ইয়েমেনভিত্তিক হাউছি যোদ্ধাদের হামলায় ইডেন উপসাগরে একটি তেল ট্যাংকারে আগুন লেগে গেছে। ফলে বিশ্ববাণিজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌরুটটি দিয়ে জাহাজ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।
মার্লিন লুয়ান্ডা তেল ট্যাংকারটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ট্রাফিগুরা শুক্রবার জানিয়েছে, লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে ইডেন উপসাগরে পৌঁছার পর ট্যাংকারটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে ট্যাংকারটিতে আগুন ধরে যায়।
ইরান-সমর্থিত হাউছি যোদ্ধারা হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই হামলা চালিয়েছে। তারা আরো জানায়, এই হামলা হলো আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আমেরিকান-ব্রিটিশ আগ্রাসনের জবাব এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন ঘোষণা।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
ব্রিটেনভিত্তিক ট্রাফিগুরা জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। আর সামরিক জাহাজগুলো এই অঞ্চল দিয়ে চলাচলকারীদের সামরিক পাহারা দেয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ সরকার এ ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের শিকার ট্যাংকারটির জরুরি সাহায্যের আবেদনে একটি মার্কিন ডেস্ট্রোয়ার সাড়া দেয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে মার্কিন ডেস্ট্রোয়ার ইউএসএস কার্নে মার্কিন রণতরীকে টার্গেট করে নিক্ষেপ করা হাউছিদের একটি জাহাজবিধংসী ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করে। এই হামলায় ইউএসএস কার্নের কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইয়েমেনে হাউছিদের বিভিন্ন টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য হামলা চালিয়েছে। হাউছিরা দাবি করছে, গাজায় হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরে ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে যাবে।
সূত্র : সিএনএন ও বিবিসি
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ