গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করার মতো সামরিক শক্তি ইসরায়েলের আছে। ইতিমধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার নিয়ে দেশে রাজনৈতিক গোলযোগ তৈরি করা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার আরেকটি ইচ্ছে পূরণ করতে চাইলে গাজাকে নতুন হিরোশিমায় পরিণত করতে পারেন। তারজন্য হয়তো নেতানিয়াহু শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্যও মনোনিত হতে পারেন। কারণ এর আগেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই পুরস্কারকে ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
যদি এই অত্যন্ত অসম্ভাব্য অনুমানমূলক পরিস্থিতি ঘটেও, তারপরও ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির বিষয়টি প্রকাশ্যেই থেকে যাবে। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধের ঠিক ৫০ বছর পর তাদের অত্যাধুনিক আয়রন ডোম ও আয়রন ওয়াল ভেঙে হামাসের কৌশলী হামলা ইসরায়েল এবং তার মিত্রদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
কিন্তু উভয়পক্ষের এমন দুর্ভোগ কি আবশ্যক? সোজা-সাপ্টা জবাব হলো, না। আরো একটা প্রশ্ন আছে, উভয় পক্ষই কি তাদের প্রত্যক্ষ করা কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারে? যার উত্তর হলো, অবশ্যই। এটা দিবালোকের মতো সত্য। কিন্তু হতাশার বিষয়, এত বছর ধরে সমাধানের পথ খোঁজা হয়নি। তবে সুদূর অতীতের গভীরে না গিয়ে বর্তমান বাস্তবতায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা শ্রেয়, কেন এত দুর্ভোগ?
এর উত্তর আছে ব্রিটেনের ঐতিহাসিক ভূমিকায়। ১৯১৭ সালে বেলফোর ঘোষণা জারির মাধ্যমে। এর মাধ্যমেই ফিলিস্তিনের ইহুদীরে অভিবাসন ঘটে। আর এক পর্যায়ে এসে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
ব্রিটিশ হস্তক্ষেপের আগে ফিলিস্তিনে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান ছিল। বেলফোর ঘোষণা ইহুদী আন্দোলনের সূচনা ঘটায় আর বর্তমান অবস্থানের গোড়াপত্তন করে। ধীরে ধীরে তা বর্তমান ‘আল-আকসা ফ্লাড’ এ রূপ নিয়েছে।
এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, রক্তপাতের এই পথ শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে যাবে? নিঃসন্দেহে এর ফলে আরও কিছু ধ্বংস হবে। হয়তো গাজা পরবর্তী হিরোশিমা হয়ে উঠবে।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ