Home আন্তর্জাতিক চীনের কৌশলে নতুন উচ্চতায় উঠছে জাপান-ফিলিপিন্স সম্পর্ক

চীনের কৌশলে নতুন উচ্চতায় উঠছে জাপান-ফিলিপিন্স সম্পর্ক

পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে আরও আগ্রাসী বেইজিংকে প্রতিরোধ করতে জাপান ও ফিলিপিন্স তাদের সামরিক জোটকে শক্তিশালী করেছে। শুক্রবার রাতে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের পাশে দাঁড়িয়ে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের কথা বলেন জাপনের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

দ্য স্টার জানিয়েছে, ফার্দিনান্দ মার্কোসকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ ফিলিপিন্সের সঙ্গে পারস্পরিক প্রবেশাধিকার চুক্তি (আরএএ) করতে আগ্রহী। এর মাধ্যমে ফিলিপিন্স উপকূলে প্রথমবারের মত যৌথ সামরিক মহড়া চালাতে পারবে উভয় দেশ। ফিলিপিন্সের নৌবাহিনীকে উপকূলীয় রাডার সিস্টেমের ৬০ কোটি ইয়েন অনুদান দিচ্ছে জাপান। যাতে সমুদ্রের জলসীমায় সচেতনতা ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

কিশিদা ও মার্কোস তাদের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি চীনের কথা উল্লেখ না করলেও চীনে প্রতি তাদের বার্তা ছিল স্পষ্ট।

আরও পড়তে পারেন-

ফিলিপিন্সের প্রতি জাপানের সবশেষ সরকারি সুরক্ষা সহায়তা ঘোষণার করার কয়েক মিনিট পর কিশিদা বলেন, “আমরা পূর্ব চীন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগের কথাগুলো শেয়ার করি। এবং এই অঞ্চলে জোর করে একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা অগ্রহণযোগ্য।”

দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপিন্সে ও চীনা সামরিক ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কয়েক সপ্তাহের উত্তেজনার পর ম্যানিলায় দুদিনের সফরে যান জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

ফিলিপিন্স জলসীমার ওপর জাপানের কোনো দাবি নেই। তবে পূর্ব চীন সাগর নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে দেশটির আলাদা আঞ্চলিক বিরোধ রয়েছে। ফিলিপিন্স ও জাপান উভয়ই তাইওয়ানের কাছে অবস্থিত, স্বায়ত্তশাসিত এই দ্বীপকে নিজেদের বলে দাবি করে বেইজিং।

যদি ফিলিপিন্স ও জাপানের মধ্যে আইআরএএ চুক্তি হয়, তবে জাপান ফিলিপিন্স উপকূলে সৈন্য মোতায়েন, সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ ও ফিলিপিন্সে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের সুযোগ পাবে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।