সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা দখল করায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। একইসঙ্গে দেশটিতে আপাতত কোনো রকম উন্নয়ন সহযোগিতা না দেওয়ার বিষয়েও একমত হয়েছে সংস্থাটি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
জানা যায়, সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে ইইউ। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটির পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ককে লক্ষ্যবস্তু করা হলে তা আসলে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
তিনি বলেন, ‘সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন অর্থনৈতিক স্বার্থের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে রাজনৈতিক ভাবে একমত হয়েছি আমরা। একইসঙ্গে মিয়ানমারকে দেওয়া আমাদের সকল সরাসরি অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ থাকবে।’
সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লেইংসহ দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড। তবে দেশের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ ও বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান সমালোচনা সত্ত্বেও বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেছে বার্মিজ জান্তা সরকার।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ