নূর হোসাইন সবুজ: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হুযাইফা ইবনে ওমর বলেছেন, ইসলামের নামে কতিপয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যখন সন্ত্রাস করছিল তখন এদেশের মুসলমানেরা সম্মিলিতভাবে সেটা রুখে দিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, রানা দাশ গুপ্ত একজন উগ্র মতাদর্শী। তিনি প্রায়শই তার বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক উস্কানী দিয়ে থাকেন এবং সন্ত্রাসীদের মতো ভাষায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। কার্যত: তিনি দেশে গোলযোগ তৈরি করে ফায়দা লুটতে চান।
হুযাইফা ইবনে ওমর সংখ্যালঘুদের প্রতি আহবান করে বলেন, প্রিয় সংখ্যালঘু ভাইয়েরা, আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আপনারাও শান্তি ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। তা যদি না হতো তাহলে একই শহরে একই দিনে রোজা আর পূজার দৃশ্য এদেশের মানুষ দেখতো না। এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি আছে কিনা আমার জানা নেই।
আরও পড়তে পারেন-
- ডাক্তারদের জন্য ঔষধ কোম্পানীর গিফট ও কমিশন গ্রহণ করা কি হালাল?
- বিজ্ঞানের আলোকে নামাযের বাতেনী ভেদ ও উপকারিতা
- যেই ভাবনাটি আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে: সানা খান
- শাস্তি ছাড়া সন্তান বড় করার ১০ উপায়
- শিক্ষকদের প্রতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী’র দরদমাখা অমূল্য নসীহত
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া, জমিজমা দখল করার মত যেসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে এগুলোর সাথে ধর্ম বা ধার্মিকদের ন্যুনতম কোনো সম্পর্ক নেই। সবগুলোতেই ভিলেজ পলিটিক্স ফ্যাক্ট। বিশ্বাস না হয় খোঁজ নিয়ে দেখুন। কাজেই যারা ধর্মের পরিচয় দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশকে অশান্ত করতে চাচ্ছে, সেসব বিচ্ছিতাবাদিদের সাথে আপনারা যে নেই সেই বিশ্বাস আমরা রাখতে চাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটূট রাখতে রানা দাস গুপ্তদের ষড়যন্ত্র রুখতে সংখ্যালঘু সমাজেরও সোচ্চার হওয়া জরুরী।
তিনি আরো বলেন, আমরা যেমন ধর্মের নাম দিয়ে সন্ত্রাস করায় শায়েখ রহমান-বাংলা ভাইদের সম্মিলিতভাবে রুখে দিয়েছিলাম, আপনারাও উগ্র সন্ত্রাসী রানা দাশদের রুখে দিন।
তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন সম্প্রীতি বজায় রেখে বরাবরের মতো সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে সবাই একসাথে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেই। [ফেসবুক পোস্ট থেকে]
উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com