৮ হাজার বছরের বেশি সময়ের পুরোনো প্রস্তরখণ্ডে খোদাই করা উটের চিত্র সৌদির আল জাওফ এলাকায় পাওয়া যায়। সৌদি ও আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ব গবেষকরা ধারণা করছেন যে তা নব্যপ্রস্তর যুগে তৈরি করা হয়।
হ্যারিটেজ কমিশন, কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি, দ্য ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল সেন্টার ফর সাইন্টিফিক রিসার্চ সেন্টার, ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট, দ্য ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অন্যান্য গবেষকদল এ প্রাচীন এ প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন।
প্রস্তরখণ্ডে খোদাই করা উটের চিত্রগুলো খ্রিস্টপূর্ব ৫৬০০-৫২০০ এর মধ্যকার সময়ে নব্যপ্রস্তর যুগে তৈরি করা হয়েছে বলে তারা মনে করছেন। সেই হিসেবে এসব প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাকে পৃথিবীর প্রাচীনতম স্থাপনা বলে মনে করছেন গবেষকরা।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
এর আগে ২০১৮ সালে পাথরের খোদাইগুলো দুই হাজার বছরের পুরোনো হতে পারে বলে মনে করেছিলেন। নতুন গবেষণা মতে এ প্রস্তরখণ্ডগুলো সাত হাজার বছরের পুরোনো বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় প্রাচীনতম খোদাই ও পশুর জীবাশ্মা প্রস্তর শিল্পের উপস্থিতিকে প্রমাণ করে, যা নিওলিথিক বা প্রস্তর যুগের মনে করা হয়। তাছাড়া উটের এ স্থানটি বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন-সংরক্ষিত খোদাইয়ের প্রধান কেন্দ্র বলে মনে করা হয়।
খবরে আরো জানা যায়, প্রাচীন এ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে ২১ পশুর খোদাই পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৭টি উট ও দুটি ঘোড়ার খোদাই আছে।
সূত্র: সৌদি গেজেট।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ