Home স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অ্যালার্জিযুক্ত খাবার কীভাবে চিনবেন?

অ্যালার্জিযুক্ত খাবার কীভাবে চিনবেন?

একেকজনের একেক ধরনের খাবারে অ্যালার্জি থাকে। কারও দুধ খেলে পেট খারাপ হয়, কারও বেগুন খেলে মুখ চুলকায়, কারও আবার ডিম খেলে পেট ব্যথা হয়। তাই কারও কোন খাবারে অ্যালার্জি তা চিহ্নিত করে ওই নির্দিষ্ট খাবারটি বাদ দিলেই অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা যায়।

দুধ : শিশুদের সাধারণত দুধে অ্যালার্জি হতে পারে। বিশেষ করে গরুর দুধে। একে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বলে, দুধে ল্যাকটোজ নামক যে উপাদান থাকে তা হজম করার জন্য ল্যাকটোজ এনজাইমের ঘাটতি থেকেই এ সমস্যা হয়।

শস্য : যব, ভুট্টা, ডট, ময়দা জাতীয় খাবারে গ্লুটেন থাকে। কারও এই গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে। পেটের একটি রোগ সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও গ্লুটেন জাতীয় খাবার হজম করতে পারে না।

ডিম : ডিমের সাদা অংশ প্রোটিন। এ প্রোটিনে খুব ছোট শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। এর ফলে ত্বকে চুলকানি, চোখ লাল হয়।

মাছ : সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, ইলিশ, বোয়াল ইত্যাদিতে কারও কারও অ্যালার্জি হতে পারে। তাই যে খাবারে কারও প্রতিক্রিয়া হবে সেই খাবার বাদ দেয়াই উচিত। সবার জন্যই যে চিংড়ি বা ইলিশ নিষেধ তা কিন্তু নয়।

বাদাম ও বীজ : আমিষ জাতীয় খাবার বাদাম ও বীজে কারও কারও অ্যালার্জি হয়।

তাই যে খাবার খেলে ত্বক, মুখ ও জিবে চুলকানি, র‌্যাশ, নাক দিয়ে পানিপড়া, চোখ লাল হওয়া, শুকনো কাশি, পেট কামড়ানো বা ব্যথা, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা হয় সেই খাবার খাওয়া বাদ দেবেন। পরিবারে অ্যালার্জির ইতিহাস থেকেও এমন হতে পারে।

ডা. আলমগীর মতি

হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক, মর্ডান হারবাল গ্রুপ। মোবাইল ফোন : ০১৯১১৩৮৬৬১৭