Home শিক্ষা ও সাহিত্য নতুন প্রজন্মকে মুসলিম নারীদের অবদান জানাতে নিউজিল্যান্ডের স্কুলে বিশেষ উদ্যোগ

নতুন প্রজন্মকে মুসলিম নারীদের অবদান জানাতে নিউজিল্যান্ডের স্কুলে বিশেষ উদ্যোগ

- প্রতিকী ছবি।

মুসলিম নারীদের ভূমিকা সমাজে অনস্বীকার্য। আর তাই মুসলিম নারীদের অবদান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নিউজিল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইসলাম বিদ্বেষ ও মুসলিম নারী সম্পর্কে ভুল তথ্য মোকাবেলায় দেশটির ওয়েলিংটন শহরের মাধ্যমিক স্কুলে একটি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।

ইসলাম সম্পর্কে মানুষের ভুল মনোভাব বদলাতে দেশটির দি ইসলামিক উইম্যানস কাউন্সিল এ প্রোগ্রামটি চালু করে। সংগঠনটির মুখপাত্র আনজুম রহমান জানান, সমাজের মানুষ ধীরে ধীরে উদার মনে হলেও এখনও অনেক মানুষ বিভাজনে বিশ্বাস করেন। 

রহমান বলেন, অনেক মানুষ মনে করেন যে মুসলিম নারীদের মগজ ধোলাই করা হয়েছে, তারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত। অথচ আপনারা জানেন, আমাদের সমাজে নারীরা বড় বড় অবদান রেখে অনেক জনপ্রিয় হচ্ছেন। 

এক বিবৃতিতে আনজুম রহমান বলেন, ‘তাই আমরা ১৩ জন মুসলিম নারীরা জীবনী রচনা করেছি। দৈনন্দিন জীবনে তাঁরা কী কী দায়িত্ব পালন করেন ও তাঁদের জীবনের সুন্দর গল্প নিয়ে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে।’ এর মাধ্যমে মুসলিম নারীদের ভূমিকা নিয়ে মানুষের ভুল ধারণা ভাঙবে বলে বিশ্বাস করেন রহমান।  

মুসলিম নারীদের ব্যাপক অবদান সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন আনজুম বলেন, ‘আমাদের অনেক নারী আইনজীবী, বিচারক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ও নারী শরণার্থীর দায়িত্বশীল ছাড়াও অনেক ধরনের দায়িত্ব পালন করেন নারীরা। 

আরও পড়তে পারেন-

মুসলিম নারীদের ব্যাপক অবদান সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি পরিকল্পনা প্রস্তাবনা পেশ করে দি ইসলামিক উইম্যানস কাউন্সিল। পরবর্তীতে প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় সহায়তা করে। 

পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ অনেক আগ থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের মসজিদ হামলার ঘটনায় তা থেমে যায়। অতঃপর প্রোগ্রামটি গত বুধবার ওয়েলিংটন শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। 

নিউজিল্যান্ডের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধানদের কাছে প্রোগ্রামের বিষয় সম্পর্কে ইমেইল করে জানানো হয়েছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সুবিচার বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্পেও তা কাজে লাগানো যাবে। 

নিউজিল্যান্ডে মোট জনসংখ্যার মাত্র এক ভাগ মুসলিম। গত শতাব্দির শুরু থেকে ৬০-এর দশকে দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপ থেকে অভিবাসী মুসলিমরা আসে। তাছাড়া ৭০-এর দশকে ভারতীয় ফিজির আগমনের মাধ্যমে অধিকাংশে আগমন। ১৯৫৯ সালে সর্বপ্রথশ দেশটিতে ইসলামি সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটিতে বর্তমানে অসংখ্য মসজিদ ও ইসলামিক স্কুল আছে। সূত্র- নিউজ হাব।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।