কক্সবাজার কলাতলী আবাসিক হোটেল থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল বিশ্বাসকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোল্লা শাহিন জানান, স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধারের পর থেকে পলাতক দুলাল বিশ্বাসকে আটকের জন্য অভিযানে নামে টুরিস্ট পুলিশের একাধিক দল। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন-
- কাবলাল জুমা: কিছু নিবেদন
- দারিদ্র বিমোচনে এনজিওদের থেকে কওমি মাদ্রাসার সফলতা বেশি!
- হজ্ব-ওমরায় গেলে আমরা সেখান থেকে কী নিয়ে ফিরব?
- সমাজে পিতা-মাতারা অবহেলিত কেন
- সংঘাতবিক্ষুব্ধ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুমহান আদর্শ
এর আগে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের ‘সি আলিফ’ নামের হোটেলের ৪১১ নাম্বার কক্ষ থেকে মা-মেয়ের লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
সি আলিফ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ইসমাইল জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তিন সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন দুলাল বিশ্বাস ও সুমা দে। তারা ঠিকানা উল্লেখ করেছিলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হোটেলের এক কর্মচারী ওই কক্ষে গিয়ে দেখেন স্ত্রী ও এক শিশুর লাশ পড়ে আছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন আরো জানান, দুলাল বিশ্বাস ও সুমা দে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তিন সন্তান নিয়ে সী আলিফের ৪১১ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন। কেনো-কী কারণে হত্যাটি ঘটেছে- সেটি খতিয়ে দেখার জন্য সিআইডিসহ পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছে।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ