Home জাতীয় সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা জরুরী: আল্লামা কাসেমী

সাধারণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা জরুরী: আল্লামা কাসেমী

উম্মাহ প্রতিবেদক: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে লাখো জনতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামী সম্মেলন।

গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানান।

সম্মেলনে অন্যতম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর সভাপতি এবং তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সহসভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

সম্মেলনে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, যারা খতমে নবুওয়তকে অস্বীকার করে তারা কোন ভাবেই মুসলমান রূপে বিবেচিত হতে পারে না। তারা অবশ্যই অমুসলিম। তাই মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারীরা অমুসলিম। সুতরাং এদেশে কাদিয়ানীরা কোনভাবেই মুসলিম পরিচিতি ব্যবহার করতে পারবে না। তারা অমুসলিম পরিচয় নিয়ে অন্যান্য সংখ্যালঘু নাগরিকদের মতো বসবাস করলে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি মুসলমানের জন্য খতমে নবুওয়াতের উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন ঈমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কিন্তু গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারী কথিত আহমদিয়ারা খতমে নবুওয়াতে বিশ্বাস করে না। সুতরাং তারা কোনভাবেই মুসলমানদের কোনো পরিভাষা, যেমন মসজিদ, মাদ্রাসা, মিম্বার, আযান, সালাত, রোযা, ঈদ, কুরবানী ইত্যাদি পরিভাষা ব্যবহার করতে পারবে না।

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, বায়তুল্লাহ আল্লাহর ঘর- কেউ অস্বীকার করলে সে যেমন কাফের। কুরআন আল্লাহর কিতাব- কেউ অস্বীকার করলে সে যেমন কাফের। ঠিক তেমনিভাবে খতমে নবুওয়তকে যদি কেউ অস্বীকার করে, তাহলে সেও ঈমানহীন অর্থাৎ কাফের।

আল্লামা কাসেমী বলেন, এদেশের মুসলমানদের ঈমান আক্বিদা হেফাজতের জন্য, বিভ্রান্তি ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার জন্য, ধোঁকায় পড়ে ঈমানহারা হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রিয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা অত্যন্ত জরুরী। তাই সরকারের দায়িত্ব হবে, অনতিবিলম্ব কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার শিক্ষা সচিব আল্লামা কমরুদ্দিন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মুফতী ওয়াক্কাস, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আব্দুল কাদির প্রমুখ।