আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তারা রাজনৈতিকভাবে বৈধতা হারিয়েছে। এরপর তিনটি অবৈধ নির্বাচন, শাপলা গণহত্যা, মোদীবিরোধী আন্দোলনে রক্তপাত, আলেমদের উপর জুলুম এবং সর্বশেষ ২৪ জুলাইয়ের গণহত্যা—এসবই তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্র উন্মোচন করেছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল, কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের সংগঠন রফিকুল ইসলাম আইনী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকার ন্যূনতম নৈতিক বা সাংবিধানিক অধিকার নেই। তাদের রাজনৈতিক অপশাসন চরমে পৌঁছেছে। এই দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে আইন ও বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
তিনি আরও বলেন, আমরা ৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কালো নকশা নস্যাৎ করেছিলাম। শহীদ মিনার ও শাহবাগ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছিলাম—বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা কোনো নতুন ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না। যদি আবারও কোনো অগণতান্ত্রিক চক্রান্ত করা হয়, তবে ছাত্রসমাজ রাজপথে দাঁড়িয়ে তা প্রতিহত করবে।
আইনী আরও বলেন, এখন ইনক্লুসিভ রাজনীতির বুলি আওড়ানো হচ্ছে, কিন্তু গত তিনটি অবৈধ নির্বাচনের সময় ক্যান্টনমেন্টের সেই ইনক্লুসিভিটি কোথায় ছিল? জনগণের রায় ছিনিয়ে নেওয়া, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা, ভিন্নমতের ওপর নিপীড়ন চালানো—এসবের পরও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার যে কোনো চক্রান্ত জনগণ মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মাটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম চলছে এবং এই লড়াইয়ের শেষ কথা বলবে দেশের ছাত্র-জনতা!
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএ