রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনে পাঠানো সকল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হবে। ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা করার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া এই হুমকি দিলো।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের ধারাবাহিকতায় এই সরঞ্জামের সবকিছুই ধ্বংসের লক্ষ্যবস্তু হবে।’
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, এসব দেশের সবাই পুরনো অপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছে।’
মস্কো এর আগে অস্ত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য পাশ্চাত্যকে অভিযুক্ত করেছিল। এছাড়া মস্কো বলেছিল, ন্যাটোর অস্ত্র তার বাহিনীর বৈধ টার্গেট হবে।
‘যত দ্রুত সম্ভব’ ইউক্রেন ও রাশিয়াকে শান্তি আলোচনা ফের শুরুর আহ্বান চীনের
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার কিয়েভ ও মস্কোকে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ পুনরায় শান্তি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বেইজিং আশঙ্কা করছে ‘সংঘাত বাড়তে পারে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবাকে বলেন, বেইজিং ‘আশা করে যে সকল পক্ষ শান্ত থাকবে ও সংযম পালন করবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তি আলোচনা আবার শুরু করে রাজনৈতিক সমাধানের পথে ফিরে আসবে।’
তিনি আরো বলেন, চীন আশা করে যে, ইউক্রেন ও রাশিয়া সংলাপ এবং সমঝোতার আশা ধরে রাখবে।
ইউক্রেনে গণহত্যার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি : জাতিসঙ্ঘ
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের একটি তদন্ত দল ইউক্রেনে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে এমন কোনো তথ্য পায়নি। বৃহস্পতিবার ওই দলের প্রধান এ কথা বলেছেন।
তদন্ত দলের প্রধান নরওয়ের বিচারক এরিক মোসে জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে গণহত্যার কোনো ঘটনা খুঁজে পায়নি। তবে তিনি আরো বলেন, ‘সেখানে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, দেশটি এ সংঘাতের এমন কিছু দিক আছে যা এ ধরনের অপরাধের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে পারে। কিন্তু আমরা এখনো এখানে এমন ঘটনার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি।’
সূত্র : আল জাজিরা ও এএফপি
উম্মাহ২৪ডটকম:এসএ