ইসরাইলে যদি এখন নির্বাচন হয়, তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দল শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবে। আর এ কারণেই তিনি যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে চাচ্ছেন বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন।
ইসরাইলের চ্যানেল ১৪-এর জরিপে দেখা গেছে, নেতানিয়াহুর জোট সরকারের আসন কমে ৫৬ হবে। আর বিরোধী দলের বেড়ে হবে ৬৪।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, নির্বাচন হলে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি পার্লামেন্টে তাদের সবচেয়ে বড় দলের মর্যাদা হারাবে। তাদের আসন ৩২ থেকে কমে হবে ২৬। েআর যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গাঞ্জের ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পাটির আসন বেড়ে হবে ২৯। এর ফলে তারাই হবে সবচেয়ে বড় দল।
অনেকেই বলছে, গাঞ্জই হবেন ইসরাইলের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তবে নেতানিয়াহুর কোয়ালিশন সরকারের পতন না হলে ২০৬ সালের নির্ধারিত সময়ের আগে কোনো সাধারণ নির্বাচন হবে না।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
আমাদের কেউ থামাতে পারবে না : নেতানিয়াহু
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয় অর্জন থেকে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না।
রোববার গাজা যুদ্ধের শততম দিন উপলক্ষে নেতানিয়াহু টেলিভিশনে প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, না হেগ, না শয়তানের অক্ষশক্তি, না কেউ। বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে, আমরা তা চালিয়ে যাবো। তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘ বিচার আদালতে করা মামলার প্রসঙ্গ টেনে এসব কথা বলেন।
নেতানিয়াহু আরো বলেন, দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইতোমধ্যে অধিকাংশ হামাস সদস্যকে নির্মূল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উত্তর গাজা থেকে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে তারা সহসা সেখানে ফিরতে পারবে না।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একটি আন্তর্জাতিক আইন আছে যা খুবই সহজ। সেখানে বলা আছে, বিপজ্জনক কারনে যখন কোনো জনগোষ্ঠীকে সরিয়ে দেয়া হয়, যতক্ষণ সে পরিস্থিতি থাকবে ততক্ষণ তাদের ফিরতে দেয়া হবে না।
নেতানিয়াহু বলেন, বিপজ্জনক পরিস্থিতি সেখানে বিদ্যমান। সেখানে যুদ্ধ চলছে।
সূত্র : আল জাজিরা ও এএফপি
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ
উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com
