Home ইসলাম কখন জমিনে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে এবং মু’মিনদের করণীয়

কখন জমিনে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে এবং মু’মিনদের করণীয়

।। আলহাজ্ব সৈয়দ জহির উদ্দীন ।।

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়েপড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন মারা গেছেন এবং আরো কিছু নাগরিক করোনা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়ে আইসোলেশনে আছেন। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই ধারণা করছেন, প্রকৃত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাংলাদেশে অনেক বেশি হতে পারে। পর্যাপ্ত টেস্টের অভাবে অনেকে করোনাভাইরাস বহন করা সত্ত্বেও চিহ্নিত হচ্ছেন না। করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেকে মারা যাচ্ছেন, যাদেরকে টেস্ট না করার ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা আক্রান্ত বলা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মিডিয়াসহ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে চতুর্থ পর্যায়ে রয়েছে। এর মানে হচ্ছে করোনাভাইরাস সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে নীরবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সামনের দুই সপ্তাহ গুরুতর পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশের মানুষ।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থাও থমকে গেছে। অনেক দেশের মানুষ সম্পূর্ণ গৃহবন্দি অবস্থায় আছে। অভিভাবকরা সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানার উৎপাদন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বহুলাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এর থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে কুলকিনারা করতে পারছেন না। বলতে গেলে এই করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্বব্যবস্থা যেমন ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম, তেমনি সমগ্র মানবজাতি চরম আতংকিত ও বিপর্যস্ত।

করোনাভাইরাস মহামারিতে আজ সারাবিশ্বের মানুষ শংকিত। নিঃসন্দেহে এটা সমগ্র মানবজাতির জন্য বড় এক বিপদ। কুরআন-হাদীসের ভাষ্যমতে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পাপ এবং অপরাধমূলক কর্মকা- ব্যাপকতর হয়ে পড়লে এ ধরনের মহামারির বিপদ নেমে আসে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের ফলে স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে; যার ফলে তাদের কৃতকর্মের কোনো কোনো কর্মের শাস্তি তাদের তিনি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে। (সূরা রূম- ৪১ আয়াত)।

এ প্রসঙ্গে হযরত  রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- “যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি”। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং- ৪০১৯)।

আমাদের এ বিশ্বাস রাখতে হবে যে, রোগ কিংবা মহামারি সবই আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। এর মাধ্যমে আল্লাহ হয়তো বান্দাকে পরীক্ষা করেন, নয়তো পাপের শাস্তি দিয়ে থাকেন। সাধারণ রোগশোক পরীক্ষা কিংবা শাস্তি উভয় কারণেই হতে পারে। মহানবী (সা.) রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তা অবশ্যই পরীক্ষা ছিল। একইভাবে আল্লাহর নেক বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ রোগশোক দিয়ে থাকেন। যেমন হাদিসে এসেছে, কোনো মুসলিম ব্যক্তি শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে আক্রান্ত হলে, এমনকি তার শরীরে একটি কাঁটা বিঁধলেও তার বিনিময়ে আল্লাহ তার পাপগুলো মুছে দেন (বুখারি)।

তাই এ রকম কোনো মুসিবত এলে মুমিনদের উচিত ধৈর্যধারণ করে আল্লাহর কাছে সওয়াব লাভের আশা রাখা। কিন্তু কোনো রোগ যখন মহামারি আকার ধারণ করে, তখন তাকে স্রেফ পরীক্ষা ভাবা যায় না, বরং এটিকে পাপাচারের ব্যাপকতাহেতু আল্লাহর ক্রোধবশত শাস্তিই ধরে নিতে হবে; যদিও এর মাধ্যমে আল্লাহর নেক বান্দারা পরীক্ষিত হয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- রাসুল মহামারি সম্বন্ধে বলেন, নিশ্চয়ই এটি হচ্ছে আজাব, যা আল্লাহ যাদের ওপর ইচ্ছা আপতিত করেন। অবশ্য মুমিনদের জন্য আল্লাহ এটাকে রহমতে পরিণত করেন। কোনো ব্যক্তির এলাকায় মহামারি দেখা দিলে সে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিজ শহরেই অবস্থান করে এবং এ বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ তার ভাগ্যে যা রেখেছেন, এর বেশি বিপদ তার ওপর আপতিত হবে না; তবে তার জন্য একজন শহীদের সমান সওয়াব লেখা হবে। (বুখারী শরীফ)।

অপর বর্ণনায় রয়েছে, তোমরা যখন শুনবে কোনো এলাকায় মহামারি দেখা দিয়েছে, তখন তোমরা সেদিকে যেও না। আর যদি নিজ এলাকায় মহামারি দেখা দেয়, তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে যেও না। (বুখারী শরীফ)।

অন্য হাদিসে উলিল্গখিত হয়েছে, পেল্গগ বা মহামারি প্রত্যেক মুসলিমের জন্য শাহাদাত। (বুখারী শরীফ)।

মহামারি কিংবা বিপর্যয় যে আল্লাহর শাস্তি। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) মুহাজির সাহাবিদের উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করেন- “পাঁচটি বিষয় দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করা হতে পারে; আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যেন তোমাদের মধ্যে এগুলো না ছড়ায়-

১. যখন কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা এমনভাবে প্রকাশ পায় যে, তারা প্রকাশ্যে অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়ে যায়, তাহলে তাদের মধ্যে এমন মহামারি ও রোগব্যাধি দেখা দেবে যে, তাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে তা দেখা যায়নি।

২. কোনো জাতি যখন ওজন ও পরিমাপে কম দিতে থাকে, তখন তারা দুর্ভিক্ষ, জীবনযাত্রার কাঠিন্য এবং শাসকের অত্যাচারের শিকার হয়।

৩. কোনো সম্প্রদায় যখন যাকাত দিতে অস্বীকার করে, তখন তাদের মধ্যে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। পশুপাখি না থাকলে তারা বৃষ্টি থেকে একেবারেই বঞ্চিত হতো।

৪. কোনো জাতির লোকেরা যখন আল্লাহ ও তার রাসুলের সঙ্গে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করতে থাকে, তখন আল্লাহ তাদের ওপর তাদের বিজাতীয় শত্রুদের প্রাধান্য সৃষ্টি করে দেন। ফলে তারা তাদের সম্পদের কিছু অংশ গ্রাস করে।

৫. কোনো সম্প্রদায়ের নেতারা যখন আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী বিচার ফয়সালা না করে এবং আল্লাহর বিধানের ন্যায়ানুগ প্রয়োগের প্রচেষ্টা না করে, তখন আল্লাহ তাদের মধ্যে হানাহানি-সংঘর্ষ বাধিয়ে দেন”। (ইবনু মাজাহ, আল-মুস্তাদরাক, সহিহুল জামি)।


উপরোক্ত হাদিসগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে- মহামারি, ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ, অনাবৃষ্টি, এমনকি নিজেদের মধ্যকার হানাহানিও মানুষের কৃত অপকর্মের ফসল। তবে প্রকৃত মুমিনদের জন্য মহামারি ভালো মৃত্যুর উপায় হতে পারে।

অতএব, আমরা যদি প্রকৃত ইমানদার হয়ে থাকি, তাহলে বর্তমানে করোনা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই বরং মুমিন অবস্থায় এমন মৃত্যু আমাদের জন্য উপহার। তবে অবশ্যই এ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যা ওপরে বর্ণিত হাদিস থেকে আমরা জেনেছি এবং চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ আমলে নিতে হবে।

খলিফা ওমরের (রা.) সময় তিনি সিরিয়া রওনা দিয়েছিলেন। পথিমধ্যে জানতে পারলেন, সিরিয়ায় প্লেগ-মহামারি দেখা দিয়েছে। তিনি তখন বিশেষজ্ঞ সাহাবিদের পরামর্শে সিরিয়ায় প্রবেশ না করেই ফিরে যান। সুতরাং আমাদেরও যথাসম্ভব এ থেকে সাবধান থাকতে হবে।

এ সময় আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে, নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করা তথা তাঁর নাফরমানি থেকে সৎপথে ফিরে আসা এবং আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করা। শুধু বিপর্যয়ের সময়ই নয়, বরং সর্বদা আল্লাহর কাছে তার আজাব এবং গজব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত। রাসুলও (সা.) তাই করতেন। তিনি নামাজের ভেতরে-বাইরে আল্লাহর গজব ও আজাব থেকে সর্বদা আশ্রয় চাইতেন। বিতরের নামাজের শেষ রাকাতে এবং নফল নামাজের সেজদায় তার একটি দোয়া এ রকম- ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার সন্তুষ্টি দ্বারা তোমার ক্রোধ থেকে, তোমার ক্ষমা দ্বারা তোমার শাস্তি থেকে এবং তোমার (পাকড়াও) থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তোমার প্রশংসা গুণে শেষ করা যাবে না; তুমি ঠিক তেমন, যেমন তুমি নিজের ব্যাপারে প্রশংসা করেছ’। (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী)।

তাছাড়া রোগব্যাধি থেকে আশ্রয় কামনা করে তিনি অনেক দোয়া পড়তেন। এর মধ্যে একটি এ রকম-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ، وَالْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ

উচ্চারণ- “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি,ওয়া সাইয়ি ইল আসক্কাম’।

অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেত, উন্মাদনা, কুষ্ঠ এবং সমস্ত দুরারোগ্য ব্যাধি হতে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১,৫৫৪)।

এসব প্রার্থনার পাশাপাশি যেসব পাপের কারণে আল্লাহর আজাব আসে, সেসব থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বিশেষ করে- অন্যের হক্ব আত্মসাৎ, জুলুম ও অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ ওপরে বর্ণিত হাদিসে আমরা দেখেছি, জুলুম ও অশ্লীলতার সয়লাবের কারণে মহামারির প্রদুর্ভাব দেখা দেয়। বর্তমানে কভিড-১৯ও এমন একটি রোগ, যা পূর্বে দেখা যায়নি। সুতরাং বলাই যায়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ভয়ংকর সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী জুলুম, অত্যাচার, অশ্লীলতার ব্যাপক সয়লাবেরই একটি কুফল।

পরিশেষে, পবিতে কুরআন-হাদীসের কয়েকটা উদ্ধৃতি দিয়ে নিবন্ধ শেষ করছি করছি- “নিশ্চয়ই যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার ঘটাতে চায়, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না”। (সূরা নূর- ১৯ আয়াত)।

“মানুষের কৃতকর্মের ফলে স্থলে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে; যার ফলে তাদের কৃতকর্মের কোনো কোনো কর্মের শাস্তি তাদের তিনি আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে”। (সূরা রূম- ৪১ আয়াত)।

“আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবোই: মাঝে মধ্যে তোমাদেরকে বিপদের আতঙ্ক, ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে, সম্পদ, জীবন, পণ্য-ফল-ফসল হারানোর মধ্য দিয়ে। আর যারা এসব পরীক্ষার মধ্যেও ধৈর্য-নিষ্ঠার সাথে সবর করে, তাদেরকে জান্নাতের সুখবর দাও”। (সূরা বাক্বারাহ- ১৫৫ আয়াত)।

কেন মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং এমন পরিস্থিতিতে করণীয় কি, উপরে বর্ণিত আয়াত ও হাদীসসমূহ থেকে তার সুস্পষ্ট কারণ জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে নফসকে হারাম ও নাজায়েয বিষয়াদি থেকে হেফাজত রাখতে হবে। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে তাওবা করতে হবে। আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যে গভীর নিমগ্ন হতে হবে। অস্থির হয়ে এলোমেলো আচরণ করা যাবে না, বরং সুস্থিরতার সাথে করণীয় নির্ধারণ ও ধৈর্যধারণ করতে হবে।

যে কোন মুসিবত ও কঠিন পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে নামাযে রত হয়ে পড়তেন। কারণ, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- ‘তোমরা আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করো ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে’। (সূরা বাকারা, ১৫৩ আয়াত)।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলতে হবে, যেখানে এ ধরনের মাহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে, সেখানে যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিরাপদ এলাকার কেউ আক্রান্ত এলাকায় যেমন প্রবেশ করবে না, তেমনি আক্রান্ত স্থানের কেউও অন্য এলাকায় যাবে না। যেটাকে আধুনিক পরিভাষায় লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইন বলা হচ্ছে। সাড়ে ১৪শত বছর পূর্বে আল্লাহর নবী (সা.) এই কোয়ারেন্টাইন ও লক ডাউনের কথা বলে গেছেন।

পরম করুণাময় আল্লাহ বাংলাদেশের সকল মানুষ এবং বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।।

লেখক: প্রকাশক- উম্মাহ ২৪ ডটকম, সিইও- এম.জেড. ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক- আল-বাশার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, পুরানা পল্টন, ঢাকা।

হযরত যাকারিয়া (রাহ.)এর কতিপয় অমর বাণী