Home ওপিনিয়ন বার্মা কেন ইসরায়েলের বড় বন্ধু?

বার্মা কেন ইসরায়েলের বড় বন্ধু?

।। আলতাফ পারভেজ ।।

ইসরায়েলের যুক্তরাষ্ট্র দূতবাস জেরুযালেমে সরানোকে কেন্দ্র করে প্যালেস্টাইনে গত প্রায় এক বছর রক্তের নদী বয়ে যাচ্ছে। বিতর্কিত ঐ স্থানান্তর অনুষ্ঠানে যে স্বল্প কয়টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন তাতে বার্মার নাম দেখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন।

তাদের জন্য আরও বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে পরে। বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী ঘৃণা ও ক্ষোভের মাঝেই দেশটির সঙ্গে বার্মা এক শিক্ষা সহযোগিতা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। বলা হয়, দুই দেশ পরস্পরের ‘শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে বর্ণবাদী ও জাতিঘৃণা বিষয়ক কিছু থাকলে তার ক্ষতি সংশোধনে’ ভূমিকা রাখবে- নতুন চুক্তির মাধ্যমে। পাশাপাশি বার্মায় হিব্রু ভাষা এবং ইসরায়েলে বার্মিজ ভাষার চর্চা বৃদ্ধিও চুক্তির আরেকটি দিক!

বলা বাহুল্য, এই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ ভাষ্য প্রকাশিত হয় নি। প্রকাশিত বক্তব্যের চেয়েও এইরূপ চুক্তির অপ্রকাশিত ভূ-রাজনৈতিক তাৎপর্য অনেক। তবে আলোচ্য চুক্তির কৌতুককর দিকটিও নজর কাড়া।

বার্মা ও ইসরায়েল যখন জাতি ও বর্ণঘৃণার বিরুদ্ধে পাঠ্যসূচি সংশোধনের কথা বলছে- বর্তমান বিশ্বে  তখন জাতি ও ধর্মঘৃণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক চ্যাম্পিয়ন দুটি দেশ হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে আছে তারাই। ইসরায়েল যেভাবে প্যালেস্টাইনীদের মাতৃভূমি থেকে উৎখাত করে বর্বরতম যুদ্ধ জারি রেখেছে- বার্মাও তার ভূখন্ডে অনুরূপ কার্যক্রমে রত প্রায় প্রায় সত্তর বছর হলো।

তবে এই চুক্তি এবং জেরুযালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তর অনুষ্ঠানে বার্মার প্রতিনিধির উপস্থিতি নাটকীয় কিছু নয়। বরং এটা হলো দীর্ঘ এক কূটনীতিক সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতি মাত্র। যদিও সেই অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশিরা বিপজ্জনকভাবে সামান্যই অবহিত।

দেশ হিসেবে যাত্রা থেকে বার্মা ও ইসরায়েলের মধ্যে বেশ কিছু মিল ছিল এবং আছে। উভয়েরই স্বাধীন অভিষেক ব্রিটেনের কাছ থেকে, ১৯৪৮ সালে। উভয় দেশের প্রতিষ্ঠার মাঝেই লুকিয়ে আছে স্থানীয় অপর জাতি বা জাতিসমূহের বিস্তর দীর্ঘশ্বাসের কারণ।

ইসরায়েল যেমন ১৯৪৮ থেকেই প্যালেস্টাইনীদের মোকাবেলা করে যাচ্ছে- তেমনি বার্মাও কারেন, কাচিন, রাখাইন, রোহিঙ্গাসহ বহু জাতিসত্তাকে মোকাবেলা করছে স্বাধীনতার উষালগ্ন থেকে। উপরন্তু এ লেখা তৈরির সময় দুই দেশের মধ্যে আরেকটি মিলের দিক হলো উভয় দেশে এপর্যন্ত পরস্পরের ২২ জন করে রাষ্ট্রদূত কাজ করেছে। শেষোক্ত তথ্যটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের অনেক নাগরিকদের কাছেই বিস্ময়কর ঠেকে। কিন্তু এটাই সত্য যে, বার্মা হলো এশিয়ার প্রথম দেশগুলোর একটি যারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় (১৯৪৯ সালের ৭ ডিসেম্বর)। আর উভয় দেশের মধ্যে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৫৩ সালে।

বর্তমানে ইসরায়েলে বার্মার দূতাবাস রয়েছে তেলআবিবে। আর বার্মায় ইসরায়েলের দূতাবাস রয়েছে ইয়াঙ্গুনে। তবে বার্মা সরকার যেমন চাইছে ইসরায়েল তার দূতাবাস নতুন রাজধানী নে-পি-দতে স্থানান্তর করুক তেমনি ইসরায়েলও চাইছে বার্মা তার দূতাবাস জেরুজালেমে নিয়ে আসুক। শিগগির যে এটা ঘটবে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

বার্মার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উ নু প্রথম ইসরায়েল সফরে যান ১৯৫৫ সালে। বিশ্বজুড়ে চরম এক ঘরে অবস্থার মাঝে এটাই ছিল ইসরায়েলে কোন বিদেশী রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের প্রথম সফর। এও বিস্ময়কর যে, উ নু ছিলেন জওহর লাল নেহেরু, সুকর্ণ প্রমুখ জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রধান প্রধান নেতাদের বন্ধু- যারা ইতিহাসের ঐ সময় মূলত প্যালেস্টাইনীদের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু উ নু ইসরায়েল প্রশ্নে ‘সাহসের সঙ্গে ঝুঁকি’ নিয়েছিলেন। আবার উ নু’র সফরকে ইসরায়েলও পূর্ণ সক্রিয়তায় এগিয়ে নিয়ে গেছে ক্রমাগত। নিজ দেশের কূটনীতিক বিচ্ছিন্নতার মাঝে উ নু’র বার্মা যে উদারতা দেখিয়েছিল ইসরায়েলীরা কখনোই সেটার প্রতিদান দিতে কূণ্ঠিত ছিল না।

১৯৫৯ সালে ইসরায়েলের দ্বিতীয় প্রেডিডেন্ট ইজাক বেন-জাভি এবং ১৯৬১ সালে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরজন বার্মা আসেন। ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রীর শেষোক্ত সফরটি সেসময় বিশ্বজুড়ে বিশেষ নজর কেড়েছিল এই কারণে যে, প্রায় ১৫ দিন তিনি সেসময় বার্মা অবস্থান করেন। এত দীর্ঘ সময় কোন দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের অপর একটি দেশ সফরের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বেশ বিরল। পরবর্তীকালে গোল্ডা মায়ার থেকে মোশে দায়ান ও শিমন পেরেজ পর্যন্ত ইসরায়েলের খ্যাতনামা রাজনৈতিক নেতাদের সকলেই তাঁদের কার্যকালে বার্মা এসেছেন। যদিও দেশটিতে ইহুদিদের সংখ্যা অসমর্থিত হিসাবে এক শতের বেশি নয় এবং সেনেগগ আছে মাত্র একটি।

[ দুই ]

বার্মায় ইহুদিদের উল্লেখযোগ্য হারে আগমন ব্যবসার সূত্রে ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনামলে। এদের বলা হয় বাগদাদী ইহুদি। মূলত রেঙ্গুনকে ঘিরে ছিল এই ইহুদিদের বসতি। ডেভিড সোফায়ের নামে ১৯৩০-এর দশকে রেঙ্গুনের একজন মেয়রও ছিলেন ইহুদি। তবে জাপানি আগ্রাসনের মুখে ইহুদিদের অনেককে পালাতে হয় এবং পরবর্তীকালে নে উইনের ‘বার্মিজ ধাঁচের সমাজতন্ত্র’কালে এই সম্প্রদায়ের ব্যবসায়-বাণিজ্য অনেকখানি বাজেয়াপ্তও হয়। অথচ ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট (এবং প্রধানমন্ত্রীও) শিমন পেরেজ তাঁর বার্মা সফরের স্মৃতিচারণে লিখেছেন (‘ব্যাটেলিং ফর পিস: এ মেমোয়ারস্’), নে উইনই তাঁকে বলেছিলেন, ‘বার্মার কাছে ইসরায়েল হলো একমাত্র দেশ যাকে বিশ্বাস করা যায়’।

বস্তুত বার্মায় ইহুদিদের সংখ্যালল্পতা দিয়ে বার্মা-ইসরায়েল সম্পর্কের গভীরতা বোঝা মুশকিল। বরং উভয়ে উভয়কে প্রয়োজনীয় মনে করেছে জাতিগত অসন্তোষ মোকাবেলায় পারস্পরিক ‘অভিজ্ঞতা বিনিময়ে’র জন্য। বিশেষ করে ইসরায়েল আরবদের অধিকৃতদের গ্রামগুলোতে বসতির পাশাপাশি যেভাবে প্রতিরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলেছে সেটাই বার্মা অনুসরণ করতে শুরু করে তার যুদ্ধাঞ্চল শ্যান ও কাচিন এস্টেইটে। অর্থাৎ ইউনিয়ন-বার্মা জুড়ে বিভিন্ন জাতির বিরুদ্ধে টাটমা-ড্ (বার্মার সেনাবাহিনীর স্থানীয় নাম)-এর যুদ্ধ কৌশল মূলত প্যালেস্টাইনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকৌশলের কপি-পেস্ট। Burma’s Secret Military Partners (2000) শীর্ষক গ্রন্থে গবেষক Andrew Selth-এর দাবি, ১৯৫৪ সালে ইসরায়েল বহির্বিশ্বে প্রথম অস্ত্র বিক্রি করে (৩০টি Supermarine Spitfire fighters) বার্মাতেই।

এইরূপ নানান ‘অভিজ্ঞতা’ ও ‘পণ্য’ বিনিময়ের প্রেক্ষাপটেই বিগত প্রায় ৭০ বছর ধরে বার্মার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রকাশ ও গোপন উভয় পরিসরে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক সক্রিয় এবং তারই সর্বশেষ এক ধারাবাহিকতা ছিল ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান প্রধান মিন অং হ্লাইর বহুল আলোচিত বার্মা সফর। ১৯৫৯-এর পর এটা ছিল বার্মার সশস্ত্র বাহিনীর কোন প্রধানের ইসরায়েল সফর। মূলত বড় ধরনের সামরিক কেনাকাটার বিষয় নীতিগতভাবে চূড়ান্ত করতেই তাঁর এই সফর ছিল বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ইসরায়েলী দৈনিক হা-রেৎজ (haaretz).

বর্তমানে ইসরায়েলকে বিবেচনা করা হয় বার্মার অন্যতম প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। হা-রেৎজ-এর সূত্রেই জানা যায় (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭), মিন অং হ্লাই ইসরায়েল সফরকালে দেশটি অস্ত্রখাতের দুই বড় ঠিকাদার Elbit Systems এবং Elta Systems-এর সঙ্গেও বৈঠক করে।

উল্লেখ্য, আলোচ্য দুটি কোম্পানির মধ্যে প্রথমোক্তটি ১৯৯৭ সাল থেকেই বার্মায় বড় আকারে অস্ত্র ব্যবসায় যুক্ত (ইরাবতী, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫) এবং বার্মাকে সামরিক ক্ষেত্রে উচ্চতর প্রযুক্তি মূলত তারাই সরবরাহ করছে। ২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আল-জাজিরার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা যায়, বার্মার আর্মাড ভেহিকলের ক্ষেত্রে ইসরায়েল দ্বিতীয় সরবরাহকারী, এবং আর্টিলারি যুদ্ধাস্ত্রের বিক্রেতা হিসেবে তারা সেখানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

মিন অং হ্লাই ছাড়াও অতীত ও বর্তমানের বার্মার নেতৃত্ব যখনি ইসরায়েল সফরে যান তখনি সেখানে ‘প্যালেস্টাইনীদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত সৈনিক’দের সমাধিতেও ফুল দিয়ে আসেন। এটা যে কেবল প্যালেস্টাইনীদের প্রতি একতরফাভাবে চাপিয়ে দেয়া ইসরায়েলী যুদ্ধাগ্রাসনের প্রতি সরাসরি সমর্থন তাই নয়- প্যালেস্টাইনীদের সঙ্গে বিশ্ব সংহতির প্রতি চূড়ান্ত এক অবজ্ঞাও বটে।

এদিকে মিন অং হ্লাই-এর এই সফর শেষেই ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিভাগের প্রধান মিশেল বেন-বারুচ বার্মা যান। যদিও অতীতে ইসরায়েল-বার্মা কেউই স্বীকার করতো না যে তাদের মাঝে সামরিক সম্পর্ক বিদ্যমান কিন্তু বেন-বারুচের সফরের সময়ই বার্মা সরকারের তরফ থেকেই জানানো হয়, তারা ইসরায়েল থেকে ডোবরা পেট্রোল বোটসহ আরও কিছু সামরিক সরঞ্জামের ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। বেন-বারুচের সফরের পর ২০১৬ সালের আগস্টে ইসরায়েলের ‘টার আইডিয়াল কনসেপ্ট’ (TAR Ideal Concepts) সরাসরি তাদের ওয়েবসাইটেই ছবিসহ জানায় যে, তারা বার্মার সৈনিকদের সামরিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দিচ্ছে।

এসবই হলো বার্মাকে ইসরায়েলের তরফ থেকে দেয়া সামরিক সহায়তার পুরানো ধারাবাহিকতা। এ সম্পর্কে বৈশ্বিক পরিসরে প্রথম বিস্তারিত তথ্যাদি তুলে ধরেছিল ২০০০ সালের ১ মার্চ ব্রিটেনের Jane’s Intelligence Review. এই তদন্ত প্রতিবেদন বিস্তারিত জানিয়েছিল, উন্নত বিশ্বের তরফ থেকে অবরোধের মাঝেও ইসরায়েল কীভাবে বার্মাকে যুদ্ধবিমান থেকে সাধারণ অস্ত্র পর্যন্ত ব্যাপকভিত্তিক সামরিক অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দিচ্ছেÑ একদিকে গণতন্ত্রের আন্দোলন দমন এবং অন্যদিকে জাতিগত স্বাধীকারকামীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ের জন্য। এই প্রতিবেদন থেকেই প্রথম বিস্তারিত জানা যায়, বার্মাকে ইসরায়েল গোয়েন্দা তথ্য সহায়তাও দিয়ে থাকে এবং একই প্রতিবেদনে ইসরায়েলকর্তৃক বার্মাকে রাসায়নিক অস্ত্র প্রযুক্তি প্রদানেরও ইঙ্গিত করছে। যা বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটা বড় উদ্বেগের দিক হলেও কখনো বিষয়টি এই অঞ্চলে আলোচিত হয়েছে- এমনটি দেখা যায়নি।

সঙ্গত কারণেই ইসরায়েল ও বার্মা কেউই তাদের সম্পর্কেও এইসব দিক নিয়ে ন্যূনতম কোন আলাপচারিতা পছন্দ করে না। বরং দুই দেশের নীতিনির্ধারকরাই বলে থাকে, শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য বিষয়েই তাদের সকল সহযোগিতার ভিত্তি এবং তা হবে মাশহাবের মাধ্যমে।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন সাহায্য সংস্থা ‘মাশহাব’ (Agency for International Cooperation)- বিশ্বের খুব কম স্থানেই সরাসরি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে- তার মধ্যে বার্মাও রয়েছে। বলা হয়, বার্মায় তাদের ব্যাপকভিত্তিক কর্মকান্ড রয়েছে- বিশেষত ‘প্রশিক্ষণ’ ও ‘সামর্থ্য উন্নয়ন’ধর্মী কাজে। ‘প্রশিক্ষক’ হিসেবে ইসরায়েলের শত শত বিশেষজ্ঞ বার্মায় কাজ করেছেন এবং করছেন বিভিন্ন সময়। পাশাপাশি বার্মার হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতি বছর ইসরায়েলে বিভিন্ন ‘প্রশিক্ষণ’-এ যায়।

ইসরায়েল-বার্মা সম্পর্কের এসব দিক আপাতদৃষ্টিতে তাদের দু’দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইসরায়েলের যুদ্ধন্মোদনা এবং বাংলাদেশে বার্মাকর্তৃক তার দেশের কয়েক লাখ মানুষকে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দেয়ার পর বিষয়গুলো আর সক্রিয় মনযোগের বাইরে রাখার সুযোগ নেই। রোহিংগা-কাচিন-শ্যান-কারেন নিধনযজ্ঞের জন্য বার্মার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যখন অবরোধের ডাক উঠেছে সেই সময় এই বাহিনীর শক্তি ও প্রশিক্ষণের অন্যতম উৎস হিসেবে ইসরায়েলের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা দরকার। এমনকি বার্মায় ইসরায়েলের ‘উন্নয়ন কার্যক্রম’ও আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান দাবি করে।

– আলতাফ পারভেজ, সাংবাদিক ও গবেষক।