ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, দেশে বিভেদ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের প্রচেষ্টা সফল হবে না। খবর এনডিটিভির।
দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে কারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের (এনসিসি) এক সমাবেশে বক্তব্য দেন মোদি। তিনি আরও বলেন, একতার মন্ত্রই ভারতের গৌরব অর্জনের একমাত্র পথ।
মোদি বলেন, তরুণদের জন্যই বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল ও স্টার্টআপ যুগের সূচনা করেছে। এতে তরুণেরা লাভবান হচ্ছেন।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এনসিসি ক্যাডেটদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ভারতের তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য এটি নতুন সুযোগ নেওয়ার সময়। সর্বত্রই এটা বোঝা যায় যে এখন ভারতের সময়। একই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়তে পারেন-
- উলামায়ে কেরামের প্রতি মুফতি শফী (রাহ.)এর দরদমাখা নসিহত
- কম্পিউটার চিপ শিল্প: জলবায়ুর উপর ফেলছে ভয়ঙ্কর প্রভাব
- ইরানি বিজ্ঞানীকে যেভাবে হত্যা করে ইসরায়েল
- ব্যতিক্রমী এক ইসলামী আইন গবেষক
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
মোদি বলেন, এ ধরনের প্রচেষ্টার পরও ভারতের জনগণের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকবে না।
২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গায় মোদির ভূমিকা নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ করে বিবিসি। এ তথ্যচিত্র নিয়ে ভারতে তুমুল বিতর্ক চলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন মোদি।
প্রতিরক্ষা খাতে দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মোদি বলেন আগে যেসব বন্দুক বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো, সেগুলো এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে।
মোদি বলেন, সীমান্ত অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এটি তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য নতুন সুযোগ এনে দেবে। ভারতের মেয়েদের জন্যও সামনে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মোদি। তিনি বলেন, গত আট বছরে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীতে নারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। তিনটি সশস্ত্র সীমান্তে নারীদের মোতায়েন করার পথ সুগম হয়েছে।
মোদি আরও বলেন, পুনেতে ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে প্রথম ব্যাচের নারী ক্যাডেটরা প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছেন। সৈনিক স্কুলে ১ হাজার ৫০০ ছাত্রী ভর্তি হয়েছেন।
গত এক দশকে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে বলে জানান মোদি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী এনসিসির ৭৫ বছর স্মরণে বিশেষ স্মারকমুদ্রা উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, এনসিসির মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরবিরপল সিং, ডিফেন্স স্টাফের প্রধান অনিল চৌহান, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল মনোজ পান্ডে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে করা ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) একটি তথ্যচিত্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ভারতে।
বিবিসি২ নামে যুক্তরাজ্যের চ্যানেলে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামে তথ্যচিত্র গত মঙ্গলবার রাতে ব্রিটেনে সম্প্রচার করা হয়। এটি নিয়ে কার্যত ঝড় বয়ে যাচ্ছে ভারতে।
তথ্যচিত্রটিতে প্রধানত দেখানো হয়েছে, কীভাবে ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাকে ব্যবহার করে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন।
এমন অনেক কথাই ছবিটিতে বলা হয়েছে, যা নতুন নয়। কিন্তু যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এক জায়গায় এনে বিবিসি একটি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছে। তত্ত্বটি হলো, গুজরাট দাঙ্গা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ