অন্ধ হাফেজা জাহরা দারজি উলুশ। বয়স মাত্র ১৫। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি শরণার্থী শিবিরে বসবাস। প্রখর মেধা ও অনন্য যোগ্যতার কারণে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা প্ল্যাটফর্মে তাকে নিয়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
স্বল্প বয়সী বালিকা হয়েও সে শিবিরের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পবিত্র কোরআন শিক্ষা দিচ্ছে। জাহরা চায় শিবিরের সব শিশু তার থেকে কোরআন শিখুক। সে লক্ষ্যে শিবিরের মন্দ পরিবেশের মধ্যেও শিশুদের একত্র করে আরবি তাজবিদসহ কোরআনের বহুমুখী পাঠদান চলছে।
শরণার্থী শিবিরের যে পরিবেশে সে এবং অন্যান্য শিশু বেড়ে উঠছে তা থেকে মুক্তি চায় জাহরা। সে এখনো বালিকা। মাদরাসায় পড়ার স্বপ্ন দেখে। তার ইচ্ছা অনেক বড় হয়ে শিক্ষকতা করবে। গত ২০১৯ সালের এক দাঙ্গায় সিরিয়ার মাআরাত পল্লী থেকে জাহরা সপরিবারে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেয় এই শরণার্থী শিবিরে।
আরও পড়তে পারেন-
- ঋণ বা ধারকর্য পরিশোধে ইসলামের বিধান
- ইতিহাসে আল্লামা আহমদ শফী
- মেধাবী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়
- ইগো প্রবলেম নিয়ে যত কথা
- সামাজিক সম্পর্ক সুদৃঢ় রাখতে ইসলামের নির্দেশনা
একই সঙ্গে ঘরবাড়ি, সহায়-সম্বল ও আত্মীয়-স্বজন সবাইকে হারায়। তার বয়স যখন সাত, তখনো সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলে। এ জন্য নিজ গ্রামে থেকেও মাদরাসায় যেতে পারেনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছোট্ট এ ফুলকলিটি। কিন্তু অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও দুর্দান্ত আগ্রহ শিক্ষাগ্রহণ থেকে তাকে বিরত রাখতে পারেনি। ঘরে বসেই শুনে শুনে পুরো ৩০ পারা কোরআনে কারিম মুখস্থ করে সে। সূত্র : আল বায়ান।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ