Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন বিপদে পড়া মানেই কি আপনি পাপী ?

বিপদে পড়া মানেই কি আপনি পাপী ?

প্রতীকী ছবি

উম্মাহ ডেস্ক:

মানুষ ঈমানদার হোক আর কাফের হোক, নেককার হোক আর পাপী হোক, সবার জীবনে কম-বেশি বিপদ-আপদ আসে। কিন্ত কেনো আমাদের জীবনে এইরকম বিপদ-আপদ আসে ?

কোরআন হাদীস অনুযায়ী  বিপদ-আপদ আসার কারণগুলো নিম্নরূপ:

১. মানুষকে পরীক্ষা করাঃ  প্রকৃতপক্ষে কে ঈমানদার কে মুনাফেক, কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী তা জেনে নেয়া।

আল্লাহ তায়ালা বলেন,“মানুষ কি মনে করে যে “আমরা ঈমান এনেছি” – এ কথা বলেই অব্যহতি পেয়ে যাবে, আর তাদেরকে পরীক্ষা করা হবেনা? আমি অবশ্যই তাদের পূর্বে যারা ছিলো তাদেরকে পরীক্ষা করেছি। আর আল্লাহ অবশ্যই জেনে নিবেন কারা সত্যবাদী আর কারা মিথ্যাবাদী।”সুরা আনকাবুত, আয়াত ২-৩।

এছাড়া অন্য জায়গায় আল্লাহ তায়ালা বলেন,“মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধা-দ্বন্দে জড়িত হয়ে আল্লাহর ইবাদত করে। যদি সে কল্যানপ্রাপ্ত হয়, তাহলে ইবাদতের উপর কায়েম থাকে। আর যদি কোনো পরীক্ষায় পড়ে তাহলে সে পূর্বাবস্থায় (কুফুরীতে) ফিরে যায়। সে ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ, এটাই সুস্পষ্ট ক্ষতি। সুরা হাজ্জ, আয়াত ১১।

২. দুনিয়াতেই পাপের সামান্য শাস্তি দেওয়া, যাতে করে সে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে ও নিজেকে পরকালের কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।

আল্লাহ বলেন,“কঠিন শাস্তির পূর্বে আমি তাদেরকে হালকা শাস্তি আস্বাদন করাবো, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে।”সুরা সাজদাহ, আয়াত ২১। এই আয়াতে “হালকা শাস্তি” দ্বারা পার্থিব জীবনের বিপদ-আপদ, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা, রোগ-শোক ইত্যাদিকে বোঝানো হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন-

৩. এছাড়া আল্লাহ তাঁর কিছু প্রিয় বান্দাকে পরীক্ষায় ফেলেন, যাতে করে পরকালে তার মর্যাদা ও জান্নাতের নেয়ামত বৃদ্ধি করেন। অনেক সময় আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে যে মর্যাদা দিতে চান তা ঐ বান্দা তার আমল দ্বারা অর্জন করার মতো হয়না। তখন আল্লাহ তাকে পরীক্ষায় ফেলেন, যদি সে এতে ধৈর্যধারণ করে তাহলে আল্লাহ তাকে ঐ মর্যাদায় উন্নীত করেন।

বিপদে পড়লেই নিজেকে পাপী মনে করবো ?

আমরা নিজেরা যখন বিপদ আপদে পড়ি তখন আমরা পাপী হই আর নেককার হই, কেউই কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারবোনা, কেনো আল্লাহ আমাদের বিপদে ফেলেছেন। এটা অদৃশ্যের জ্ঞান, যা আল্লাহ ছাড়া আর কেউই বলতে পারেনা। তাই আমরা বিপদে পড়লে কখনোই এই প্রশ্ন করবোনা, আমি কি পাপ করেছিলাম?

একবার রাসুল (সাঃ) কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, মানুষের মধ্যে কারা সবচাইতে বেশি বিপদে পড়ে? উত্তরে তিনি বলেন, নবী-রাসুলরা, আর এর পরে আল্লাহ যাকে যত বেশি ভালোবাসেন তাঁকে তত বেশি পরীক্ষায় ফেলেন।

সুতরাং, বিপদে পড়লে আমাদের এই বিশ্বাস রাখা জরুরী, আমি পাপী হলেও আল্লাহ আমাকে ভালোবাসেন। আর এই জন্য আমাকে বিপদে ফেলে আমাকে সংশোধন করতে চাচ্ছেন, যাতে করে পরকালে আমাদেরকে অনন্ত সুখের জীবন দান করেন।

 “নবী (সাঃ) এর সহধর্মিনী আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ মুসলমান ব্যক্তির উপর যে সকল বিপদ-আপদ আপতিত হয় এর দ্বারা আল্লাহ্ তার পাপ মোচন করে দেন। এমনকি যে কাঁটা তার শরীরে বিদ্ধ হয় এর দ্বারাও।” -[সহিহ বুখারী :খন্ড ৭ : অধ্যায় ৭০/ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা : হাদিস ৫৪৪]

মহান আল্লাহ বলেন, “আখিরাতের বড় শাস্তির পূর্বে আমার দুনিয়াতে তাদেরকে ছোট ছোট শাস্তি অস্বাদন করাব, যাতে তারা ফিরে আসে।” -[আস-সাজদাহ: ২১]

 “সুসংবাদ দাও সেইসব ধৈর্যশীলদের যারা বিপদ এলে বলে, আমরা তো আল্লাহরই এবং তাঁরই কাছে আমরা ফিরে যাব”। -[সূরা আল বাকারাহ, ১৫৫-১৫৬]

 ‘স্থলে ও জলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন। এর দ্বারা আল্লাহ তাদের কিছু কিছু কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (সরল পথে) ফিরে আসে’ (রূম ৩০/৪১)

 ‘তোমাদেরকে যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল। তবে অনেক পাপ আল্লাহ ক্ষমা করে থাকেন’ (শূরা ৪২/৩০) ।

আল্লাহ বলেন, – ‘গুরু দন্ডের পূর্বে অবশ্যই আমরা তাদেরকে লঘুদন্ডের আস্বাদন ভোগ করাব, যাতে তারা ফিরে আসে’(সাজদাহ ৩২/২১) ।

সৎ লোকদের উপর বিপদাপদ  আসার কারণ

পৃথিবীতে নবী-রাসূল ও সৎ লোকদের উপর যেসব বালা-মুছীবত আসে, সেগুলি কি আল্লাহর গযব হিসাবে গণ্য হবে?

সৎ লোকের বিপদাপদ দেওয়ার কারণ তাদের গোনাহ নয়, বরং উদ্দেশ্য হলো তাদের পরীক্ষা করা এবং পরীক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা। যেমন ইবরাহীম (আঃ)-কে আল্লাহ কঠিন পরীক্ষা সমূহ নিয়েছেন। অবশেষে সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়ায় তাঁকে আল্লাহ বিশ্বনেতার মর্যাদায় ভূষিত করেন।

ব্যক্তিগত পর্যায়ে মুমিনগণের উপরে মুছীবত প্রকৃত প্রস্তাবে তাদের জন্য রহমত স্বরূপ। এর দ্বারা তাদের গোনাহের কাফফারা হয়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিম বান্দার কোন ক্লান্তি, রোগ, দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, কষ্ট ও অস্থিরতা এমনকি কোন কাঁটা বিধলেও (যদি সে ছবর করে ও আল্লাহর উপরে খুশী থাকে), তাহ’লে তার কারণে আল্লাহ তার গোনাহ সমূহ মাফ করে দেন’।

অন্য হাদীছে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে বিপদে ফেলেন’। = (বুখারী, রিয়ায হা/৩৯) ।

অন্য হাদীছে তিনি বলেন, ‘মুমিন পুরুষ বা নারীর জীবন, সন্তান ও মালের উপর বিপদাপদ আসতেই থাকে। অবশেষে আল্লাহর সাথে সে সাক্ষাৎ করে এমন অবস্থায় যে, তার (আমলনামায়) কোন পাপ থাকে না’।

 আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপদ আপদ, গজবের উদাহরণ ও প্রতিকার :

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর আমরা তোমাদের পরীক্ষা নেব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-শস্যাদি বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ হ’ল ধৈর্যশীলদের জন্য’ (বাক্বারাহ ২/১৫৫) ।

অত্র আয়াতে বর্ণিত পাঁচটি বিষয় হলো গযবের কয়েকটি দিক। এছাড়াও বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন ধরনের গযব আসতে পারে। যেমন সুনামি, জলোচ্ছ্বাস, বিশ্বমন্দা, খাদ্যে ও ফসলে বরকত নষ্ট হওয়া, ভূগর্ভে পানি দূষিত হওয়া, আকাশে বায়ু দূষণ হওয়া, নানাবিধ অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটা ইত্যাদি। আর এইসব ব্যাপকভিত্তিক গযবের প্রধান কারণ হলো মানুষের পাপাচার ও কৃতকর্ম। আর এগুলো থেকে বাঁচার পথ হল মানুষকে অন্যায় প্রতিরোধে এগিয়ে আসা। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যখন কোন অন্যায় হতে দেখে, অতঃপর তারা তা প্রতিরোধ করেনা, তখন সত্বর আল্লাহ তাদেরকে ব্যাপক গযবের দ্বারা পাকড়াও করেন’।

 কিন্তু ব্যাপক ভিত্তিক অন্যায় ও সামাজিক অনাচার প্রধানতঃ সমাজের নেতাদের পক্ষ থেকে হয়। যাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের থাকে না। আর সেজন্য নেমে আসে ব্যাপক বিধ্বংসী এলাহী গযব সমূহ। ফলে হতাহত হয় সকল ধরনের মানুষ।

মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে গিয়েছে, নেতৃবৃন্দ এবং ধনিক শ্রেণী যখন শক্তি মদমত্ত হয়ে অহংকারে চুর হয়েছে, দুনিয়ায় ফাসাদ ও বিশৃংখলা সৃষ্টিতে লিপ্ত হয়েছে, তখনই যুগে যুগে আল্লাহর গযব নেমে এসেছে এবং বড় বড় শক্তিশালী জাতি চোখের পলকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পৃথিবীতে মানুষের আগমনকাল থেকে এযাবত আল্লাহর গযবে ধ্বংসপ্রাপ্ত ছয়টি জাতির কথা কুরআনের মাধ্যমে জগদ্বাসী জানতে পেরেছে। তারা হলো কওমে নূহ, ‘আদ, ছামূদ, লূত্ব, আহলে মাদইয়ান ও কওমে ফেরাঊন।

(১) কওমে নূহ : এদের ধ্বংসের কারণ ছিল ‘শিরক’। তাদের শাস্তি ছিল- দীর্ঘস্থায়ী প্লাবণে ডুবে ধ্বংস হয়।

(২) কওমে ‘আদ : উদ্ধত ও হঠকারী হয়ে যায় এবং শিরক ও কুফরীতে লিপ্ত হয়। হঠাৎ বিকট গর্জন ও বজ্রাঘাতে ও প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে তারা সব ধ্বংস হয়ে যায়।

 (৩) কওমে ছামূদ : শিরক ও মূর্তিপূজায় লিপ্ত হয়, উদ্ধত আচরণ করে, আল্লাহর গযবকে চ্যালেঞ্জ করে। ভীষণ একটি ভূমিকম্পে এবং বিকট এক গর্জনে সবাই যার যার স্থানে একযোগে অধোমুখী হয়ে ভূতলশায়ী হয়ে ধবংস হয়ে যায়।

 (৪) কওমে লূত্ব : দুনিয়াবী উন্নতির চরম শিখরে উঠে এরা আল্লাহকে ভুলে যায় এবং শিরক ও কুফরীতে লিপ্ত হয়। সমকামিতার মত নোংরামিতে লিপ্ত হয়। একটি প্রচন্ড নিনাদের মাধ্যমে গযব কার্যকর হয়। যা তাদের শহরগুলিকে সোজা উপরে উঠিয়ে উপুড় করে ফেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঘূর্ণিবায়ুর সাথে প্রস্তর বর্ষণ শুরু হয়।

(৫) আহলে মাদইয়ান : শিরক ও কুফরী ছাড়াও এখানকার অধিবাসীরা ওযন ও মাপে কম দিত। রাহাজানি ও লুটপাট করত। তারা অন্যায়ভাবে জনগণের মাল ভক্ষণ করত। প্রচন্ড গরম, ভীষণ নিনাদ, ভূমিকম্প, অগ্নিবৃষ্টিতে তারা ধবংস হয়ে যায়।

(৬) কওমে ফেরাঊন : শিরক ও কুফরী,  বনু ইসরাঈলদের উপর যুলুম,  ঔদ্ধত্য ও অহংকার।  দুর্ভিক্ষ,  প্লাবণ, পঙ্গপাল,  উকুন, ব্যাঙ,  রক্ত, প্লেগ মহামারি ইত্যাদি ধারাবাহিক গজব, চূড়ান্ত শাস্তি এবং ফেরাঊন ও তার সৈন্যদল একসাথে সাগরে ডুবে ধ্বংস হয়ে  যাওয়া।

বিপদে করণীয়

(১) ছবর করা : কোন জনপদে আল্লাহর গযব নাযিল হলে প্রথম কর্তব্য হলো ছবর করা এবং এটাকে আল্লাহর পরীক্ষা মনে করে ধৈর্য ধারণ করা।

আল্লাহ বলেন, ‘তুমি সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীল বান্দাদের’। ‘যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁর নিকটে ফিরে যাব’(বাক্বারাহ ২/১৫৫-৫৬) ।

(২) বিপদ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা: আল্লাহ বলেন, ‘অতএব হে চক্ষষ্মান ব্যক্তিগণ! তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর’ (হাশর ৫৯/২) ।

(৩) স্ব স্ব পাপকর্ম থেকে তওবা করা: যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা সকলে (তওবা করে) ফিরে এসো আল্লাহর দিকে হে বিশ্বাসীগণ! যাতে তোমরা সফলকাম হও’ (নূর ২৪/৩১) ।

তিনি বলেন, ‘(হে নবী!) আপনি বলে দিন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, দয়াবান’ (যুমার ৩৯/৫৩) ।

এই সময় যাবতীয় পাপচিন্তা থেকেও তওবা করা উচিত। কেননা আল্লাহ গোপন পাপচিন্তারও হিসাব নিবেন’(বাক্বারাহ ২/২৮৪) ।

 ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ মুমিন বান্দাকে ডেকে তার গোপন পাপগুলি সব একে একে স্মরণ করিয়ে দিবেন। কিন্তু তা সকলের সামনে প্রকাশ করবেন না। তাকে মাফ করে দিবেন।  রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিন বান্দা যদি কোন পাপ করার সংকল্প করে এবং তা বাস্তবে করে, তাহ’লে তার একটি পাপ হয়। কিন্তু যদি সেটা বাস্তবায়ন না করে, তাহ’লে আল্লাহ নিজের কাছে তার জন্য একটি পূর্ণ নেকী লেখেন’।

(৪) বিপদগ্রস্ত ও দুর্গত মানুষের সেবায় এগিয়ে যাওয়া: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে থাকে’।

তিনি বলেন, আল্লাহ ঐ ব্যক্তির উপর রহম করেন না, যে ব্যক্তি মানুষের উপরে রহম করে না’।

 তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের একটি বিপদ দূর করে দেয়, আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তার একটি বিপদ দূর করে দিবেন’।

 তিনি বলেন, তোমরা যমীনবাসীর উপর রহম কর, আসমান বাসী (আল্লাহ) তোমাদের উপর রহম করবেন’।  ##

উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।