টানা কয়েকমাস ধরেই বায়ু দূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল উপরে। তবে রোববারের (১৯ মার্চ) বৃষ্টির কল্যাণে ঢাকার বায়ুর মানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ৮৬ স্কোর নিয়ে ২৭তম রাজধানী ঢাকা, যা মানুষের জন্য সহনীয়। আর ১৯৪ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ূর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীনের রাজধানী বেইজিং।
সুইজারল্যান্ডের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা একিউএয়ারের তথ্য বলছে, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসের এক দিনও অস্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে নামেনি ঢাকার বায়ু। বরং বেশ কয়েকদিনই ঢাকার বায়ুমান ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। যার ধারাবাহিকতা চলেছে মার্চেও। তবে ১৯ মার্চ বৃষ্টির পর থেকে বায়ুর মানের উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
একিউআই সূচকে ৫০ এর নীচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়। স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ থাকলে সেই বাতাসকে ‘স্পর্শকাতরদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়। ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউএয়ারের তথ্য বলছে, ১৯৪ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে চীনের রাজধানী বেইজিং, ১৮১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় পাকিস্তানের করাচি। ১৭৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় ভারতের রাজধানী দিল্লি ও ১৭২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন এবং পঞ্চম স্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের স্কোর ১৫৯।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ