গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগপারে শুক্রবার শুরু হওয়া মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব আজ রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে।
শনিবার দুপুর থেকেই আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসেছেন এবং পুরো রাতই মুসল্লিরা ময়দানে উদ্দেশ্যে এসেছেন। এতে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকা, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, কামারপাড়া সড়ক, আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন মুসল্লিরা। এতে ওই সব এলাকায় স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাত থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, কলেজ গেট, বিমানবন্দর, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও টঙ্গী রেল স্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকা ও গাজীপুরের আশপাশের জেলার মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের স্রোত বাড়তে থাকে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষ্যে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সবাই আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রওনা দিয়েছেন। ভোগড়া বাইপাস থেকে ইজতেমা মাঠের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। এই পুরো জায়গা হেঁটেই মুসল্লিরা রওনা হয়েছেন ইজতেমা মাঠের উদ্দেশে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে।
রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক সাহেব। এরপর কিছু সময়, নসিহত মূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা সাহেব। আনুমানিক সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজন কমিটির পক্ষ থেকে ইজতেমার মিডিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ