিরোধী নয়। বরং মানব কল্যাণে জ্ঞান-গবেষণা ও প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করে থাকে। তবে এই জ্ঞান, গবেষণায় অবশ্যই আদর্শ ও নৈতিকতার উপস্থিতি থাকতে হবে। অসৎ ও অনৈতিক কাজে জ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুুক্তির ব্যবহার রোধ করতে হলে নীতি-নৈতিকতা ও ধর্মের উপস্থিতি থাকতে হবে।

আজ (৭ জানুয়ারী) সিলেট শহরতলির পীরের বাজারস্থ চৌধুরী পাড়া মাঠে জামেয়াতুল খাইর আল ইসলামিয়া আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ক্বেরাত সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেছেন জকিগঞ্জের মুনশীবাজার মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা মুক্বাদ্দাস আলী ও শায়খুল হাদিস আব্দুল মুছাব্বির আইয়ূবী। যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন জামেয়াতুল খাইর আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা মুফতি আবদুল মুনতাকিম ও প্রতিষ্ঠানের সহকারি পরিচালক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম।

সম্মেলনে আল্লামা কাসেমী আরো বলেন, নিঃসন্দেহে ক্বেরাত চর্চা কুরআনি সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে। ইসলামের ফিক্বহ শাস্ত্রে উচ্চতর গবেষণার প্রাণকেন্দ্র এই জামেয়া তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের বড় বড় ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞদের রচিত গ্রন্থ স্টাডি করার ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য করে দিয়েছে।

সম্মেলনে আরো বয়ান করেছেন, জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরার মহাপরিচালক আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দীন, জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহ সিলেটের মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, শাইখুল হাদীস আল্লামা মকবুল হুসাইন আসগরী, জামেয়া দরগাহপুর সুনামগঞ্জ এর মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস আল্লামা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, দারুল উলূম কানাইঘাট এর শাইখুল হাদীস মাওলানা আলিমুদ্দীন দূর্লভপুরী, সুরাইঘাট মাদরাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা শফিকুল হক সুরাইঘাটী, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার মুহতামিম মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান, মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ ঢাকা, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান ধনুকান্দী, নাইয়রপুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা নাজমুদ্দীন কাসিমী, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মাওলানা আব্দুল মতিন নবিগঞ্জী, মাওলানা নাইম উদ্দীন শাহসুন্দরসহ দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম।

সম্মেলনে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা শ্বাসের অধিকারী মিশরের শায়খ মনসুর জুমা, ইরানের শায়খ মো. সাঈদ গান্দুম তুসী, মিশরের জাতীয় সংসদের প্রধান ক্বারী শায়খ মুহাম্মদ আল মুরিজী, তানজানিয়ার ক্বারি মুবারক শাবনী রুমিজা, ইন্দোনেশিয়ার শায়খ ক্বারি দারউয়িন হাসিবুয়ান, ইয়ামেনের ক্বারি হাইসিম আদ দাখিন, লন্ডনের শায়খ ক্বারি কাজী লুতফুর রহমান, বাংলাদেশের ক্বারি আবুল হোসাইন, শায়খ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী, কাতারের শায়খ নূর মোহাম্মদ, ঢাকার ক্বারি মাহমুদুল হাসান ও বিশ্বজয়ী খুদে হাফেজ কাতারের মুহাম্মদ মুহান্নাদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে তিলাওয়াত করে শোনান। তেলাওয়াত করেন।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী জমিয়ত নেতা হাফিজ হোসাইন আহমদ, মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আব্দুল মুক্তাদির প্রমুখ।