Home ফিকহ ও মাসায়েল কুরবানীর পশু যবাই করার সুন্নাত তরীকা

কুরবানীর পশু যবাই করার সুন্নাত তরীকা

।। মুফতি জসিমুদ্দীন ।।

নিজে যদি ভালভাবে যবাই করতে পারে তাহলে স্বহস্তেই যবাই করা উত্তম। তবে অন্যের মাধ্যমেও যবাই করা যাবে। এক্ষেত্রে মালিক তার সম্মুখে দন্ডায়মান থাকা উত্তম। মেয়েদের যবাইও সহীহ আছে। অর্থের বিনিময়ে যবাই করানোও জায়েয আছে। (শামী- ৬/৩২৮)।

যে ব্যক্তি যবাই করবে তার জন্য “বিসমিল্লাহ” বলা ওয়াজিব এবং তার সঙ্গে যদি অন্য কেউ ছুরিতে হাত লাগিয়ে থাকেন, তাহলে তার জন্যও “বিসমিল্লাহ” বলা ওয়াজিব। ইচ্ছাকৃত ভাবে যদি বিসমিল্লাহ না বলে তাহলে ঐ পশুর গোশত হারাম হয়ে যাবে। আর যদি ভুলক্রমে না বলে থাকে এবং যবাইকারী মুুসলমান হয়, তাহলে গোশত হালাল হবে। (শামী- ৬/৩৩৪, হিন্দিয়্যাহ- ৫/৮৮)।

যবাইকারীর মুখ কিবলার দিকে করে নিবে, আর সম্ভব হলে পশুর মুখও কিবলার দিকে করে নিবে। এবং এই দোয়া পড়বে-
اني وجهت وجهي للذي فطر السماوات والارض حنيفا وما ان من المشركين ان صلاتي ونسكي ومحياي مماتي لله رب العلمين لاشريك له وبذلك امرت وانا اول المسلمين اللهم منك ولك –
অতঃপর বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে যবাই করে নিন্মোক্ত দোয়া পড়বে-
اللهم تقبل مني (او منا او من فلان) كما تقبلت من حبيبك محمد صلي الله عليه وسلم وخليلك ابراهيم عليه السلام –
ব্র্যাকেট দেওয়া জায়গায় যাদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা হচ্ছে তারা যদি উপস্থিত থাকেন, তাহলে منا বলবে, নতুবা তাদের নাম বলবে।

যবাই করার পূর্বে ছুরি ভাল করে ধার দিয়ে নিবে। এক পশুর সামনে অন্য পশু যবাই করবে না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত যবাইকৃত পশু পুরোপুরি ঠান্ডা না হয়, তার চামড়া ইত্যাদি কাটা শুরু করবে না । (শামী- ৬/২৯৬, হিন্দিয়্যাহ- ৫/৩০০)।

প্রতিটি পশুর গলায় চারটি মোটা রক্তের শিরা আছে, যবাইয়ের সময় যে কোন তিনটি শিরা অবশ্যই কাটতে হবে। (বাদায়ে- ৫/৪১)।

যবাইয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পশুর মাথা একেবারে পৃথক না হয়ে যায়। কারণ, দেহ থেকে এভাবে মাথা পৃথক করলে যবাই মাকরুহ হবে। (হিন্দিয়্যাহ- ৫/২৮৫)।

– মুফতি জসীমুদ্দীন, মুফতি, মুহাদ্দিস ও মুফাসসির, আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।