Home রাজনীতি জনগণ খেল কি খেল না, সুখে আছে না দু:খে আছে, তাতে সরকারের...

জনগণ খেল কি খেল না, সুখে আছে না দু:খে আছে, তাতে সরকারের কিছু আসে যায় না: আল্লামা ইউসুফী

সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন আল্লামা আবদুর রব ইউসুফী।

পুলিশী হেফাজতে মানুষ হত্যা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ক্রমবর্ধমান হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং জিনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণ প্রতিরোধে ৬ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমমনা ইসলামী দলসমূহ গতকাল রাজধানী ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে এতে সমমনা দলসমূহের শীর্ষ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি আল্লামা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, সিলেটে পুলিশের হেফাজতে রায়হান হত্যাকাণ্ড এতদিন হয়ে গেল।অথচ মূল আসামী খুনি আকবরকে এখনো গ্রেফতার হয়নি। আমরা এর কারণ জানতে চাই!

তিনি বলেন, আমরা যখন একটা ইস্যু নিয়ে প্রোগ্রাম সেট করি, সেই প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার আগেই দেখা যায় আরেকটা ইস্যু আমাদের হাতে চলে আসে। ইসলামের দুশমনরা আমাদেরকে ব্যস্ত রাখতে চায় নানা ইস্যু নিয়ে। আমরা যখন ধর্ষণের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি, সরকার যখন এদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাশ করেছে, ওদের গায়ে আগুন লেগে গেছে। এখন তারা ধর্ষণ ও ব্যভিচারের প্রতি উদ্দিপনা সৃষ্টিকারী নাটক-সিনেমা ও বেলেল্লাপনা যাতে বন্ধ না হয়, সে জন্য ওয়াজ-মাহফিলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার ও অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের গায়ে আগুন লাগলে জ্বলে-পুড়ে মরুক, কিন্তু এদেশের মানুষ কখনোই মাদ্রাসা, মসজিদ ও ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ করবে না।

আল্লামা ইউসুফী পুলিশ হেফাজতে সিলেটে রায়হান হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করে বলেন, আজ দেখলাম পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন রায়হান হত্যাকারী আকবর বিদেশে পালাতে পারবে না, তাকে গ্রেফতার করা হবে। গ্রেফতার করবে পুলিশ। আপনারা তো পুলিশের সরকার। আপনারা তো জনগণের সরকার নন। আজকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জনগণের নয়।না হয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা ডিউটিরত অবস্থায় রায়হানকে হত্যা করে কী করে পালিয়ে যেতে পারে, জনগণ জানতে চায়। জনগণকে ধোঁকা দিবেন না। জনগণ ধোঁকায় বিশ্বাস করে না।

আরও পড়তে পারেন-

তিনি বলেন, আজ সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারবেন না। কারণ, আপনারা যাদের উপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছেন, ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছেন, এখন সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে চোখ রাঙানি দিতে হবে। তো, আপনারা দেশ চালান, আমাদেরকে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দায়িত্ব দিন। আমাদের নও জোয়ানরা লাঠি হাতে নিয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে। বাংলাদেশি হত্যকারি বিএসএফকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খতম করে দিবে।

জমিয়ত সহসভাপতি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে নেতারা সকলে বলেছেন, আমি আর কি বলবো! জনগণ খেল কি খেল না, জনগণ সুখে আছে না দু:খে আছে, আমাদের সরকারের কিছু আসে যায় না। কারণ, জনগণ তাদেরকে ভোট দেয় না। পুলিশ ও দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তারা ক্ষমতায় আছে। জনগণের কি হল না হল তাদের ভাবনার কি দরকার! ভারত যদি তাদের পক্ষে থাকে, তাহলেই তারা বেঁচে যায়।

আল্লামা ইউসুফী বলেন, ভারত রক্ষা করতে পারবে না। কোন বাহিনী ও পুলিশ রক্ষা করতে পারবে না। থাইল্যান্ড ও অন্যান্য দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না। ইনশাআল্লাহ, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর নেতৃত্বে দেশের আলেম সমাজ সকল জুলুম-অত্যাচার ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন গড়ে তুলবে। সকল অন্যায় ও জুলুমের মোকাবেলা করা হবে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।