Home জাতীয় সৎ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গড়তে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নেই:...

সৎ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গড়তে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষার বিকল্প নেই: আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক

আবু তালহা তোফায়েল: জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা’র শায়খুল হাদীস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি জননেতা আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন- মাদরাসা শিক্ষা হলো জাতীয় শিক্ষা এবং সু-শিক্ষার মূল কেন্দ্র। যে এ শিক্ষাকে কুলুষিত করতে চায়, সে নিশ্চয় কোনো মানুষ নয়, সে চতুষ্পদ প্রাণী।

তিনি বলেন, জেনারেল শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, সেটা কখনো জাতীয় শিক্ষা হতে পারে না। কারণ, এখানে যে শিক্ষা দেওয়া হয়, সেটা হল রুটি-রুজি ও আয়-রোজগারের জন্য দক্ষ শ্রমিক হওয়ার প্রশিক্ষণ। আয়-রোজগারের জন্য স্কুল-কলেজে পড়ালেখা করা জরুরী নয়। স্কুল-কলেজের বৈষয়িক এসব পড়ালেখা ছাড়াও অনেকে মাসে কোটি কোটি টাকা রোজগার করতে পারেন।

তিনি বলেন, শিক্ষা বলা হবে যেখানে নৈতিকতা, আদর্শ ও সৎ মানুষ হওয়ার শিক্ষা থাকবে। যে শিক্ষায় আধ্যাত্মিকতা থাকবে। সৎ, ন্যায়নিষ্ঠতা, সুবিচার ও ইনসাফের পাঠ থাকবে। যেখানে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সৎ সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার দিক-নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ থাকবে। অথচ, বর্তমানে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পাঠ দেওয়া হয়, সেটা একান্তই আয়-রোজগারের প্রশিক্ষণ ও ভোগবাদিতার পাঠ ছাড়া কিছুই নয়।

আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, মাদরাসা শিক্ষাই হলো প্রকৃত জাতীয় শিক্ষা। এ শিক্ষায় ধর্মের আলোকে মানুষকে সৎ, আদর্শ ও সুশৃঙ্খল হওয়ার পাঠদানের পাশাপাশি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শের উপরই এই শিক্ষার মূল ভিত্তি। দুনিয়াবী ও আখেরাতের যিন্দেগীকে সফল করার পাঠ দেওয়া হয় মাদ্রাসাসমূহে।

তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার মূল পাঠই হচ্ছে- ইসলামের মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি কীভাবে ব্যক্তিজীবন, সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে সৎ, ন্যায়পরায়ণ, আদর্শ ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তোলা যায়, সেই শিক্ষা ও প্রশিক্ষণদান। পাশাপাশি প্রকৃত মানবাধিকার, সহমর্মীতা, সহানুভূতি, দেশপ্রেম, ভ্রাতৃত্ববোধ, আত্মীয়তা, পরোপকার এবং এসব জায়গায় দায়িত্ব কর্তবোধের শিক্ষা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমরা যদি সৎ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গড়তে চাই, তবে অতি অবশ্যই মাদ্রাসা শিক্ষাকে ধারণ করতে হবে এবং এগিয়ে নিতে হবে।