Home শীর্ষ সংবাদ মুণ্ডুহীন বিএনপি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

মুণ্ডুহীন বিএনপি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

বিরোধী দল বিএনপিকে নেতৃত্বহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘তারা জানে যে তাদের কোনো নেতৃত্ব নেই। তারা মুণ্ডুহীন দল মাত্র। একজন পলাতক, আরেকজন কারাগারে রয়েছে। ওই দল কোনো নির্বাচন করতে চায় না। তারা শুধু একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’

সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন আসন্ন এবং ভোটের সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জানে ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল।

তিনি আবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, যে হাত যানবাহনে আগুন দেয়, সেই হাত একই আগুনে পুড়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘তাদের একটি উচিৎ শিক্ষা দিন, যাতে কেউ আর দেশের কারো ক্ষতি করার সাহস না পায়। এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে দেওয়া উচিত নয়।’

তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে; দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের কল্যাণ হয়।

তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক, বিএনপি সন্ত্রাসের সমার্থক। বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র কাজ অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা।

এ প্রসঙ্গে তিনি গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা নির্দয়ভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ৪৫জন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে এবং তাদের কর্মসূচি কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে।

তিনি বলেন, ‘তারা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর মতো হাসপাতাল আক্রমণ করেছে। তারা অ্যাম্বুলেন্সও ভাঙচুর করে। আমি মনে করি না তাদের একটুও মানবতা আছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, মানুষ হত্যা করাই বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র কাজ।

আরও পড়তে পারেন-

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

তিনি আরও বলেন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে আমরা ছাড় দেব না।

তিনি বলেন, ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাংলাদেশকে ব্যাপক উন্নয়ন করতে সাহায্য করছে, যা সবার কাছে দৃশ্যমান।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার দলকে দেশ ও জনগণের সেবা করতে এবং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সবাইকে তার দলকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

পোশাক খাতে চলমান অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান মূল্যস্ফীতিতে সরকারি কর্মচারীদের মজুরি যেখানে ৫ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গার্মেন্টস মালিকদের বুঝিয়ে আমরা মজুরি বৃদ্ধি করেছি। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, হ্যাঁ; বেড়েছে মানুষের কষ্ট। …এই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য মজুরি মাত্র ৫ পার্সেন্ট বাড়িয়েছি, আর গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য ৫৬ পার্সেন্ট বাড়ানো হয়েছে মজুরি। তাহলে তাদের আপত্তিটা কোথায়? উনিশটা শিল্প-কলকারখানা তারা ভেঙেছে। এই ধ্বংস কারা করছে ? এদের মধ্যে কারা আছে, সেটাই খুঁজে বের করার দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছিয়ানব্বই সালে সরকারে এসে দেখি, মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। আমি সেটা বাড়িয়েছিলাম ১,৬০০ টাকায়।

‘কিন্তু বিএনপির খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে তো এক পয়সাও বাড়ায়নি। না জিয়া, না এরশাদ, না খালেদা জিয়া [কেউ মজুরি বাড়ায়নি]—যেটুকু বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয়বার সরকারে এসে [পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি] ১,৬০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বাড়ালাম। এরপর তৃতীয় দফায় ৮ হাজার ২০০ টাকায় বাড়ালাম। আর এবার চতুর্থ দফায় ১২ হাজার ৫০০ টাকায় মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।

বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং দলের নেতা শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল ও শেখ সারহান নাসের তন্ময়।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।