Home ইসলাম শতবর্ষ আগের ঐতিহ্যবাহী হেজাজ রেলওয়ে চলছে যেখানে (ভিডিও)

শতবর্ষ আগের ঐতিহ্যবাহী হেজাজ রেলওয়ে চলছে যেখানে (ভিডিও)

১১৩ বছর আগে মদিনাগামী উসমানীয় আমলের রেলপথ এখনও জর্দানে চালু রয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর উসমানীয় খিলাফতের সর্বশেষ সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ দামেশক ও  মদিনার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে বিশ্বের দীর্ঘতম একটি রেলপথ তৈরির পরিকল্পনা করেন। এটি ছিল সেই সময়ের ঐতিহাসিক স্থাপনা, যার সঙ্গে মিশে আছে ধর্ম ও মানবসেবার প্রেরণা। 

দামেস্ক থেকে মদিনা পর্যন্ত ১৩২০ কিলোমিটার (৮২০ মাইল) বিস্তৃত একটি ন্যারো গেজ রেলপথ। এটি হেজাজ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়। এছাড়াও হাইফার দিকে এর একটি শাখা ছিল। হেজাজ রেলওয়ে ছিল উসমানীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি অংশ। ইস্তানবুল থেকে দামেস্ক হয়ে মক্কা পর্যন্ত পৌছানোর জন্য তা নির্মাণ করা হয়। ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এর অধিকাংশ নির্মাণ বিনষ্ট হয়।

এই রেলপথ নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য ছিল উসমানীয় খিলাফতের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল থেকে ইসলামের পবিত্রতম শহর মক্কা পর্যন্ত যোগাযোগ সহজ করা। এছাড়া উসমানীয় সাম্রাজ্যের দূরবর্তী আরব প্রদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো এবং সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ সহজ করা। 

আরও পড়তে পারেন-

মদিনাগামী এ রেলপথের মাধ্যমে সিরিয়ার রাজধানী দামেশ ও জর্দানের রাজধানী আম্মানের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়। ভ্রমণের সময় ও ক্লান্তি কমাতে এ রেলপথের ভূমিকা ছিল। তৎকালীন সময়ে মদিনায় যেতে তিন মাস সময় লাগত। কিন্তু এ রেলওয়ের মাধ্যমে তা কমে মাত্র ৫৪ ঘণ্টা সময় লাগে। 

উসমানীয়দের তৈরি এ রেলপথ জর্দানে এখনও চালু আছে। ১৯০৩ সালে আম্মান ও দামেশক শহরের মধ্যে তা সংযোগ তৈরি করে। জর্দানের দক্ষিণাঞ্চল ‌‌মাআন থেকে লোহিত সাগর তীর পর্যন্ত এ রেলের যাতায়াত ছিল। এদিকে সিরিয়ায় দীর্ঘকালব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কারণে রেলপথটি বন্ধ হয়ে যায়। 

সম্প্রতি তুরস্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে জর্দানের রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান জাহি খলিল বলেন, রেলপথটি জর্দানের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৫২ কিলোমিটার পথে চলাচল করে। ১১৩ বছর পরও এ রেলপথটি এখনও চলমান, যা আমাদের গর্বের বিষয়। তবে রেলপথের উন্নয়ন ও এর সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। 

বর্তমানে জর্দানের এ রেলপথটি পর্যটকদের যাতায়াতে ব্যবহৃত হয়। শিগগির এর উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। বর্তমানে এখানে তুর্কি সরকারের সহায়তায় একটি বৃহৎ জাদুঘরের নির্মাণকাজ চালু আছে। আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে এর কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।

২০১৬ সালে তুরস্ক ও জর্দান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে টিকা এজেন্সি ও হেজাজ রেলওয়ে কর্পোরেশনের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক ধাপে এ চুক্তির আলোকে তিন মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে তিন হাজার স্কয়ার মিটােরের একটি জাদুঘর ও উসমানীয় ৯টি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সংস্কার করা হবে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।