উম্মাহ ডেস্ক:
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে করোনাভাইরাসের যে টিকাটির চূড়ান্ত পরীক্ষা করছিল, একজন অংশগ্রহণকারী অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সেটি স্থগিত করা হয়েছে।
ব্যাখ্যা করা যায় না, এমন অসুস্থতার কারণে এরকম বিরতিকে ‘রুটিন’ কাজের অংশ হিসাবে বর্ণনা করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
এই টিকার ফলাফলের দিকে সারা বিশ্বই তাকিয়ে রয়েছে।
করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে বিশ্ব জুড়ে যেসব চেষ্টা চলছে, তার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসাবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন-
- মহামারিকালেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তনীয় থাকে কীভাবে?
- সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহ (সা.)এর যুগান্তকারী ভূমিকা
- পাকিস্তান-ভারত-শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশে ট্রেনের ভাড়া বেশি
- হাদীসের আলোকে শ্রেষ্ঠ মানুষের ১০ বৈশিষ্ট্য
- রোহিঙ্গা সঙ্কটের ভিত্তিমূল অনেক গভীরে
সফলভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে, এই টিকাটি সবার আগে বাজারে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীদের ওপর তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় হাজার হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়ে থাকে। অনেক সময় সেটা কয়েক বছর ধরেও চলতে পারে।
আশা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ এই ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে। এসআইআই ইতিমধ্যে বৈশ্বিক সরবরাহের জন্য এই ভ্যাকসিনের ১০০ কোটিরও বেশি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যে অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্যাভির সঙ্গে অংশীদারিত্বে পৌঁছেছে।
খুব শিগগির ফের ট্রায়ালটি শুরুর আশাবাদ জানিয়েছে অক্সফোর্ডের টিকার বিপণন অংশীদার ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বড় ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা নতুন নয়। এটি এক ধরনের রুটিন ওয়ার্ক।
উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি