হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছাত্রদের যোগ্যতাসম্পন্ন আলেম হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। মুসলামানদের জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে হবে। একইসাথে পুর্ণাঙ্গভাবে দ্বীন কায়েমের জন্য সবাইকে সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার গুনও আর্জন করতে হবে। হক্কানী আলেম তথা দীনদার মানুষগণ যদি সমাজের নেতৃত্ব দেন তবে দেশে বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার, জুলুম থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। সবাইকে দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের বিপর্যয়ের পর এ উপমহাদেশের আলেমগণ নতুন পরিকল্পনা নিয়ে দারুল ঊলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। অর্থাৎ হক্কানী আলেম ও দীনদার মুসলমান তৈরী এবং সা¤্রাজ্যবাদী বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে ফলপ্রুস করতে যোগ্য লোক তৈরীর জন্য দারুল ঊলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। জামিয়া রাহমানিয়া দারুল ইসলাম মাদ্রাসার ছাত্র কাফেলার বার্ষিক সীরাতুন্নবী সা. প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- কাশ্মীরীরা নিজেদের ভারতীয় মনে করে না, তারা ভারতীয় হতে চায় না
- আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.): কিছু কথা, কিছু ব্যথা
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- ‘গ্যাং’ কালচারের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা সময়ের দাবী
আজ সকাল ৯টায় কাজলা বিশ্ব রোডস্থ মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ওযায়ের আমীনের সভাপতিত্বে ও নাজেমে তালিমাত মুফতি হাফিজ আহমদ আমিনীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট আলেমে দীন মুফতি গোলাম রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আহমদ, মুফতি আমিনুল ইসলাম তৈয়্যিবি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, মাওলানা আজীজুল হক, অধ্যাপক মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল্লাহ ইয়াইয়া মাওলানা ইঊসুফ মুহাম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফয়জুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল গাফফার, আবদুর রহমান, প্রমুখ।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ