লন্ডন মেট্রোপুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলার পর যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আগে থেকেই তিনি মুসলিম ও অভিবাসন বিরোধী হিসেবে সমালোচিত ছিলেন।
ব্রেভারম্যানের জায়গায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন জেমস ক্লেভারলি। তিনি এতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলে এসেছেন।
অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে। ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ক্যামেরন। ২০১৬ সালে গণভোটে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে রায় এলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ক্যামেরন ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন।
সুয়েলা ব্রেভারম্যান শুরু থেকেই ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে আসছেন। সম্প্রতি ‘দ্য টাইমস অভ লন্ডন’-এ নিজের লেখা এক নিবন্ধে তিনি অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীদের প্রতি মেট্রোপলিটন পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থি একটি বিক্ষোভ নিষিদ্ধ না করায় নিবন্ধে মেট্রোপলিটন পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন ব্রেভারম্যান। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে শনিবারের নিয়মিত বিক্ষোভে যারা হাজির হয়েছেন, তাদেরকে ‘ঘৃণা’ দ্বারা পরিচালিত ‘বিক্ষোভকারী’ হিসেবে অভিহিত করেন। যদিও সবগুলো বিক্ষোভই মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ছিল।
নিবন্ধে ব্রেভারম্যান অভিযোগ করেন, বিক্ষোভ সামলাতে লন্ডন পুলিশ ‘দ্বিমুখী আচরণ’ করেছে। তার দাবি, ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীদের উচ্ছৃঙ্খলতা এবং আইনভঙ্গ দেখেও না দেখার ভান করেছে পুলিশ।
এ নিবন্ধ প্রকাশের পরপরই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রেভারম্যান।
সমালোচকরা বলছেন, আইনপ্রয়োগ, অভিবাসন ও জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের আগে তিনি উত্তেজনা উসকে দিয়েছেন।
এর আগেও মুসলিম ও অভিবাসীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন ব্রেভারম্যান। তিনি কট্টর অভিবাসীবিরোধী হিসেবে সুপরিচিত।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ