Home রাজনীতি ত্রাণের চাল চুরি বন্ধে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিতরণ করুন: আল্লামা কাসেমী

ত্রাণের চাল চুরি বন্ধে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিতরণ করুন: আল্লামা কাসেমী

চাল চোরদের দৌরাত্ম থেকে দেশের ক্ষুদার্থ মানুষের মুখের খাবার রক্ষার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর হাতে ত্রাণ বিতারণের দায়িত্ব দেয়ার আহবান জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

গতকাল (১৩ এপ্রিল) সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতির কারণে অসহায় দরিদ্র, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সেই অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ত্রাণসহায়তার স্বল্পমূল্যের চাল নিয়ে মাঠ পর্যায়ের সরকারদলীয় নেতারা কাড়াকাড়ি ও লুটতরাজের যেনো উৎসব শুরু করেছে। প্রতিদিনই পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে ফলাও করে এসব খবর প্রকাশিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির এই দুর্যোগে যারা গরীব ও অসহায় মানুষের মুখের আহার কেড়ে নেয়, তারা দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্য, এদের দমনে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা।

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী আরো বলেন, ত্রাণ সহায়তায় বরাদ্দ দেওয়া চাল রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে দেওয়া হয়। এতে দলমত নির্বিশেষ দেশের সকল মানুষের সমান ন্যায্য অধিকার আছে। কিন্তু সারাদেশে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এসব সরকারী ত্রাণ দলীয় বিবেচনায় ভাগভাটোয়ারা ও লুটপাট করছে। ফলে লাখ লাখ গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষ বঞ্চিত হওয়ায় সারাদেশে হাহাকার শুরু হয়েছে। ত্রাণের চাল চুরি এখন করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর মহামারীতে রূপ নিয়েছে।

বিবৃতিতে জমিয়ত মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হুমকি-ধমকিতেও ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও চাল চুরি বন্ধের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তাই সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডিসির নেতৃত্বে সর্বদলীয় ত্রাণ সমন্বয়ন কমিটি গঠন করে, তাদের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মাঠ পর্যায়ে ত্রাণ সংরক্ষণ ও বিতরণে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদি, এতে লুটতরাজ বন্ধ হবে এবং অসহায় ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছবে।

আল্লামা কাসেমী বলেন, ত্রাণ বিতরণে সরকারী দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের এই লুটতরাজ বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকার ব্যর্থ হলে ক্ষুদার্থ মানুষের হাহাকার ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা শুরু হতে পারে। তখন উদ্ভূত পরিস্থিতির সকল দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে। – বিজ্ঞপ্তি।