Home স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ‘ক্যান্সার’ শতভাগ নির্মূলের পথ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

‘ক্যান্সার’ শতভাগ নির্মূলের পথ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

উম্মাহ অনলাইন: বিশ্বব্যাপী যে ভয়ানক রোগটির নাম শুনলে সকলেই আঁতকে ওঠেন, সেটা হলো ‘ক্যান্সার’। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যুগ যুগ ধরে এই মরণঘাতি ব্যাধি ক্যান্সার নিরাময়ে নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে আসছে। প্রতিনিয়ত গোটা বিশ্বে অসংখ্য মানুষ ক্যান্সারের কাছে হার মানছেন। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়ার পর যথাযথ চিকিৎসায় এটাকে আটকানো হয়তো সম্ভব হয়ে ওঠে। কিছু ওষুধ-পথ্য আর কেমোথেরাপিই শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই দুঃস্বপ্ন একবার দেহে বাসা বাঁধলে মৃত্যু যেন অবধারিত। একে সহজে নির্মূলের কোনো পথ এখনো মানুষ খুঁজে পায়নি। তবে ক্যান্সার শতভাগ নির্মূলের পথ পেয়েছেন বলে দাবি করছেন ইসরায়েলের একদল বিজ্ঞানী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসারয়েলের একটি বায়োটেক কোম্পানি দাবি করছে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ক্যান্সার রোগের সম্পূর্ণ নির্মূলের উপায় আবিষ্কার করতে পারবেন তারা। বাজারে ক্যান্সারের চিকিৎসার অনেক উপায় থাকলেও এই মরণব্যাধি থেকে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভের কোনো চিকিৎসা এখন পর্যন্ত নেই।

২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত অ্যাকসিলারেটেড ইভোলিউশন বায়োটেকনোলজিস লিমিটেড (এইবিআই) নামের ইসরায়েলের ওই বায়োটেক কোম্পানির চেয়ারম্যান সম্প্রতি এই তথ্য জানান। তিনি দাবি করছেন, তারা এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে শতভাগ ক্যান্সার নির্মূল সম্ভব।

ইসরায়েলের প্রথম সারির দৈনিক আরিদোরে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর পরই এই চিকিৎসা দেয়া শুরু করতে হবে। আর কয়েক সপ্তাহ ধরে নিয়মিত চিকিৎসা দিলেই ক্যান্সার শতভাগ নির্মূল সম্ভব। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না, আর হলেও তা হবে অত্যন্ত কম।

তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতির নাম হবে মুটাটো বা মাল্টি-টার্গেট টক্সিন। আর এর চিকিৎসাটি হবে যে পদ্ধতিতে তার নাম সিম্পল অবজেক্ট অ্যাকসেস প্রোটোকল বা সোয়াপ। বাজারে প্রচলিত ক্যান্সারের যে সমস্ত চিকিৎসা পদ্ধতি আছে, তার চেয়ে কম খরচে এটি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

অ্যাকসিলারেটেড ইভোলিউশন বায়োটেকনোলজিস লিমিটেড নামের ওই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বলেন, বাজারে প্রচলিত ক্যান্সার সংক্রান্ত ওষুধ ও চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো কেন শতভাগ কাজ করছে না- এটি চিহ্নিত করতে গিয়েই এ পদ্ধতির খোঁজ পেয়েছেন তারা।