ভাস্কর্যের নামে বঙ্গবন্ধুর প্রতিমূর্তি বানিয়ে তাঁকে গুনাহগার বানানোর উদ্যোগ বন্ধের দাবী জানিয়ে ঈমানদার জনতার গণ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যে দেশবাসী হতবাক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
আজ (১৫ নভেম্বর) বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি বলেন, প্রায়ত মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান হয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এর গতকালকে দেয়া বক্তব্য মেনে নেয়া যায় না। মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী “বাড়াবাড়ি করবেন না, ঘাড় মটকে দেবো” বলে বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন কিনা একটু খতিয়ে দেখবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মাননীয় উপমন্ত্রীর ঘাড় মটকে দেবার বক্তব্য ঈমানদার জনতার সাথে যুদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত বহন করে। সরকারের একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি কি জনগণের সাথে কোন রকম যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন?
আরও পড়তে পারেন-
- আনুগত্যের গুরুত্ব ও সীমারেখা
- আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা রোধ করতেই হবে
- বাছিরাত বা অন্তর্চক্ষু উন্মোচন
- জুয়াড়ি ট্রাম্প, লড়াকু বাইডেন ও শেখ সাদি’র কথা
- যেভাবে অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম
মাওলানা শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নিয়ে ধোলাইপাড় চত্বরের পরিবর্তে ধুপখোলা মাঠে তৌহিদী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত গণ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ মূর্তির বিষয়ে ইসলামের বিধি নিষেধ সম্পর্কে বক্তব্য দিয়ে এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা রক্ষায় ঈমানদার জনতা তাদের করণীয় সম্পর্কে বলেছিলেন। জনাব আলহাজ্ব মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান হিসেবে জনাব নওফেল এর প্রয়োজন ছিলো মুর্তির পক্ষে ইসলামের নির্দেশনা থাকলে তা তুলে ধরা। নয়তো, সরকার প্রধান বা সংশ্লিষ্টদের উপরে ছেড়ে দেয়া। তা না করে ঈমানদার জনতার সাথে সঙ্ঘাতে জড়ানোর উস্কানীমূলক বক্তব্য দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। এমন বক্তব্য ঈমানদার জনতাকে আন্দোলিত করে দেশকে অস্তির করে তুলতে পারে।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, মাননীয় শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের ঈমানদার মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ঈমানদার জনতা মনে করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাবার ঐতিহ্য ভুলে কারো প্ররোচণায় পড়ে এখন এমন হুমকি-ধামকি দিয়ে কথা বলছেন। – বিজ্ঞপ্তি।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ