Home ওপিনিয়ন অন্যকে হেয়, সন্দেহ ও নিয়ন্ত্রণের অসুখের নাম ‘গ্যাসলাইটিং’

অন্যকে হেয়, সন্দেহ ও নিয়ন্ত্রণের অসুখের নাম ‘গ্যাসলাইটিং’

।। শাহানা হুদা রঞ্জনা ।।

“কাউকে যদি ঘায়েল বা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে প্রথমেই তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দিন”, কথাটা সেদিন একজন মজা করে বললেও, পরে মনে হলো কথাটা কিন্তু আদতে মজার না, বরং অবমাননাকর ও সত্যি। কারো আত্মবিশ্বাস নষ্ট করা বা কাউকে হেয় করার মাধ্যমে তাকে অসহায় ও দুর্বল করে ফেলার একটা ভালো অস্ত্র হতে পারে এটি। আমাদের চারপাশে ঠিক এমন দৃশ্য প্রায়ই দেখা যায়।

সাধারণত পারিবারিক পরিসরে এইসব ঘটনা ঘটে। কোন স্বামী যখন তার স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান বা কোন প্রেমিক যখন তার প্রেমিকার উপর দখলদারিত্ব কায়েম করতে চান বা কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে অবিশ্বাস করেন বা সবসময় চোখে চোখে রাখতে চান, তখনই বুঝতে হবে এটি একটি অস্বাস্থ্যকর ও অসুন্দর দাম্পত্য সম্পর্ক বা জুটি। এই সম্পর্ককেই মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন “গ্যাসলাইট আচরণ”। পারিবারিক সহিংসতার একটি বড় অস্ত্র এই গ্যাসলাইটিং।

গ্যাসলাইটিং হচ্ছে একধরণের মানসিক নির্যাতন। একজন ব্যক্তি বা কোন গ্রুপ যখন অন্য একজন ব্যক্তিকে বা গ্রুপকে তাদের বিবেচনাবোধ, স্মরণশক্তি অথবা দুর্বল বাস্তবতাবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বা খোটা দেন, তখন তা এই গ্যাসলাইটিংয়ের মধ্যে পড়ে। যে ব্যক্তি এ ধরণের ব্যবহারের শিকার হন তারা দ্বিধান্বিত ও চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং ক্রমে নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। এবং তখনই তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে পড়ে নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তির পক্ষে।

এই ‘গ্যাসলাইট’ শব্দটি কেন মানসিক নির্যাতনের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হলো, এটা বুঝতে হলে ১৯৪৪ সালের একটি সিনেমা ও ১৯৩৮ সালে প্রদর্শিত একটি নাটক সম্পর্কে জানতে হবে। সেখান থেকেই এই শব্দটি নেয়া হয়েছে।

সেই কাহিনীতে একজন নির্যাতনকারী স্বামী তার স্ত্রী হ্যালুসিনেট করছে এটা প্রমাণ করার জন্য তাদের গ্যাস পাওয়ারের লাইটকে একবার উজ্জ্বল করে এবং একবার আলো কমিয়ে দেখান। এই করে সে স্ত্রীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন এবং একসময় স্ত্রী নিজেও বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, তিনি আসলেই মানসিকভাবে অসুস্থ। এটি নতুন কোন বিষয় নয়। বহুবছর ধরে মানসিক নির্যাতনের জন্য এই অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে গ্যাসলাইটিং টার্মটা নতুন।

গ্যাসলাইটিং কিভাবে মানুষের উপর কাজ করে? মানুষের নিজের উপর বিশ্বাস নষ্ট করে দেয়ার মাধ্যমেই এই প্রক্রিয়া কার্যকরী হয়। একবার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দিতে পারলে কারো উপর নিয়ন্ত্রণ করাটা সহজ হয়। আর যে মানুষটি কাউকে নির্যাতন করছে, তার উপর নির্যাতিত ব্যক্তির আস্থা কতটা এর উপর নির্ভর করে গ্যাসলাইটিং করার কাজটা কতটা সফল হবে।

আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে অনেক পুরুষ তাদের স্ত্রীকে সবার সামনে হেয় করছেন, সেটা কখনো বন্ধুদের আড্ডায়, কখনোবা আত্মীয় পরিজনের সামনে। কখনো স্ত্রীর দুর্বল স্মরণশক্তি নিয়ে হাসাহাসি করেন, স্ত্রীর বক্তব্য ঠিকমতো বুঝতে না পারার মতো ভান করেন। এক্ষেত্রে অনায়াসে বলে ফেলেন যে, ‘তুমি গুছিয়ে কথা বলতে ও কাজ করতে পারো না’। অনেকসময় যথাযথ কারণ থাকা সত্ত্বেও সেটাকে অগ্রাহ্য করেন এবং বলেন যে, ‘তুমি নাটক করছ। এসব করে কোন লাভ নেই কারণ তুমি বাইরের কারো কাছে আমার বিরুদ্ধে তোমাকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করলেও কেউ বিশ্বাস করবে না।’

এছাড়া কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় স্ত্রীকে মুখের উপর বলে ফেলা যে “আরে তুমি কী বুঝো? চুপ করো”, “মেয়েমানুষ, মেয়েমানুষের মতো থাকো” কিংবা “মেয়েমানুষের আবার বুদ্ধি, সে তো মুরগির চাইতেও কম” ইত্যাদি কথা তো বাঙালি সমাজে সবচাইতে চর্চিত। নারীকে অসম্মান করার জন্য, দুর্বল করে রাখার জন্য এ যেন চলমান প্রক্রিয়া। গ্রামেগঞ্জে, নগর জীবনে, শিক্ষিত-স্বল্পশিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধনী-দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তের সংসারে এ যেন পরিচিত দৃশ্য।

গ্যাসলাইটিং ইস্যুটা ইদানীং সিনেমাসহ সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন ফোরামে আলোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ প্রকাশ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে এবং গ্যাসলাইটিংকে ‘ইমোশনাল অ্যাবিউজ’ করার অস্ত্র হিসেবে মনে করছে।

নেটফ্লিক্সে “মেইড” নামে একটি সিরিজে ঘুরেফিরে এই গ্যাসলাইটিং আচরণের কথা এসেছে। খুব বেদনাদায়ক এই ছবিটি একটি সত্য কাহিনীর উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে। একজন সিঙ্গেল মাদারের জীবনের কষ্ট দেখানো হয়েছে, যে মা তার সঙ্গীর কাছে মানসিকভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন এবং একসময় তা শারীরিক নির্যাতনে রূপ নিয়েছিল।এই ভয়ংকর ও অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক থেকে কিভাবে মানুষ মুক্ত হতে পারে, সেকথাই উঠে এসেছে।

দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় এই গ্যাসলাইটং প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে শুরু হয়। স্বামী যখন স্ত্রীর উপর নিজের কর্তৃত্ব জাহির করার জন্য অভিযোগ করতে শুরু করেন, ‘তুমি প্রায়ই ভুলে যাও’, ‘তুমি অমনোযোগী’, ‘তুমি দায়িত্বপরায়ণ নও’ ইত্যাদি, তখন ক্রমশ স্ত্রীও মনে করতে শুরু করেন যে তার পার্টনারই ঠিক। স্ত্রীর মধ্যে এই ধারণা যতো বাড়তে থাকবে, ততোই বুঝতে হবে নির্যাতনকারী ব্যক্তির ক্ষমতা অনেক বেশি। এবং একসময় নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে নির্যাতিত ব্যক্তি কোনকিছু স্মরণ করার জন্য বা সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় সঙ্গীর মতামতের উপর বেশি নির্ভর করতে শুরু করে। সাধারণত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই আচরণ বেশি ঘটে।

গ্যাসলাইট শুধু দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ঘটে, তা নয়। অনেক সময় বাবা-মাও সন্তানকে অন্যের সামনে দুর্বল, বোকা, লেখাপড়ায় খারাপ, কিছু পারে না- এই ধরণের কথা বলে শাস্তি দিতে চান। এভাবেই তারা সন্তানকে অসহায় করেন বা ছোট করেন। এতে করে সন্তানের আত্মবিশ্বাস ও কর্মউদ্দীপনা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। সে নিজেকে চরম গৌণ বা অচ্ছুৎ বলে ভাবতে শুরু করে।

আমাদের সমাজে অনেকেই আছেন যারা ইচ্ছা করে অন্য মানুষের বয়স, চেহারা, পোশাক, লিঙ্গ, জেন্ডার ধারণা, জাতি, ধর্ম ও বিশ্বাস নিয়ে বাজে মন্তব্য করে বা ছোট করে। এটাকে জাতিগত গ্যাসলাইটিং বলে।

রাজনৈতিক গ্যাসলাইটিং হচ্ছে যখন একটি রাজনৈতিক দল অন্য রাজনৈতিক দলকে হেয় করার জন্য মিথ্যা বলে বা জনগণের কাছে মিথ্যা বলে। অনেক সময় নিজেদের ভুল ঢাকার জন্য এমন বিতর্কের জন্ম দেয় যে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরে যায়। আমাদের দেশে এই রাজনৈতিক গ্যাসলাইটিংয়ের অসংখ্য নজির আছে। এটাকে সিস্টেমেটিক নিপীড়ন বলা যায়। ক্ষমতায় থাকা মানুষ অনেকসময় বিরোধী পক্ষের মানুষ বা দলের প্রতি জনমানুষের আস্থা নষ্ট করার জন্য এই টেকনিক খাটিয়ে থাকে। যাতে তাদের গদিচ্যুত হতে না হয়।

চাকরি ক্ষেত্রেও মানুষ নানাভাবে হেয় হয়। একজন দক্ষ কর্মীকেও তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করার মাধ্যমে, পেশাগতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও গ্যাসলাইটিং হয়। প্রতিষ্ঠানের ভুল-ত্রুটি নিয়ে যারা কথা বলেন বা যে হুইসেলব্লোয়ার হন তাদেরকে এই গ্যাসলাইট করার মাধ্যম অকার্যকর করা হয়।

বারবার তাদের কাজে ভুল ধরা হয়, ভুল নিয়ে হাসাহাসি করা হয়, অফিসে উল্টাপাল্টা কথা বলা হয়। তারা যে কাজ পারে না একথাও নানা কায়দায় প্রচার করা হয়, যাতে সেই কর্মী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। আর কেউ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে, তাকে বা তাদেরকে অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক হিসেবে প্রতিপন্ন করে ছাঁটাই করা সহজ হয়। তাদের প্রতি এমনভাবে গ্যাসলাইট আচরণ করা হয় যাতে, ভবিষ্যতে কেউ অধিকার আদায়ের দাবি তুলতে না পারেন।

আরও পড়তে পারেন-

এই নিপীড়নের আরো অনেক চেহারা আছে। যেমন সঙ্গীর কাছে দাবি জানানো বা তাকে আদেশ করা এবং সে এগুলো পূরণ করবে বলে মনে করা। নিজেই সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সঙ্গীকে জিজ্ঞেস না করেই পরিকল্পনা পাল্টে ফেলা। এগুলো সাধারণত পুরুষ তাদের স্ত্রীর উপর করেন।

স্ত্রী এবং স্বামী দুজনেই যা করতে পারেন, সেও আমাদের কাছে পরিচিত, যেমন সবসময় স্বামী বা স্ত্রীর গতিবিধির উপর নজর রাখা, বারবার ফোন করা, ছবি বা টেক্সট পাঠানোর জন্য জোর করা- এর মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চায় যে সঙ্গী তার অবস্থান সম্পর্কে মিথ্যা বলছে কি না। আমি একজন স্বামীর কথা জানি যাকে অফিসের কাজে বাইরে গেলে সবসময় ভিডিও কল করে দেখাতে হয়, যে সে একাই ঘুমাচ্ছে হোটেলের রুমে।

এছাড়া আছে ফোন করার সাথে সাথে ফোন ধরতে বাধ্য করা, একবার না পেলে বারবার ফোন করা। আয়ের উপর হাত দেয়া, ফোন চেক করা, ইন্টারনেট হিস্ট্রি চেক করা, জোর করে ফেসবুক পাসওয়ার্ড জানতে চাওয়া, কী পরবে, কী বলবে, কী খাবে সব বাতলে দেয়া।এমনও হয় আজেবাজে কথা বলতে বলতে প্রতিপক্ষ আপসেট না হওয়া পর্যন্ত উত্ত্যক্ত করা। নির্লজ্জভাবে স্ত্রীকে বা বন্ধুকে আজেবাজে নামে ডাকা যেমন ইডিয়ট, বোকা, গাধা এইসব। যখন কেউ তার কথার প্রতিবাদ করে তখন বলে যে ফাজলামি করছে।

যারা দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই আচরণ করেন, তাদের সাংঘাতিক রকমের মুড সুইং হয়। একবার খুব ভাল ব্যবহার করেন, আবার কিছুক্ষণ পর রাগারাগি করে জিনিস ভেঙে ফেলতে পারেন। কারণ ছাড়াই তর্ক বিতর্ক করা, নিজেই নিজের কথা পাল্টে ফেলা। বাইরে ভাল ব্যবহার করা এবং ঘরে ফিরে একদম অন্য ব্যবহার করা।

যারা গ্যাসলাইটিংয়ের শিকার হন, তারা চট করে বুঝতেই পারেন না যে তারা এর শিকার হচ্ছেন। তাদের আত্মবিশ্বাস এতোটাই কমে যায় যে নিজের স্মরণশক্তির উপরও আস্থা কমে যায়। এই গ্যাসলাইটিংয়ের কারণে একজন ব্যক্তি নিজে অনিশ্চিতবোধ করেন, নিজেকে ফালতু বলে মনে করেন অথবা নিজের স্মৃতির উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন।

একপর্যায়ে নিজের অনুধাবন শক্তির উপরও বিশ্বাস কমে যায়। তখন তিনি নির্যাতনকারী ব্যক্তির কাছে ক্রমাগত ক্ষমা চান, নিজেকে দুর্বল, এমনকি পাগলও মনে করেন। অনেকসময় নির্যাতনকারীর ব্যবহার অন্যদের কাছে গোপন করেন এবং মাঝেমধ্যে সমর্থনও করেন। এইভাবে নির্যাতিত মানুষ নিজেকে একা করে ফেলেন।

এই নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচার জন্য এবং কিভাবে কেউ গ্যাসলাইটিং এর শিকার হচ্ছেন, তা বোঝার জন্য মনোবিজ্ঞানীরা নানাধরণের উপায় বাৎলে দিয়েছেন। কারণ এই অত্যাচার মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা বাড়িয়ে দেয়, মানসিক ট্রমা বাড়িয়ে তোলে এবং মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। মনোবিদরা বলেন, গ্যাসলাইট এর হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রমাণ যোগাড় করতে হবে নিজের তথ্যের পক্ষে, যেন কেউ বলতে না পারেন যে আপনি তথ্য ভুল বলছেন বা কথা ভুলে যাচ্ছেন। ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন।

ভালো বন্ধু বা কাছের মানুষের সাথে কথা বলতে পারেন, বুদ্ধি নিতে পারেন এবং দিনের শেষে সে আপনার সাক্ষী হিসেবে থাকবে। ছবি রাখতে পারেন, ভয়েস রেকর্ড করে রাখতে পারেন। এগুলো পরে আইনী লড়াইয়ে কাজে লাগবে। যেসব সংস্থা পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে কাজ করছে তারা বলে যে প্রথমেই একজনকে বিশ্বাস করতে হবে যে তার প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে, তার জন্য সে দায়ী নয়।

কী সত্য, কী মিথ্যা এই নিয়ে নির্যাতনকারী ব্যক্তির সঙ্গে তর্কবিতর্ক করা উচিৎ নয়। তাদের কথা চুপচাপ শোনাটাই ভাল। বন্ধু, পরিবার সবার সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে, যেন নির্যাতনকারী ব্যক্তি অন্যদের কাছে মিথ্যা গল্প দাঁড় করাতে না পারে।

গ্যাসলাইটিং হচ্ছে জবরদস্তিমূলক নিয়ন্ত্রণের অংশ। কেউ যখন সঙ্গীর উপর এভাবে নিয়ন্ত্রণ খাটানোর চেষ্টা করেন, তখন তাকে লাল পতাকা দেখানো উচিৎ। অর্থাৎ সঙ্গী, বন্ধু, অফিস কলিগ, বস কারো সাথে এই বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়া যাবেনা, বরং এড়িয়ে চলতে হবে। পারলে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, যা খুব একটা সহজ কাজ নয়।

লেখক: যোগাযোগকর্মী।

তথ্যসূত্র: ফোর্বস, নিউপোর্ট ইনস্টিটিউট, ভায়া- টিবিএস।