Home রাজনীতি নাস্তিক্যবাদ ছড়িয়ে দিতেই পাঠ্যপুস্তকে ‘বিবর্তনবাদ’: মহানগর জমিয়তের কাউন্সিলে আল্লামা কাসেমী

নাস্তিক্যবাদ ছড়িয়ে দিতেই পাঠ্যপুস্তকে ‘বিবর্তনবাদ’: মহানগর জমিয়তের কাউন্সিলে আল্লামা কাসেমী

মাওলানা আফেন্দী সভাপতি, মাওলানা গাজীপুরী সাধারণ সম্পাদক পুন:নির্বাচিত

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন- ডারউইনের বিবর্তনবাদ প্রকৃত অর্থে একটি কুফরী মতবাদ। বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে, মানুষের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই, এ জাতীয় মতবাদ বিশ্বাস করলে কারো ঈমান থাকবে না। বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে নবম-দশম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে এ রকম কুফরী মতবাদের জায়গা কীভাবে হলো তা খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। মূলতঃ নাস্তিক্যবাদকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতেই পাঠ্যপুস্তকে ‘বিবর্তনবাদ’ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের এই কুফরী মতবাদকে অন্তর্ভুক্ত করে মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকে নাস্তিক্যবাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।

আজ (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে আল্লামা কাসেমী এ সব কথা বলেন।

দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দীর সভাপতিত্বে এবং মহানগর জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজিপুরী, মুফতী বশীরুল হাসান খাদিমানী, মাওলানা নূর মুহাম্মদ কাসেমী ও মাওলানা মাহবুবুল আলম-এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মুফতী মনির হোসাইন কাসেমী, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ মাহমূদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসাইন রাহমানী, মুফতী নাসির উদ্দীন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, অফিস সম্পাদক মাওলানা আবদুর গফফার ছয়ঘরী, যুব জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক কামাল ও ছাত্র জমিয়ত সভাপতি মাওলানা এখলাসুর রহমান রিয়াদসহ মহানগরীর দায়িত্বশীল ও বিভিন্ন থানা থেকে আগত কাউন্সিলরগণ।

কাউন্সিলে আগামী ৩ বছর মেয়াদের জন্য মাওরানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দীকে সভাপতি ও মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরীকে সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা মুফতী নূর মুহাম্মদ কাসেমীকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজীকে প্রচার সম্পাদক, মাওলানা সাইফুদ্দীন ইউসুফ ফাহিমকে যুব-বিষয়ক সম্পাদক ও মুহাম্মদুল্লাহ কাসেমীকে ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক করে ১১২ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা মহানগর জমিয়তের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও কাউন্সিল সভায় ৭ দফা প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

৭ দফা গৃহিত প্রস্তাবাবলী হচ্ছে, যথা- ১৷ ভারতে সম্প্রতি জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে মুসলমানদের উপরে যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হচ্ছে, আজকের এই কাউন্সিল সম্মেলন তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং বাংলাদেশ সরকারকে ভারতীয় এই উগ্রতার জোর প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছে ৷

২৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্কুল কলেজের পাঠ্যপুস্তকে বিবর্তনবাদ অন্তর্ভুক্ত করার পেছনে যাদের হাত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং বিবর্তনবাদের মত কুফরী মতবাদকে পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রত্যাহার করতে হবে৷

৩৷ সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে ভয়াবহ চিত্র সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে তাতে দেশবাসী চরম উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। অবিলম্বে সরকারকে এই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দূর করে নারী সমাজের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷

৪৷ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে মিয়ানমারের পূর্ণ নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আদায়সহ তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরি করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আজকের কাউন্সিল জোর দাবি জানাচ্ছে৷

৫৷ মাদকের বিষাক্ত ছোবল থেকে দেশের যুবসমাজকে রক্ষার জন্য সরকারকে আরো বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে৷

৬৷ দেশের সর্বত্রই আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জনগণের জান-মাল ইজ্জত-আবরুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনতিবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে৷

৭৷ শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে৷ -বিজ্ঞপ্তি।

রাখাইনকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন প্রধানমন্ত্রী