তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ হলে গাজাকে অবশ্যই স্বাধীন ফিলিস্তিনের অংশ হতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, ‘ইতিহাস থেকে ফিলিস্তিনিদের মুছে ফেলার’ মডেলকে কখনো তারা সমর্থন দেবেন না।
কাজাখস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এমন মন্তব্য করেন এরদোয়ান। বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, তার গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন ফিলিস্তিন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এবং হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
এরদোয়ান আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিজের ‘সহকর্মী’ হিসেবে বিবেচনা করবেন না তিনি। তবে আবার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে নেওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচনাও করেছেন এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি এবং এই যুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়নি ইইউ। এরফলে ইউইউর ওপর মানুষের যে বিশ্বাস ছিল সেটি ভেঙে গেছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
এরদোয়ান আরও বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলো ইসরায়েলের প্রতি যেসব সমর্থন জানাচ্ছে, সেগুলো তারা করছে ইহুদিদের ওপর চালানো গণহত্যার (হোলোকাস্ট) ঋণ থেকে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালালেও সেগুলো নিয়ে চুপ করে আছে তারা। কিন্তু এক্ষেত্রে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক। তার্কিস প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান যুদ্ধ শুরুর পর বিভিন্ন বক্তব্যে একাধিকবার বলেছেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী দল নয়, তারা হলো স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ