প্রায় এক সপ্তাহ অবরুদ্ধ করে রাখা হয় আল-শিফা হাসপাতাল; এসময় জরুরি বিভাগ, পানির পাম্পের ওপর গোলাবর্ষণ করে উত্তর গাজায় অবস্থান করা ইসরায়েলি সেনারা। এরপর আল শিফা হাসপাতালে ঢুকে সেটি খালি করারও নির্দেশ দিয়েছে আজ শনিবার। অথচ এ হাসপাতালে ছিল হাজার হাজার গুরুতর আহত রোগী, তাদের স্বজন ও আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত অনেক পরিবার।
অমানবিক এই কর্মকাণ্ডের মধ্যে বর্বরতার নতুন দৃষ্টান্ত বিশ্বের সামনে স্থাপন করেছে ইসরায়েল।
আল শিফায় ছিলেন অনেক নারী চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগীদের স্বজন। হাসপাতাল ছাড়তে দেওয়ার আগে তাদের কাপড় খুলতে বাধ্য করে ‘দেহতল্লাশি’ চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
হাসপাতাল ছেড়ে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাংবাদিক জিহাদ আবু শানাব আল জাজিরাকে জানান, ওই অবস্থায় নারীদের কঠোর ‘জেরার’ সম্মুখীন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘ অপমানজনকভাবে দেহ তল্লাশি করেছে সেনারা। অনেক নারীকে তাদের কাপড় খুলতে বাধ্য করেছে। এসব মারাত্মক লজ্জাজনক ঘটনা।’
জিয়াদ বলেন, ‘হাসপাতালে থাকা অনেক বেসামরিক নাগরিককে দ্বিতীয় তলায় জিম্মি করে রাখা হয়। তাদেরকে খাদ্য বা পানি কিছুই দেওয়া হয়নি, এবং চরমভাবে অপমান ও লাঞ্ছনা করা হয়েছে।’
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ