Home আন্তর্জাতিক গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরাইলের বুলডোজার আক্রমণ

গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরাইলের বুলডোজার আক্রমণ

গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরাইল বুলডোজার আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলি বুলডোজারগুলো কমপ্লেক্সের দক্ষিণ অংশ ধ্বংস করতে শুরু করেছে। তারা অন্যান্য বিভাগগুলোও ধ্বংস করার জন্য অগ্রসর হচ্ছে।

এক ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তার সূত্রে ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইলের বিশেষ বাহিনী আল-শিফা হাসপাতালের প্রতিটি ভবন এবং প্রতিটি তলায় তল্লাশি চালাচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দখলদার দেশটি দাবি করেছিল, হাসপাতালের নিচে ভূগর্ভস্থ টানেলে হামাসের সদর দফতর রয়েছে। তবে তারা হাসপাতালের নিচের টানেল ও হামাসের সদর দফতর কোনোটিই প্রমাণ করতে পারেনি। তারা কমপ্লেক্স থেকে প্রকাশিত যে ছবিগুলো প্রকাশ করেছে, তার সবগুলোই জাল ও ইন্টারনেট থেকে চুরি করা হয়েছে বলে ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন-

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গত ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে বন্দী হওয়া এক সেনার লাশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উদ্ধার সেনার নাম নোয়া মার্সিয়ানো (১৯)। আল-শিফা হাসপাতালের নিকটবর্তী একটি ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করার দাবি করা হয়েছে।

গত সোমবার হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল। সেখানে দেখা যায়, মার্সিয়ানো ইসরাইলি বাহিনীর কাছে অনুরোধ করছে, তারা যেন এলাকাটিতে হামলা না করে। কিন্তু তারা ওই অনুরোধ রক্ষা করেনি। পরে ওই ভবনে তার নিথর দেহ পাওয়া যায়।

ইসরাইলি মিডিয়ার মতে, মার্সিয়ানো গাজা সীমান্তের কাছাকাছি নাহাল ওজের একটি সামরিক পোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে যখন দক্ষিণ ইসরাইলে হামাস হামলা চালায়, তিনি হামাস যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হন।

অপরদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাদের বিশ্বাসে অটল রয়েছে যে হামাস আল-শিফা হাসপাতালকে একটি সামরিক ঘাঁটি এবং কমান্ডার সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে তারা অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বা প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেনি।

চলমান সঙ্ঘাতের আগেও বেশ কিছুদিন ধরেই এই কথা বলে আসছে তারা।

বৃহস্পতিবার আল-শিফা কমপ্লেক্সের কাছাকাছি মাটিতে একটি গর্ত খননের পরে একটি টানেলের খাদের মতো দেখতে একটি প্রবেশদ্বার এবং অস্ত্র পায় তারা।

তারা এই বলে শুরু করেছিল যে এটি একটি সুনির্দিষ্ট অপারেশন।

তারা কেবল একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও দেখিয়েছে। তারা ধারণা করে যে টানেলের একটি জটিল ব্যবস্থা এবং হাসপাতালের কম্পাউন্ডের নিচে একটি কমান্ড সেন্টার রয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা আল-শিফায় তাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কারণ তাদের এখনো লক্ষ্য রয়েছে, যা তাদের পূরণ করতে হবে। তাই আল-শিফায় এই অভিযান চলবে বলে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর ও অন্যান্য।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।