Home ফিকহ ও মাসায়েল ইসলামে শাসক ও শাসিতের পারস্পরিক হক

ইসলামে শাসক ও শাসিতের পারস্পরিক হক

- মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী। ছবি- উম্মাহ।

।। মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী ।।

শাসক ও শাসিতের হকের মধ্যে শাসকের বেলায় বাদশা, তার সহকারী ও অন্যান্য উযীর-নাযীর এবং শাসিতের বেলায় প্রজা, জনসাধারণ, পাইক-পেয়াদা ও চাকর-বাকর সব অন্তর্ভুক্ত। দাস প্রথা থাকলে সেখানেও এরূপই হবে। শাসকের প্রতি জনসাধারণের হক হলো-

(১) জন সাধারণের উপর কোন কষ্টকর হুকুম বা বিধিবিধান জারী না করা।

(২) জন সাধারণের মাঝে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহ দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে ইনসাফ বা ন্যায়নীতি অবলম্বন করা। কোন প্রকার পক্ষপাতিত্ব করা কখনই উচিৎ নয়।

(৩) সর্বদা জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিধানের জন্য চিন্তাফিকির করা। তাদের দাবী-দাওয়া ও আবেদন-নিবেদন শোনার জন্য শাসকের দ্বারস্থ হওয়ার পথ সুগম করে দেওয়া।

(৪) নিজের প্রেষ্টিজের ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে উদাসীনতা বা ভুলত্রুটি প্রকাশ পেলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা।

আর সর্বসাধারণের প্রতি শাসকের হক হলো-

(১) শাসকের হীত কামনা ও অনুসরণ করা। কিন্তু শরীয়ত বিরোধী, অনৈসলামিক বা অন্যায় কাজে অনুসরণ করা যাবে না।

(২) শাসকের পক্ষ থেকে আত্মবিরোধী কোন কাজ করা হলে ধৈর্যধারণ করা। অভিযোগ ও বদদোয়া না করা। অবশ্য তার হিদায়াতের জন্য দোয়া করবে। আর নিজে আল্লাহ্ তাআলার অনুসরণ গুরুত্ব সহকারে করবে। তাহলে আল্লাহ তাআলা শাসকদের অন্তর নরম করে দেবেন। এক হাদীসে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

(৩) শাসকের দ্বারা শান্তি পেলে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।

(৪) ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সরকারের বিরোধিতা না করা। দাস প্রথা থাকলে মনীবের উপর গোলামের ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। আর গোলামের জন্য মনীবের খেদমত ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া হারাম।

অন্যান্য প্রজা বা যারা শাসিত তারা স্বাধীন। দেশের অভ্যন্তরে থাকাবস্থায় উপরোক্ত হকসমূহ প্রযোজ্য হবে, আর দেশের বাইরে গেলে সর্বদা স্বাধীন থাকবে।

লেখক: সিনিয়র শিক্ষক, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা-ঢাকা, খতীব- তিস্তা গেট জামে মসজিদ, টংগী, গাজীপুর, অর্থ সম্পাদক- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং উপদেষ্টা- উম্মাহ ২৪ ডট কম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com