Home রাজনীতি ভোলায় পুলিশী আচরণ উস্কানীমূলক ও ক্ষমার অযোগ্য নিষ্ঠুরতা: আল্লামা কাসেমী

ভোলায় পুলিশী আচরণ উস্কানীমূলক ও ক্ষমার অযোগ্য নিষ্ঠুরতা: আল্লামা কাসেমী

উম্মাহ প্রতিবেদক: আল্লাহ ও রাসূল (সা.)কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক হিন্দু ব্যক্তির অবমাননাকর উক্তির প্রতিবাদে ভোলায় তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলি বর্ষণে ব্যাপক প্রাণহানী ও হতাহতের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জমিয়ে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। তিনি বলেছেন, পুলিশের এমন মারমুখী আচরণ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দিতে উস্কানীমূলক এবং ক্ষমার অযোগ্য নিষ্ঠুরতা।

আজ (২০ অক্টোবর) রবিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে জমিয়ত মহাসচিব আরো বলেছেন, ইসলাম অবমাননার মতো এমন স্পর্শকাতর ঘটনার প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের কর্তব্য ছিল শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করা। অথচ পুলিশ অত্যন্ত নির্দয়ভাবে তাওহিদী জনতার উপর শত্রুর মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কার্যত: ইসলাম অবমাননার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে পুলিশের এমন মারমুখী ভূমিকা যারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়, তাদেরই সহায়ক হয়েছে। ইসলাম অবমাননার মতো এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বরাবরই পুলিশের ভূমিকা তৌহিদী জনতার বিপক্ষে আক্রমণাত্মক থাকে কেন এবং পুলিশ ইসলামবিদ্বেষীদের প্রতি নমনীয় কেন, জনমনে এমন ঘোরতর প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। আমরা পুলিশের এমন ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাপকহারে মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশ। আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করে আসছি যে, সময়ে সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন আল্লাহ, রাসূল ও ইসলামকে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননাকর কাজ করে মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে ব্যাপক উস্কানী দিয়ে আসছে। মাত্র ক’মাস আগে হিন্দুত্ববাদি সংগঠন ইস্কনও মুসলিম স্কুল ছাত্রদের মাঝে দেবতার প্রসাদ বিতরণ করে এমন উত্তেজনাকর কা- করেছিল। দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে ফায়দা লুটতে তৎপর আগ্রাসী অশুভ শক্তির ইন্ধনেই তারা এমনটি করছে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। ভোলায় হিন্দু যুবকের কাণ্ড এরই ধারাবাহিক অংশ হতে পারে। কিন্তু এসব ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে প্রশাসনিক তৎপরতাও চোখে পড়ে না।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের প্রতি জোরালো দাবি জানাচ্ছি, ভোলায় হিন্দু যুবকের ইসলাম অবমাননার ঘটনার নিবিড় তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করে জনগণকে জানাতে হবে। পাশাপাশি এসব অপতৎপরতার সাথে কারা জড়িত, কারা ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছে এবং আড়াল থেকে কারা এসব অপতৎপরতায় কলকাঠি নাড়ছে খুঁজে বের করে সমূলে উৎখাত করতে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

জমিয়ত মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে ইসলাম অবমাননার মতো ঘটনা এবং ইসলামবিদ্বেষী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। আর এজন্য অবশ্যই ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে কঠোর আইন পাশ করতে হবে।