Home রাজনীতি পাঠ্যপুস্তক থেকে বিবর্তন শিক্ষা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা মহানগর জমিয়তের মানববন্ধন

পাঠ্যপুস্তক থেকে বিবর্তন শিক্ষা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা মহানগর জমিয়তের মানববন্ধন

উম্মাহ রিপোর্ট: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল (৩০ জুলাই) মঙ্গলবার ১১ টায় পাঠ্যপুস্তকের নবম-দশম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত ডারউইনের ইসলাম বিরোধী ‘বিবর্তনবাদ’ শিক্ষা প্রত্যাহরের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।

নগর প্রচার সম্পাদক মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজীর পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালীন প্রদত্ত বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, নবম-দশম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে থাকা ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব ঈমান-আক্বীদার সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের শিক্ষা সিলেবাসে এ মতবাদ কিছুতেই থাকতে পারে না। এই ভ্রান্ত মতবাদের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “সৃষ্টিকর্তার ধারণা থেকে মানুষকে বের করে আনা। সব কিছু প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। একটি ভাইরাস, এরপর একটি ব্যাকটোরিয়া, এর থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে একটি থেকে অপরটি, এমন করে সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত সৃষ্টি হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে এই প্রাণী জগতের মধ্যে বির্বতনও ঘটে। মাানুষ ও বানরের পূর্ব পুরুষ একই ছিল”।

তিনি বলেন, অথচ পবিত্র কোরআনের অসংখ্যা আয়াতে মহান আল্লাহর ঘোষণা রয়েছে যে আমি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তার থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করেছি। তাদের উভয় থেকে বিস্তার করেছি অগণিত পুরুষ ও নারী। সুতরাং একটি মুসলিম দেশের পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী আক্বীদা-বিশ্বাসবিবর্জিত এ জাতীয় চ্যাপ্টার মেনে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

ঢাকা মহানগর জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুফতী বশীরুল হাসান খাদিমানী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন কমিটিতে দেশের-দু-চারজন বিজ্ঞ আলেমকে অন্তর্ভূক্ত করার জোর দাবী জানিয়ে বলেন, বির্বতনবাদের এই অনৈসলামিক চ্যাপ্টার শিক্ষার্থীদের পড়ানো হলে দেশে নাস্তিকতা অকল্পনীয় হারে বৃদ্ধি পাবে।

অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য নগর সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দুস কাসেমী, নগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুফতী বশীরুল হাসান খাদিমানী, মুফতী মাহবুবুল আলম, মাওলানা সলীমুল্লাহ, মুফতী গোলাম মাওলা, মাওলানা নুরুল আলম ইসহাকী, মাওলানা বোরহানুদ্দীন, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল কাফী, মাওলানা বদরুল হাসান মাসকুর প্রমুখ।