Home আন্তর্জাতিক পাকিস্তানে নির্বাচনের ২৩৬ আসনের ফল ঘোষণা, এগিয়ে ইমরানের সমর্থকরা

পাকিস্তানে নির্বাচনের ২৩৬ আসনের ফল ঘোষণা, এগিয়ে ইমরানের সমর্থকরা

ছবি: রয়টার্স।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১:৪৫টা পর্যন্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ২৩৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ আসনেই এগিয়ে রয়েছেন কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ঘোষিত ২৩৬টি আসনের মধ্যে ৯৫টিতেই জয় পেয়েছে স্বতন্ত্ররা, যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের সমর্থক।

নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) পিএমএল-এন ৬৭টি আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫২টি আসনে জয় পেয়েছে।

এছাড়া, অন্যান্যরা ২২টি আসনে জয় পেয়েছে।

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর ফল ঘোষণা শুরু হয়। দীর্ঘ এই সময় ধরে ফল আটকে রাখায় বা স্পষ্ট করে কিছু না বলায় প্রশ্ন উঠেছিল। নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের অতীতের নির্বাচনগুলোকে বিবেচনায় নিলে এবারের ফল ঘোষণায় এমন বিলম্ব অস্বাভাবিক।

যদিও ফল ঘোষণা শুরুর পর প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত বার্তাসংস্থা রয়টার্স মোট ৪৭টি আসনের চূড়ান্ত ফলাফল জানিয়েছে।

এসব আসনের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) পিএমএল-এন জিতেছে ১৭টি আসনে। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কারাবন্দি ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৪টি আসনে জিতেছেন।

আরও পড়তে পারেন-

এছাড়া ১২টি আসনে জিতেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। বাকি চারটি আসনে অন্য প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

তবে আশা করা হচ্ছে, মূল লড়াইটা হবে ইমরান খানের পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থী এবং নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনের প্রার্থীদের মধ্যে।

পিটিআই গত জাতীয় নির্বাচনে জিতে পাকিস্তানে সরকার গঠন করেছিল। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার পিএমএল-এনের পেছনে ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনীর সমর্থন রয়েছে।

সংসদে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১৩৩টি আসন প্রয়োজন। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে কোনো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে।

এদিকে নির্বাচনে জয় পাবে বলে দাবি করেছে প্রধান দুই দলই—পিটিআই ও পিএমএল-এন।

লাহোরে ভোট দেওয়ার সময় নওয়াজ শরিফ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জোটগত সরকারের কথা বলবেন না।’

এদিকে পিএমএল-এনের নেতা মরিয়ম আওরঙ্গজেব দাবি করেছেন, কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে পিএমএল-এনই সরকার গঠন করবে।

এক এক্স বার্তায় (সাবেক টুইটার) তিনি লেখেন, তাদের দলের ইলেকশন সেল এখনও ফল সংগ্রহ করছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় ফল সংগ্রহ কঠিন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার দল ‘শক্তিশালী’ অবস্থানে আছে।

অন্যদিকে পিটিআইও পিএমএল-এনের প্রতি পরাজ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এক এক্স বার্তায় দলটি বলেছে, ‘পরাজয় মেনে নিন। পাকিস্তানের জনগণ কখনও আপনাকে গ্রহণ করবে না।’

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে পিটিআইকে দল হিসেবে বৃহস্পতিবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। তাদের নির্বাচনী প্রতীকও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তাই ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের সময় পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল মোবাইল নেটওয়ার্ক। এছাড়া অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা কিংবা গতি কম থাকার খবরও এসেছিল।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স, ডন, জিও টিভি, ও আল জাজিরা

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।