বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির এবং দলের ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পৃথিবীতে আগমন হয়েছিল মূর্তিকে ধ্বংস করার জন্য।
তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ(সা.) কাবা ঘরের পাশে থাকা সব মূর্তি ধ্বংস বা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। স্মৃতি ধরে রাখতে আবক্ষ মানব বা কোন প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ করা ইসলামে হারাম। ভাস্কর্য এবং প্রাণীর মূর্তি এক ও অভিন্ন, এর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। মানুষ এটার পূজা করুক, আর না করুক ইসলামের দৃষ্টিতে কোন প্রাণীর ভাস্কর্য তৈরি করা হারাম।
গতকাল বাদ যোহর ডেমরায় অনুষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলনের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা সাব্বির আহমেদ, মোঃ হাসানুজ্জামান, মাওলানা সানাউল্লাহ ও মাওলানা বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
মাওলানা হামিদী আরো বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তাঁর ভাস্কর্য নয়, স্থানে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করুন। মসজিদ আল্লাহর ঘর। মানুষ সেখানে ইবাদত বন্দেগী জিকির তেলাওয়াত দোয়া করবেন। সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর ইবাদত করার কারণে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে, ছাওয়াব পাবে। আর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি হলে বঙ্গবন্ধুর কবরে আজাব হবে।
মাওলানা হামিদী বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত হিতাকাঙ্খীরা কখনো ভাস্কর্য- মূর্তিকে সমর্থন করতে পারে না। এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা কাফির-মুশরিকদের মূর্তি সংস্কৃতি বরদাশ্ত করবে না।
মাওলানা হামিদী আরো বলেন, মূর্তি সম্পর্কে মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং মাওলানা মামুনুল হক যা বলেছেন, কোরআন হাদিস থেকে সঠিক বলেছেন। যারা মূর্তির পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে, আলেমদের অবমাননা ও কটাক্ষ করছে তাদেরকে প্রকাশ্যে তওবা করতে হবে। আল্লাহর- রাসূলের বিপক্ষে গিয়ে যারা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি বলেন, ইসলামকে মিটিয়ে দিতে আজ চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে। নাস্তিক- মুরতাদ, কাদিয়ানীরা ধর্মপ্রাণ জনতার ঈমান-আকিদা নষ্ট করছে। ইসলাম বিরোধী সকল তৎপরতা বন্ধ করতে আমাদেরকে খোলাফায়ে রাশেদার অনুকরণে খেলাফত পদ্ধতি শাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com